কি এমন জিনিস আছে যার সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ জানে না?

1 Answers   7.5 K

Answered 2 years ago

বাংলাদেশ এবং ভারত ঠিক কতটা ঘনিষ্ট বন্ধু এটা বেশিরভাগ মানুষ জানে না। এর একটা উদাহরণ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুস্তাফিজুর রহমান স্যারের একটা পোস্ট থেকে দেখাচ্ছি।

"বাংলাদেশী কমান্ডো বনাম ভারতীয় কমান্ডো:

আপনারা হয়তো ভারতীয় চ্যানেলে তাদের স্পেশাল ফোর্সের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বা সংবাদে তাদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক বা হালের বলিউড মুভি দেখে একটা ধারণা রাখেন। তবে এটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখা। ভারতীয় স্পেশাল ফোর্সের এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সফলতা আমার জানা মতে নেই। মুক্তিযুদ্ধে তাদের জয়ের কারিগরও আমাদের মুক্তিযাদ্ধারা এবং তাদের এনে দেওয়া নির্ভুল পাকিস্তানী হানাদারদের অবস্থানের সংবাদ। তাই ভারতীয়রা যতই ক্রেডিট নেবার চেষ্টা করুক না কেন এর সিংহভাগই আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের।

সংবাদ মাধ্যমে দেখেছিলাম আমাদের হলি আর্টিজানে অপারেশন পরিচালনা করার জন্য নাকি ভারত তাদের স্পেশাল ফোর্স পাঠিয়ে সাহায্য করবে বলে জানায়! তার পরই আমাদের কমান্ডোরা ভোরে সিলেট থেকে ঢাকায় অবতরণ করে দেড় ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন পরিচালনা করে মাত্র ১২.৩০ মিনিটে টার্গেট ক্লিয়ার করে তারা প্রমাণ করেছে আমাদের কমান্ডোরা বিশ্ব মানের।

আমার অভিজ্ঞতাটা বলি:

আমি ১-প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে অধিনায়ক হিসাবে যোগদান করার পর প্রথম যে বড় এ্যাসাইনম্যান্ট আমাকে দেওয়া হয় সেটা ছিল ভারতীয় কমান্ডোদের সাথে আমাদের কমান্ডোদের জয়েন্ট ট্রেনিং পরিচালনা করা। এটা আমার জন্য ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার, ভারতীয় কমান্ডোরা আমাদের ব্যাটালিয়ানের ভিতর অবস্থান করবে আমাদের প্রশিক্ষণের প্রশাসনের খুঁটিনাটি বিষয় জানবে তা আমি কৌশলগত কারণে মেনে নিতে পারিনি। আমি এ বিষয়ে সেনাসদরের সাথে কথা বলে জানলাম এটা আরো অনেক আগে থেকে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়েছে এবং এর পর আমাদেরও এক প্লাটুন কমান্ডো ভারতে যাবে তাদের সাথে জয়েন্ট ট্রেনিং করতে এবং এটা প্রতি বছর চলমান থাকবে। এই প্রশিক্ষণ যেহেতু সেনাসদরের পূর্বপরিকল্পনায় হচ্ছে তাই এটা আমার দ্বারা বন্ধ করা সম্ভব নয় তাই আমি তখন এটা সফল ভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম।

আমি কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে জয়েন করার পর আমার নির্ধারণ করা প্রাধান্য অনুযায়ী প্রথমে যে দুটো প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করি তা হল দলগত লাইভ ফায়ারের জন্য স্যুটহাউজ/কিলহাউজ তৈরি করা আর একটি লাইভ ফায়ার করার ভারটিক্যাল এন্ট্রি উপযোগী স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করা আর ২য় প্রজেক্ট ছিল ফায়ারিং। আমি নিয়ম করেছিলাম অফিসাররা অফিসে ঢোকার আগে ফায়ারিং রেঞ্জে ন্যূনতম ২০ রাউন্ড ফায়ার করে অফিসে যাবে। এটা অফিসার সৈনিক সবাইকে খুব উৎসাহিত করেছিল। দেখা যেত প্রতিদিনই আমরা অফিসারদের মধ্যে পিস্তল ফায়ারিং এর প্রতিযোগিতা করতাম। আমাদের মধ্যে অসম্ভব ভাল কিছু ফায়ারার ছিল যারা তখনকার সময়ের জালালাবাদ সেনানিবাসের এক পিস্তল ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় প্রথম ১০ জনের ৭ জনই ছিল ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের অফিসার। আমি পিস্তল ফায়ারিংএ মোটামুটি ভাল ছিলাম তবে ১০/১৫ ফিটের দুরত্বে কম সময়ে (ফাস্ট ড্র) এইম এবং টার্গেট ছেদনে আমি নিজের শ্রেষ্টত্ব দাবি করব।

