Answered 2 years ago
গালে টোল পড়া নিয়ে অনেকগুলো তত্ত্ব থাকতে পারে। আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
টোল পড়ার জন্য দায়ী করা হয় আমাদের মুখমণ্ডলের পাশের দিকে থাকা জাইগোম্যাটিকাস মেজর নামক পেশিকে। পেশিটি মুখমণ্ডলের জাইগোম্যাটিক অস্থি থেকে তৈরি হয়ে মুখের এক কোণায় লেগে থাকে।
উপরের ছবিটিতে সবুজ রঙে দেখানো পেশিটির নামই জাইগোম্যাটিকাস মেজর পেশি। আমাদের মুখগহ্বর প্রসারিত হবার সময়ে উক্ত পেশিটি সংকুচিত হয়ে মুখকে পাশ থেকে টান দেয়।
টোল পড়ার সাথে পেশিটির তাহলে সম্পর্ক কোথায়?
পেশিটি সাধারণত কোন খণ্ডে বিভক্ত থাকে না। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে দুই খণ্ডে বিভক্ত হয়ে মুখের পাশে লেগে থাকে। উপরের খণ্ডটি যেখানে থাকার সেখানেই স্বাভাবিকভাবে থাকে। কিন্তু নিচের খণ্ডটি মুখের একটু নিচের দিকে লেগে থাকে। তখন পেশিটির নাম হয়ে যায় বাইফিড জাইগোম্যাটিকাস মেজর পেশি। শুধু তাই নয়, নিচের খণ্ডটি মুখের ত্বকের সাথেও লেগে যায়।
ফলস্বরূপ, হাসি দেবার সময় বা মুখগহ্বর প্রশস্ত করবার সময় বাইফিড জাইগোম্যাটিকাস মেজর পেশিটি মুখকে টেনে নিয়ে যাবার সময় নিচের খণ্ডটি সাথে করে মুখের ত্বককেও নিয়ে যায়। ফলে জায়গাটিতে একটু টান পড়ে ছোট গর্তের সৃষ্টি হয় যাকে আমরা টোল পড়া বলি।
টোল পড়াটাকে বেশ সৌন্দর্যের বিষয় মনে হলেও এটা আসলে একধরনের পেশি ত্রুটির ফল। তবে তা মোটেও ক্ষতিকারক নয়। অনেকের ক্ষেত্রেই টোল পড়া স্থায়ী হয় না। ছোটবেলাতে থাকেলও বড় হবার পর নাও থাকতে পারে, আবার ছোট বেলায় না থাকলেও বড় হবার পর হয়ে যেতে পারে। কিংবা জন্মের পর থেকে আজীবন থেকে যেতে পারে। নির্ভর করে মুখে থাকা চর্বির পরিমাণ কিংবা ত্বকের ইলাস্টিসিটির উপরও।
বাবা মায়ের থাকলে সন্তানেরও হবে কিনা? এটা বেশ জটিল বিষয়। হতেও পারে আবার নাও পারে। কারণ এটার জন্য একটা নয় একাধিক জিন জড়িত। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার বিষয়টি তাই বেশ জটিল।
ahmedsakib publisher