Answered 2 years ago
সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ হল এক ধরনের জলযান বা ওয়াটার ক্রাফট। এটি পানির উপরে ও নিচে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। এটি খুব সহজে সমুদ্রের গভীরে চলে যেতে পারে আবার সমুদ্রের গভীরতা মাপতে পারে। এটি লুকিয়ে থেকে খুব সহজেই শত্রুর উপর আক্রমণও করতে পারে।
সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে?!
সাবমেরিন মূলত কাজ করে প্রাচীন গ্রিক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের প্লবতার সূত্র অনুযায়ী ballast tank থিওরির উপর ভিত্তি করে।এই থিওরির উপর ভিত্তি করে ড্রেভল ডুবোজাহাজ আবিষ্কার করেন।ডুবোজাহাজকে ভাসানো ও ডুবানো হয় পানির ওজন বাড়ানো কমানোর সাহায্যে।
উদাহরণস্বরূপ : একটা বোতলের ভেতর যখন বাতাস থাকে, তা কিন্তু পানিতে ভাসে। আবার বোতলে ভেতর পানি ভরা হলে তা ডুবে যাবে। অতএব, বোতলের ভেতর যদি কোন সিস্টেমে পানি অপসারিত করে বাতাস ঢোকানো যায়, তাহলে বোতলটা আবার পানিতে ভেসে উঠবে।
ঠিক একই ভাবে পানির নিচে ডুব দেওয়ার জন্য সাবমেরিন এ কতগুলো ব্লাস্ট ট্যাংক থাকে। ট্যাংকের ভাল্ভ খুলে সমুদ্রের পানিকে প্রবেশ করানো হয় যাতে সাবমেরিনটির ভেতরে পানি ঢুকে সাবমেরিনটি ক্রমশ ভারি হয়ে পানিতে নিমজ্জিত হতে থাকে। আবার উপরে ওঠার দরকার হলে সাবমেরিনটির ভেতরে থাকা কম্প্রেসড এয়ার এর মাধ্যমে পানিকে বের করে দেয়া হয় ফলে সাবমেরিনটি হালকা হয়ে পানির সারফেসে চলে আসে। তবে এক্ষেত্রে সাবমেরিনের ভেতরে কোন প্রকার চাপের পরিবর্তন হয় না কারণ এতে উন্নত মানের স্টিল বা টাইটেনিয়াম এর মত ধাতু ব্যবহার করা হয়। আর সাবমেরিনের পেছনে প্রপেলার থাকার কারণে এটি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
সাবমেরিনের ভেতরে অক্সিজেনের যোগান দেয় অক্সিজেন জেনারেটর, যা ইলেকট্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায় কাজ করে।
আর কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে সোডা লাইম হিসেবে কেমিক্যাল প্রশমিত করে বের করে দেওয়া হয়।
আর বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা হয় বাষ্পীভবনের মাধ্যমে।
Sagor Ahmed publisher