মূল ঘটনায় আসি। আমি প্রথমে ভারতীয় কমান্ডোদের প্রশিক্ষণের মান আমাদের মান সব বিবেচনায় ট্রেনিং সিলেবাস তৈরি করি। আমাদের কমান্ডোদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নিয়ে আমাদের একটি প্লাটুন ঠিক করি যারা ভারতীয় কমান্ডোদের সাথে প্রশিক্ষণে অংশ নেবে। নির্দিষ্ট দিনে ভারতীয় কমান্ডোরা সিলেটে আসলেন একটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর এন-৩২ কার্গো বিমানে। তাদেরকে আমরা সম্মানের সাথে ব্যাটালিয়ানে স্বাগত জানাই সামরিক ঐতিহ্য বজায় রেখে। অফিসিয়ালি তখন তারা ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের অংশ এবং আমরা তাদের সেই অনুযায়ী থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা করি। ভারতীয় প্লাটুনটির অধিনায়ক ছিল মেজর মাহাদেক (চাকুরী ১৫ বছর মারাঠী বয়স ৩৫+ সাথে দুই ক্যাপ্টেন, একজন ক্যাপ্টেন ছিল পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী)

ভারতীয় কমান্ডোর আসার পরদিন থেকে শুরু হল ট্রেনিং। প্রথম দিন সকালে শুরু হল কমান্ডো পিটি তারপর ইম্প্রোভাইজড পদ্ধতিতে বিল্ডিং আরোহন ও অন্যান্য প্রশিক্ষণ। আমাদের একটি প্লাটুন এবং ভারতীয় প্লাটুনটি একই সাথে একই প্রশিক্ষণ করে যাচ্ছিল। আমি সহ সবাই কনসার্ন ছিলাম আমাদের কমান্ডোদের মান যেন কোন ভাবেই ভারতীয়দের থেকে কম মনে না হয়। তবে এসব প্রশিক্ষণে কোন মান যাচাইমূলক পরীক্ষা না থাকায় কাদের মান ভাল তা বোঝা দুষ্কর। যাহোক পরদিন ছিল সকালে টাইগার চেজ রান।(পাহাড়ের উঁচু নীচু বন্ধুর রাস্তায় ২.৫ মাইল দৌড়) আমি নিজে সেদিন কমান্ডোদের সাথে টাইগারচেজে অংশগ্রহণ করি এবং আমার এইম ছিল ন্যূনতম মেজর মাহাদেকের আগে আসা, আমি সেদিন মেজর মাহাদেক ও ভারতীয় দুইজন জেসিওর আগে দৌড় শেষ করি। দৌড়ঝাপ সহ প্রায় সব প্রশিক্ষণেই আমার বিবেচনায় আমাদের কমান্ডোরা বরাবরই ভাল দক্ষতা প্রদর্শন করছিল।

