কুইক রেন্টাল কী?

1 Answers   13.2 K

Answered 2 years ago

কুইক রেন্টার বিষয়টিই একটু খরুচে। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাধারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর মতো কম খরচ হয় না। তাছাড়া কুইক রেন্টাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে জন্য, যা দিয়ে কোন দেশের সরকার, কিংবা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব কম করচের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া চাহিদা পুরন করে থাকে। এতে খরচ বেশি হয় এবং এটা অবশ্যই স্থায়ী কোন উৎপাদন ব্যবস্থা নয়।

বাংলাদেশে কুইক রেন্টার বিদ্যুতের ব্যপক ব্যবহার দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে সরকার এই কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোকেই স্থায়ীভাবে ব্যবহারের চিন্তা করে ফেলছে। তা না হলে স্থায়ী এবং কম খরচের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার তো কোন উদ্দ্যোগ দেখি না।

"কুইক রেন্টাল পাওয়ার" এর আরেক নাম 'পিকিং পাওয়ার সাপ্লাই প্লান্ট"-যার নামের(কুইক) সাথেই এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বোঝার যায়। এইধরনের প্রজেক্ট সাধারনত ব্যাবহার/কার্যকর করা হয়-একান্তই জরুরী প্রয়োজনে, স্বল্প ও জরুরী প্রয়োজনে ইন্সট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাইর প্রয়োজন হয়। এই প্রজেক্ট থেকে পাওয়ার কেনা সব থেকে ব্যায় বহুল।যার জন্য এইধরনের প্রজেক্ট থেকে নর্মালী ১২-১৮ মাসের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করা হয়, ফলে দাম "কিছুটা বেশী" হয়ে থাকে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, সে সময় তাদের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো এবং লোডশেডিং থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া। সেসময় এটি ছিল অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যুও। গত দশ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই সফলতার বড় অংশটি এসেছে আমদানিকৃত তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে, যেগুলো বিদ্যুতের সঙ্কট মোকাবেলায় কুইক-রেন্টাল নামে বিশেষ ব্যবস্থায় স্থাপন করা হয়েছিল।

দেশের ১২৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১৭৪৩ মেগাওয়াট। এর সঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট অর্থাৎ যা শিল্পকারখানার নিজস্ব ব্যবস্থায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ তা থেকে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।

Abu Jahid
abujahid
359 Points

Popular Questions