Answered 2 years ago
কীলগার হল এমন একটি সফটওয়্যার যার দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির কী-বোর্ডের সকল কী প্রেসিং জানতে পারবেন। কীলগার সাধারণত হার্ডওয়্যার এবং প্রোগ্রাম, এই দুই ভাবেই ধরনের হয়ে থাকে। হার্ডওয়্যার কীলগার পিসির কী-বোর্ডের সাথে বা ইউ.এস.বি পোর্টে লাগানো হয়। একটি হার্ডওয়্যার কীলগার দেখতে AA সাইজের ব্যাটারির সাইজের মতন। অন্য দিকে প্রোগ্রামিং কীলগার ব্যবহারে কিছুটা সহজ এবং নিরাপদ। এসব কীলগার সফটওয়্যার দিয়ে আপনি সহজেই কারও ব্যক্তিগত প্রোফাইল হ্যাক করতে পারবেন। বিভিন্ন কোডার শ্রেণীর হ্যাকাররা এ সব কীলগার তৈরি করে থাকে। ইন্টারনেট জগত জগত এর হাজারো কী-লগারের মধ্যে ভাল কিছু কী-লগার হল। কয়েকটির নাম;
•Ardamax Keylogger 3.0
•Award Keylogger v1.27
•All In One Keylogger 3.1
•Sanmaxi Keylogger v3.0
•Keylogger Actual Spy software
•Ecodsoft Keylogger v2.1
•KGB Spy Keylogger v4.2
•Autokeys Simple Keylogger v2.1
•BlazingTools Perfect Keylogger v1.7.5.0
•Family Keylogger v4.14
কী-লগার জাতীয় সফটওয়্যারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
ইন্সটলার কী-লগার
রিমোট কী-লগার
RAT কী-লগার
►ইন্সটলার কী-লগারঃ এসব কী-লগার অন্যান্য নিদৃষ্ট কম্পিউটারে ইন্সটল করতে হয়। সাধারণ সফটওয়্যারের মতন একে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইন্সটলার কী-লগার সাধারনত একটি নিদৃষ্ট কম্পিউটারেই তার হ্যাক করা ডাটা সংরক্ষণ করে। ইন্সটলার কীল গার অন্যান্য কী-লগার হতে অধিক শক্তিশালী এবং নিরাপদ হয়ে থাকে। তবে এটি কেবল সেই কম্পিউটারের উপর প্রযোজ্য যেটি হ্যাকার ব্যবহার করে।
►রিমোট কী-লগারঃ এগুলো দূর থেকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। এসব কী-লগারের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হ্যাকাররা তাদের অনুসন্ধান চালাতে পারে। এসব কী-লগারে টোরাজন হর্স ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
►RAT কী-লগারঃ RAT এর পূর্ণ রূপ হলও Remote Administrator Tool।এর মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হ্যাকাররা তাদের অনুসন্ধান চালাতে পারে এবং একটি কম্পিউটারের সকল সিস্টেমই RAT হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিতে পারে। এসব RAT কী-লগারে torajon.win32 ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
বেশিরভাগ কী-লগার প্রোগ্রামগুলো সাধারনত গড়ে কম্পিউটারে ইন্সটল হয়ে থাকে অন্যান্য ক্ষতিকর সফটওয়্যারের মাধ্যমে। আপনার কম্পিউটারটি যদি সাধারন অবস্থায় সিকিউর্ড না হয়ে থাকে তবে সেই ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামগুলো ‘ট্রোজান’ রুপে কম্পিউটারের অভ্যন্তরে কাজ করতে পারে যা অনান্য কীলগার সফটওয়্যার ডাউনলোড করে থাকে। কী-লগারস অ্যাপলিকেশনগুলো ম্যালওয়্যারের একটি জনপ্রিয় রুপ কেননা এগুলোর মাধ্যমেই ক্রিমিনালরা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, পাসওয়ার্ড অথবা গুরুত্বপূর্ন তথ্য চুরি করে থাকে।
অদ্ভুত হলেও সত্য, এই কী-লগার সফটওয়্যার গুলো আপনার কোন আপন জনের মাধ্যমেও আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল হতে পারে। আমি শুরুতেই যেমন বাবা-মার কথা উল্লেখ করেছি। আপনার বাবা-মা না হলেও অনেক ক্ষেত্রেই অনেক সতর্ক বাবা-মা’রা ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ এর পরেও কিছু কী-লগার সফটওয়্যার ইন্সটল করে থাকে। আবার, সন্দেহবাতিক কোন দম্পতিও এরকম কাজ করে থাকে মাঝে মাঝে। ধরুন, কোন স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে সন্দেহের কারনে এই কী-লগার সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে থাকে। আমি বলছিনা এমনটি ঘটেই, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কথাগুলো সত্য।
কিছু কিছু কী-লগার হার্ডওয়্যার ডিভাইস রুপেও কাজ করে থাকে। কীভাবে? বলছি, মন দিয়ে পড়ুন। সাধারণত একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারে কীবোর্ড সংযুক্ত থাকে কেসিং এর পেছন দিকের একটি পোর্টের মাধ্যমে। হার্ডওয়্যার কীলগারের ক্ষেত্রে এই কী-লগার ডিভাইসটি কাজ করে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের পোর্ট এবং আপনার কম্পিউটারের কীবোর্ডের পোর্টের মাঝখানে একটি ডিভাইস হিসেবে। এভাবে সংযুক্ত একটি ডিভাইস কম্পিউটারের কীবোর্ড থেকে পাঠানো প্রতিটি সিগন্যাল রেকর্ড করতে এবং লগ হিসেবে সংরক্ষন করতে সক্ষম। যেহেতু এই ক্ষেত্রে কী-লগার একটি হার্ডওয়্যার হিসেবে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত তাই কম্পিউটারে থাকা কোন সিকিউরিটি সফটওয়্যার এটির উপস্থিতি ডিটেক্ট করতে পারবেনা। আর যেহেতু একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের পেছনের অংশ টেবিলের পেছন দিকেই থাকে তাই সাধারনত এটি আপনার নজরে আসতে ভালো সময়ই নেবে।
এই ফাঁকে, যে ব্যক্তি আপনার ক্ষতি বা আপনার উপর নজর রাখার উদ্দেশ্যে এই হার্ডওয়্যার কী-লগারটি ব্যবহার করেছিল সে সহজেই কয়েকদিন পরে এসে ডিভাইসটি খুলে নিয়ে যেতে পারবে যা আপনি বুঝতেও পারবেন না আপনি যদি এখন কিছুটা হলেও হার্ডওয়্যার কী-লগার নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেনা তবে নিয়মিত চেক করতে পারেন যে আপনার কম্পিউটারের কীবোর্ড পোর্ট এবং মাদারবোর্ডের মাঝে কোন সন্দেহজনক ডিভাইস আছে কি না। কিছু ক্ষেত্রে নিজের চিত্রের মত সাধারন একটি অ্যাডাপ্টারও থাকতে পারে, ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন।
Aniket publisher