প্রশিক্ষণের শেষে একটি কাউন্টার টেররিজম রেইড বা হানা ছিল। আমি সেই হানার কমান্ডার হিসাবে মেজর মাহাদেককে নির্বাচন করি এবং এর পরিকল্পনা রেকী এবং একজিকিউসন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। আমার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় রণকৌশল সরেজমিনে বোঝা। ভারতীয় অফিসারের পরিকল্পনা এবং মডেলে তৈরী করে রেইডের মৌখিক আদেশ দেওয়াটা আমাদের প্রসিডিউর থেকে ভিন্ন এবং আমার মতে কিছুটা বিস্তারিত বলব কারণ আমরা এসওপি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর গুলো মৌখিক আদেশে বিস্তারিত বলি না কিন্তু ভারতীয় কমান্ডোরা বিস্তারিত বলে। তবে তাদের টার্গেটের রেকী বা পর্যবেক্ষণে আমার কাছে অসম্পূর্ণ মনে হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণ করেছে চাঁদের আলোয়, তারা ইচ্ছা করলে সেই সময় চাঁদ ডুবে যাবার পর আরও কাছে থেকে টার্গেট পর্যবেক্ষণ করে রেইডের মুল দলকে টার্গেট বিল্ডিং এর ৭০ ফিটের মধ্যে বসাতে পারত। শেষ পর্যন্ত তারা হানার মুল দলকে প্রায় ২৫০ফিট দুরে অবস্থান নিল। এবং তাদের প্রহরীদের নীরবে হত্যা বা সাইলেন্ট ডিসপোজ করার পরিকল্পনা ছিল না। তাদের মনে রাখা উচিত ছিল রাতের বেলা আরবান এলাকায় প্রহরীদের সাইলেন্টলি ডিসপোজ বা প্রথম শটে ডিসপোজ করতে না পারলে সেই রেইডের সাফল্যের সম্ভাবনা ৮০% কমে যাবে। ২৫০ ফিট দূর থেকে রাতের বেলা ফায়ার এফেক্টিভ হবার সম্ভাবনাও কম। যাহোক রেইড শেষ হলে পরদিন সকালের ডিব্রিফিং এ আমার সব অবজারভেশন দিয়ে তাদের মতামত দিতে বললে মেজর মাহাদেক স্বীকার করে যে তাদের মুনলাইট কন্ডিশনের সুযোগ নিয়ে আরো কাছ থেকে রেকী করার প্রয়োজন ছিল।

এরই মধ্যে ভারত বাংলাদেশের যৌথ প্রশিক্ষণ প্রায় শেষের দিকে চলে আসল। আমরা ভারতীয় কমান্ডোদের থেকে যে প্রধান বিষয়ে প্রকাশ্যই এগিয়ে ছিলাম তা হচ্ছে ফায়ারিং। একমাত্র এই ইভেন্টের রেজাল্ট (কে কতটা গুলি টারগেটে লাগিয়েছে) সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং আমাদের সৈনিকরা যেখানে ৯০%-৯৫% হিট করত সেখানে ভারতীয় কমান্ডোদের স্কোর ছিল ৫০%-৫৫%। এর মধ্যে ভারতীয় সেনাসদরের একটি প্রতিনিধি দল আসল এই প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে। সেই প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন তাদের মিলিটারী অপারেশনস্ ডাইরেক্টরের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একজন কর্নেল এবং তাদের স্পেশাল ফোর্সের একজন লে: কর্নেল। এছাড়া একদিন পর তৎকালীন ভারতীয় ডিফেন্স এটাসে ব্রিগেডিয়ার নায়ার তাদের সাথে মিলিত হন। আমার ব্রিফিংয়ের সময় তারা ভারতীয় স্পেশাল ফোর্স নিয়ে বেশ উচ্চ মর্গের কথাবার্তা বললেন, আমি সায় দিয়ে গেলাম। ব্রিফিং এর পর টিব্রেক করিয়ে তাদের কমান্ডো ফায়ারিং রেঞ্জে উভয় দেশের কমান্ডোদের শেষ একটি প্রতিযোগীতামূলক (আনঅফিসিয়ালি) স্পেশাল ফোর্স ট্যাকটিক্যাল ফায়ারিং দেখতে নিয়ে গেলাম।

ফায়ার চলাকালীন ভারতীয় পর্যবেক্ষণ দলের উচ্চমর্গের কথাবার্তা চলমান ছিল এবং তার অতি উৎসাহে প্রতিবার ফায়ারিং এর ফলাফল দেখার জন্য টার্গেট পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ধীরে ধীরে যখন তারা ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের ফায়ারের মান এবং ভারতীয় কমান্ডোদের ফায়ারের মানের অসমতা অনুধাবন করতে পারলেন তখন থেকে তাদের উচ্চমর্গের কথাবার্তা এবং বার বার টার্গেট পর্যবেক্ষণও বন্ধ হয়ে গেল এবং আলোচনার টপিক দুই দেশের আবহাওয়া এবং হলিউড বলিউডে পরিবর্তন হল।😄 এই সময় আমি তখন তাদের আমাদের প্রশিক্ষণের সময়কাল এবং কিভাবে আমরা তাদের যুদ্ধকালীন এবং শান্তিকালীন সময়ে কাউন্টার টেররিজম সহ অন্যান্য প্রশিক্ষণে তাদের সবসময় প্রস্তুত রাখি তা বর্ণনা করলাম।

