Answered 2 years ago
অনেক ধন্যবাদ। যাদের বয়স চল্লিশের উপরে তারা ভালভাবেই জানে সেকালে রান্না ঘরে কি তেল ব্যবহার করা হতো। তখন সয়াবিন শব্দটির সাথে কেউ পরিচিত ছিল না। হয়তো বিদেশে এর ব্যবহার ছিল। কিন্তু একালের নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো জন্মের পর থেকে সয়াবিন তেল খেয়ে আসছে, তাই সরিষা তেলের সাথে খুব বেশি পরিচিত নয়। এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর এক কথায় সরিষার তৈল নিজেই নিজের তুলনা, সয়াবিনের সাথে তুলনা করলে সরিষা তৈল কে অপমান করা হবে। কারণ আমি শৈশবকালে সরিষার তৈল ব্যবহার করেছি। নিজের জমির ফসল সরিষা ভাংগাইয়া(প্রেসিং) কুলুবাড়ী (" ঘানি " অর্থাৎ গরু ও কাঠের যান্ত্রিক সাহায্যে সরিষার তেল উৎপাদন পদ্ধতি) থেকে তৈল এনেছিলাম। ৫ কেজি থেকে ২কেজি সরিষার তৈল তৈরি করতে ৭/৮ ঘন্টা সময় লাগতো। বর্তমান আধুনিক যুগে 30 মিনিট টাইম ই যথেষ্ট। একালে সয়াবিন তৈল খেতে খেতে বর্তমান প্রতি লিটার এর দাম ২২০(+/—)১০ টাকা। মনে মনে ভাবছি ৫০% তৈল খাওয়া কমিয়ে দিব। কিছু কিছু রান্না একেবারেই তৈল ছাড়া করা সম্ভব। তাই আজ নিজ হাতে (%) তৈল ছাড়া নিরামিষ রান্না করলাম । নতুন ক্রয় কৃত কাস্টিং কড়াই এ রান্না আমার বিবেচনায় ৮০% মার্ক পাওয়ার দাবি রাখে।
সরিষার তৈলের ব্যবহারঃ ৯০% উপকারী
১। সরিষা ইলিশ রান্না স্বাদে অতুলনীয়। ২। আলু, পেঁপে , সালাদ, সবজি যেকোনো ভর্তা সরিষার তেলের ব্যবহার অতি উত্তম। ৩। কোন কোন শাস্ত্র মতে সরিষার তৈল কে মেডিসিন বলা হয়। হাত-পা মচকে যাওয়া, শরীর ঠান্ডা হলে, ব্যথায় কোন অংশ ফুলে গেলে এই তৈল ব্যবহার করা হয়। ৪। সরিষার তেল এবং লবন একত্রে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত ব্যথা ভালো হয় এবং মুখের দুর্গন্ধ চলে যায় ৫। গোসলের আগে/পরে গায়ে ব্যবহার খুব ভালো। ৬। ঘনত্ব (Density) বেশী হওয়ায় সহজে বাষ্পায়িত(Evaporating) হয় না। ৬। প্রিজারভেটিভ হিসাবে যেকোনো আচার তৈরি করতে উত্তম।
rashedrimon publisher