এর পরদিন ছিল ভারতীয়দের সাথে আমাদের যৌথ প্যারাজাম্প। এতে একটা সমস্যা দেখা দিল, আমার জাম্প লগবই অনুযায়ী আমি শেষ জাম্প করেছিলাম প্রায় সাত বছর আগে আর ফ্রিফল জাম্পের একটি ব্যাসিক নিয়ম হল কোন প্যারাট্রুপার যদি এক বছরের বেশী জাম্পের বাইরে থাকে তবে তাকে প্রথমে একটি বেসিক জাম্প, ২য় একটি ৩-জে প্যারাসুট দিয়ে জাম্প পজিশন ঠিক রেখে জাম্প দিতে পারলে দায়ীত্বরত জাম্পমাস্টার তাকে টাইপ-৬ প্যারাস্যুট দিয়ে ফ্রিফল জাম্পের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করবে। আর আমরা জাম্পের জন্য এএন-৩২ বিমানের সর্টি পেয়েছিলাম মাত্র একটি। আমি কাল সরাসরি ফ্রিফল জাম্প দিব বললে আমার জাম্পমাস্টার অফিসার নিয়মটা মনে করিয়ে দিলে আমি বললাম Dear, since I am the senior most jumpmaster of the battalion I appreciate your advise and my decision is CO will free fall tomorrow with Indian special forces “ কোন সন্দেহ?😁 না স্যার 🤐

পরদিন আমি জাম্পের জন্য এয়ারপোর্টে গিয়ে সব প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করলাম, প্যারাসুট জাম্পে যেহেতু সামান্য ভুলেও কারও মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসতে পারে তাই এখানে ভুলের কোন স্থান নেই। একজন জাম্পমাস্টারের দায়িত্ব হচ্ছে যাতে কোন ভুল না হয় তা নিশ্চিত করা। জাম্পমাস্টারের দায়িত্ব পালন করছিল মেজর হাসিব (বর্তমানে লে:কর্নেল) একজন সুদক্ষ এবং প্রশিক্ষণে তাকে আমি কখনোই ছাড় দিতে দেখিনি, আমি জাম্পের আগে ও পরে কোথাও সামান্য ভুলও ধরতে সক্ষম হলাম না। প্রথমে আমরা উভয় দেশের বেসিক জাম্পারদের ৮০০ মিটার থেকে বেসিক জাম্প দেওয়ালাম ৩০+ জনকে। তাদের জাম্প শেষে বিমানকে আমরা ১০,০০০ ফিট উচ্চতায় নিয়ে গেলাম এবং বরাবরের মত আমিই ছিলাম প্রথম জাম্পার। এখানে আমাকে বলতেই হবে প্রায় ৭ বছর পরে ৪৪ বছর বয়েসে ফ্রিফল জাম্প দিলে ভয় পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক.......আমিও ভয় পেরেছিলাম কিন্তু আমার আত্মবিশ্বাস ছিল আমি যখনই বিমানের বাইরে পা রাখব তখনই আমি আমার ভেতর সেই পুরোনো অকুতোভয় প্যারাট্রুপারকে খুঁজে পাব এবং তাই হয়েছিল। যদিও আমি অনেকদিন পর জাম্প দিচ্ছিলাম তাই আমি অতিরিক্ত সতর্ক ছিলাম এবং সে কারনেই আমার আকাশে পজিশন খুব ভাল ছিল। পজিসন ঠিক দেখে আমি অলটিমিটারে চোখ রাখলাম তখন মাত্র ৯০০০ ফিট........বেশীর ভাগ প্যারাট্রুপারই আকাশে প্যারাস্যুট খোলার পর দুনিয়ার অপার সৌন্দর্য আকাশ থেকে দেখে আবেগ প্রকাশ করে। তবে আমি স্কাইডাইভিং করার প্রথম দিন থেকেই বিমান থেকে এক্সিট হবার পর থেকে প্যারাস্যুট খোলার আগের সময়টা বরাবরই বেশী উপভোগ করেছি। প্রথম দিকে যখন আকাশে নিজের পজিসন ধরে রাখতে পারতাম না তখন আকাশে রোল/ডিগবাজী খাবার সময় একবার আকাশ একবার মাটি দেখতাম তখন এক ধরনের মজা ছিল আর এখন পজিসন ঠিক থাকলে এক ভাবে ৫০/৬০ ফুট প্রতি সেকেন্ডে পড়তে থাকার মজা যে এটা উপভোগ না করেছে তাকে বোঝানো যাবে না। ........আস্তে আস্তে যখন ৫০০০ ফিট দাগ অলটিমিটারের কাটা অতিক্রম করল আর আমি রিপকর্ড টেনে প্যারাসুট খুলে দিলাম।

প্যারাসুট খোলার পর আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম ভারতীয় ডেলিগেশনের সামনে মার্কিং করা ছোট গোল ভূমিতে অবতরণ করার জন্য। আমি সফল ভাবে অবতরণ করার পর ডেলিগেশন প্রধান উঠে এসে করতালি দিয়ে আমাকে উৎসাহ দিলেন.......আমিও তাদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। ড্রপ জোনে আমরা সেনাবাহিনীর ঐতিহ্যবাহী টি-ব্রেকের পর ডেলেগেশন প্রধান সবার সাথে কথা বললেন এবং উভয় দেশের প্যারাট্রুপারদের প্রশংসা করলেন যা তারা পাওয়ার যোগ্য।

এই প্যারাজাম্পই ছিল বাংলাদেশ-ভারত স্পেশাল ফোর্সের শেষ প্রশিক্ষণ। তারপর দিন ছিল ক্লোজিং সিরিমনি। আমরা উভয়ই একে অপরের প্রশংসা করে সফলভাবে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করলাম।

এই যৌথ প্রশিক্ষণ শেষ হবার আনুমানিক ১৫/২০ দিন পর মিলিটারি ট্রেনিং পরিদপ্তর থেকে একজন সিনিয়ার অফিসার ফোন করে বলল:

-মোস্তাফিজ কংগ্রাচুলেশন, তোমাদের বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রশিক্ষণে তোমার ছেলেরা তো খুব ভাল করেছে! ভেরী গুড।

-স্যার আমিতো এখনো ইভালুয়েসন রিপোর্ট পাঠাইনি! কোথা থেকে ফিডব্যাক পাইলেন?

-তোমাকে বলবো। তুমি সেনাসদরে কনফারেন্সে যখন আসবা তখন আমার সাথে দেখা করবা।

-ওকে স্যার।

এর এক সপ্তাহ পর আমি সেনা সদরে স্যারের সাথে দেখা করে যা জানলাম:

তৎকালীন ভারতীয় ডিএ (ডিফেন্স এটাসে) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নায়ার, স্যারের সাথে দেখা করে আমাদের প্রশিক্ষণের অনেক প্রশংসা করে আমাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণের সিলেবাস চাইল! প্রতিবেশী দেশের কমান্ডোদের সাথে যৌথ প্রশিক্ষণই একটি অসম্ভব ব্যাপার আর এখন তাদের আবদার আমাদের ট্রেনিং সিলেবাস তাদের দিতে হবে! যাহোক ট্রেনিং ডাইরেক্টর তার স্যাথে কূটনৈতিক ভাষা ব্যাবহার করে ব্রিগেডিয়ার নায়ারকে খালি হাতে ফেরত পাঠানো হল। তবে তিনি আশা ছাড়েন নি, এর পর তিনি ডিএমআই(ডাইরেক্টর মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স) বরাবর আর্মি কমান্ডো কোর্সের সিলেবাস চেয়ে একটি ডেমি অফিসিয়াল লেটার লিখলেন। সেখান থেকেও তাকে সহযোগীতা করা হয় নি। আমরা বেশ খুশী ছিলাম ভারতকে আমাদের সিলেবাস দেয়া হয়নি বলে।

তবে আমার ভুল ভাঙতে বেশি দিন সময় লাগে নি। সম্ভবত ২০১৫ সালে আমি তখন ৩য় বারের মত ওসি এএসইউ সিলেট।তখন এক সন্ধায় জানতে পারলাম এসআইএন্ডটির জেসিএসসি কোর্সের ক্যাপ্টেন উদ্ভাস চাকমা শুক্র শনি দুই দিন ছুটির পর অনুপস্থিত। (আমি কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক থাকাকালীন উদ্ভাস ব্যাটালিয়ানে পোস্টিং আসে এবং আনুমানিক ৪/৫ মাস পরে ইউএন মিশনে চলে যায়।) আমি প্রথমে এর বিস্তারিত জানার জন্য একজন সার্জেন্ট পাঠালেও কি মনে করে আমি নিজে স্টুডেন্ট আফিসার মেসে তার ব্যাটম্যানের সাথে কথা বলতে গেলাম। পাঁচ মিনিট কথা বলেই বুঝলাম সে দীর্ঘ পরিকল্পনা করে অনুপস্থিত। আমি সাথে সাথে আমার হেডকোয়্টারে অবগত করে জরুরী তার পার্বত্য চট্টগ্রামে তার বাড়ীতে খোঁজ নেয়ার সুপারিশ করলাম। শেষ পর্যন্ত জানা গেল ক্যাপ্টেন উদ্ভাস তার বেগম সাহেবা সহ ভারতে পলাতক।

২য় পর্ব:

লে: উদ্ভাসকে আমি প্রথম দেখি সম্ভবত ২০১২ সালে তার আর্মি কমান্ডো কোর্সের শেষ ক্যাম্প ফায়ার/গালা নাইটে। সে ছিল অনুষ্ঠানের একজন সক্রিয় অংশগ্রহণকারী। সে নিজে গিটার বাজিয়ে ব্যান্ড সংগীতসহ সে কোরাসের লিড গায়ক ছিল। আমার কাছে তার পারফর্মেন্স বেশ ভালোই লেগেছিল। অনুষ্ঠান শেষে সে নিজেই এগিয়ে এসে আমার সাথে দেখা করে ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে পোস্টিং আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। তার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড এবং নিজেকে সপ্রতিভ ভাবে উপস্থাপনা আমার কাছে বেশ আশাপ্রদ মনে হয়েছিল। তবে খোঁজ নিয়ে জানলাম তাকে প্রশিক্ষকরা বিশেষ করে এনসিও প্রশিক্ষকরা তাকে বিশেষ পছন্দ করে না.....তবে বিষয়টা আমি তেমন পাত্তা দেইনি কারন আমি লে: হিসাবে এই কোর্স করার সময় কয়েকজন প্রশিক্ষক আমাকেও পছন্দ করত না 😁!

আমি আমার ব্যাটালিয়ানের অফিসারদের মাঝে পরদিন সম্ভাবত সেন্ট্রাল টি ব্রেকে বা অন্য কোন সময় তার সম্বন্ধে ভালো কিছু বলায় এক অফিসার বলল স্যার ছেলেটা বেশ স্বার্থবাদী, নিজেরটা ছাড়া কিছু বোঝেনা, তা ছাড়া সে মাঝে মাঝে ড্রাংক হয়ে আসত। আমি বললাম ড্রিংক করা তার ব্যাক্তিগত বিষয় তবে এটা যদি তাকে কোন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে না যায় তবে কোন সমস্যা নেই, দেখা যাক।

উদ্ভাসের এক নিকটআত্মীয় তখন সেনাসদরে এক শাখার ডাইরেক্টর জেনারেল (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল), তার মাধ্যমে সে কমান্ডো প্রশিক্ষণের পরই ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে পোস্টিং আসার জন্য তদবীর শুরু করে। লে: উদ্ভাস এর কিছুদিন পর ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে পোস্টিং আসল, আমি খুশি হলাম তার সাথে প্রথম ইন্টারভিউতে তাকে স্বাগত জানালাম এবং উৎসাহিত করার চেষ্টা করলাম। যেহেতু আমি নিজে কখনো পিটিতে অনুপস্থিত থাকতাম না তাই দেখলাম প্রায়শই সে পিটিতে অনুপস্থিত বা দেরিতে আসে। আমি তাকে তার কোম্পানি কমান্ডারের মাধ্যমে উপদেশ দেওয়ালাম সে যেন পিটিতে কখনো অনুপস্থিত বা দেরি না করে। এর পর থেকে যখন আমি কোন অফিসিয়াল কাজে সকালে থাকতাম না তখন শুধু সে অনুপস্থিত থাকত। এছাড়া তার বিষয়ে অন্যান্য যে সব অভিযোগ ছিল তা হচ্ছে তার সিনিয়ার অফিসারদের সাথে বেয়াদবি করা, সিনিয়ারের আদেশ না শোনা, কোন প্রশাসনিক কাজ দিলে বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা। তার ব্যক্তিগত বেশির ভাগ সময় সেনানিবাসের বাইরে কাটানো। তবে আমি সবচেয়ে তার যে বিষয়টি অপছন্দ করতাম তা হচ্ছে অফিসার মেসে এবং ব্যাটালিয়ানের ক্যান্টিন থেকে দরাজ দিলে খরচ করে কখনো বিল না দেয়া। কমান্ডো ব্যাটালিয়ানে প্রায় ৫/৬ মাস থাকার পর তার নাম এল ইউএন মিসনে (সুদান)। তাকে আমরা অফিসিয়ালি বিদায় জানাব এর মধ্য এ্যাডজুট্যান্ট জানালো লে: উদ্ভাসের কেন্টিন ও মেস মিলিয়ে অনেক টাকা বাকি কিন্তু সে বলতেছে যাওয়ার আগে সে টাকা দিয়ে যেতে পারবে না। আমি সোজা বলে দিলাম সে বিল না দিলে নো ফেয়ারওয়েল পার্টি ফর হিম। তার পর সে সব বিল ক্লিয়ার করল।

এরপর উদ্ভাস মিশনে গেল এবং সম্ভবত সেখান থেকে এসে বিয়ে করল অথবা মিশনে যাবার আগে বিয়ে করল সময়টা মনে করতে পারছি না। তখন আমি একজন অফিসারকে গিফ্টসহ তার বিয়ের অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাঠিয়েছিলাম। এখনে বলে রাখি লে: উদ্ভাস তৎকালীন চাকমা রাজার নাতি।

এবার চলে আসি চলমান ঘটনায়, কিছুদিনের মধ্যে যেটা জানা গেল উদ্ভাস পরিকল্পিত ভাবে সিলেট থেকে বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম যায়.......সেখান থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে গেছে। এটা অনেকটা আমেরিকা রাশিয়ার কোল্ড ওয়ার চলাকালে একদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির অন্যদেশে ডিফেক্ট করার মত। আমাদের প্রশ্ন ছিল ভারততো আমাদের (কথিত) বন্ধু রাষ্ট্র তবে উদ্ভাস কেন ভারতে চলে গেল? সাথে কি নিয়ে গেল? তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনো সংশয় ছিল না এটা বুঝতে যে উদ্ভাস আমাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণের সকল দলিল দস্তাবেজ সাথে নিয়ে গেছে।

এর অনেকদিন পর (সম্ভবত ২০১৬) সালে জানতে পারলাম আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত উদ্ভাসকে ফিরত দিয়েছে! আমি তখন বিজিবিতে জয়পুরহাট/হিলি সীমান্তে চাকুরীরত। আমি তখন নিজে উপযাজক হয়ে এ বিষয়ে কয়েকজন সিনিয়ার অফিসারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তারা তাদের সিনিয়ারিটির প্রটোকল ব্যাবহার করে আমাকে এড়িয়ে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত একজন অফিসারকে পেলাম যিনি উদ্ভাস প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কোর্ট অব ইনকোয়ারীর সদস্য। তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করলাম স্যার উদ্ভাস কেন ভারতে পালালো আর সাথে কিছু কি নিয়ে গেছে? তিনি বললেন আরে মিয়া সে তো তোমাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণের সিলেবাস সহ তোমাদের ব্যাটালিয়ানের প্রশিক্ষণের বিস্তারিত নথি সাথে নিয়ে গেছে! আমি তখন স্যারকে ব্রিগেডিয়ার নায়ারের এমটি পরিদপ্তর থেকে কমান্ডোদের সিলেবাস চাওয়া ও পরবর্তীতে ডিএমআইকে ডিও লেখার বিষয়ে বিস্তারিত বলার পর তিনি বেশ ঘাবড়ে গেলেন তবে নিশ্চিত করলেন ইনকোয়ারী বোর্ড এসব তথ্য জানে না। আমি স্যারকে বললাম আপনিতো বোর্ডের সদস্য আপনি আমাকে সাক্ষী হিসেবে ডাকেন এবং এমটি ডাইরেক্টরস এর সেই অফিসারকেও তথ্য যাচাই করতে ডাকতে পারেন। তিনি বললেন আমার দ্বারা এটা সম্ভব না। আমি তখন বললাম আমি তাহলে নিজে থেকে তাদের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠাই, আমাকে ইনকোয়ারী বোর্ডের ব্যবহারিত ইমেইল অ্যাড্রেস দেন। তিনি তখন আমাকে ইমেইল এড্রেস দিলেন এবং আমি সেখানে সব সাক্ষীদের নাম উল্লেখ করে বিস্তারিত জানাই.......তবে পরবর্তীতে আমাকে কোন রিপ্লাই বা সাক্ষীর জন্য ডাকে নি বা ইনকোয়ারী বোর্ডে এসব ঘটনা আমলে নিয়েছে কি না তা আর জানতে পারিনি।

এরপর আমি আমার অবসর গ্রহণ আর ইউএসএতে আসার প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাস্ততা আর কতৃপক্ষের আমাকে না জানানোর চেষ্টায় বিরক্ত হয়ে এ বিষয়ে আর খোঁজ নেই নি। তবে এই স্ট্যেটাসের প্রথম অংশ লেখার পর কিছু উৎসাহী দেশপ্রেমী বন্ধু নিজ থেকে খোঁজ নিয়ে আমাকে জানিয়েছে। বর্তমানে সে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আইসোলেসন সেলে আছে, তাকে রাত দিন ২৪ ঘণ্টা একজন কারারক্ষী পাহারা দেয়। তবে তার কত বছরের জেইল বা কি সাজা হয়েছে জানতে পারি নি।

তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলেছে এমন একজন জানালো তাকে নাকি আইএসআই এর এজেন্ট বানিয়ে বাংলাদেশ আর্মি তাকে ফাঁসিয়েছে। তার স্ত্রীর সাথে নাকি কয়েকজন অফিসার অসৌজন্যমূলক ব্যাবহার করেছে। তার মুক্তির ব্যাপারে বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশনার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কিছু অফিসার তৎপর। (এডিটেড স্ক্রীনশট সংযুক্ত) সে আরও বলেছে তৎকালীন ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক এবং উপঅধিনায়ক সম্বন্ধে তবে আমার ধারণা সেটা সে বলেছে তার দেওয়া মিথ্যা বক্তব্যকে বিশ্বাসযোগ্য করতে।

আর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরেছি ভারত তাকে সেই দেশের কর্নেল সমমর্যাদায় তাদের কমান্ডোদের প্রশিক্ষক কাম উপদেষ্টা হিসাবে রাখা হবে এই প্রলোভন দিয়ে তাকে (স্ত্রী সহ) আমাদের কমান্ডো প্রশিক্ষণের বিস্তারিত সিলেবাস নিয়ে যেতে প্ররোচিত করে। সে সেখানে যাওয়ার পর তাকে রীতিমত ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়, দীর্ঘদিন ধরে চলে তার নিয়ে আসা দলিলদস্তাবেজ নিয়ে ডিব্রিফিং। তবে তার প্রয়েজন শেষ হলে আমাদের বন্ধু ভারত তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিল। পৃথিবীর অন্য যে কোন দুটি বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে এমন ঘটনা হলে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে একটি বড় ধরণের বিপর্যয় হতো আর আমরা কত কিউট জাতি আমরা মাইন্ড করি না বন্ধুর এমন ব্যবহারে।

তবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কর্মরত দেশপ্রেমিক গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ যাদের আমি চিনতাম তার আজ কোথায়? তারা তো এখন আরো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আছে.....এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য কি আমার বড়ো জানতে ইচ্ছা করে।

এই ঘটনা আসলে প্রমাণ করে আমাদের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকার পরও আমরা কতটা অসহায় জাতি। আমি নিশ্চিত ক্যাপ্টেন উদ্ভাস সাগা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আইসোলেসন সেলেই শেষ নয়। তাকে ভারত শুধু কমান্ডো প্রশিক্ষণের সিলেবাস নেয়ার মাধ্যমে তার প্রয়োজন শেষ হয়নি। তাকে নিয়ে তাদের আরও বড় বৃহৎ পরিকল্পনা আছে। আমি জানি সরকারী প্রতিটি সংস্থায়ই উচ্চপর্যায়ে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রভাব রয়েছে তাই ভবিষ্যতে কোন সহিংস রাজনৈতিক টার্ময়েলে হয়ত এই উদ্ভাস ভারত নিয়ন্ত্রিত তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। সাধু সাবধান।"

Sheza Khan
shezakhan
552 Points

Popular Questions