Answered 2 years ago
প্রথমত, বাংলাদেশের কোন সরকারই আন্তরিকভাবে চায়নি জনসংখ্যা কমানোর, যতটুকু প্রচেষ্টা হয় সবই WHO , UNICEF এবং foreign NGOs এর মাধ্যমে, কিন্তু লাভ নেই তাতে কোনো। বাংলাদেশের প্রতিটি মসজিদে মুয়াজ্জিনরা প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পরে "ইসলামের ভবিষ্যত সৈনিক" হিসাবে মানুষকে আরও অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর জন্ম দিতে বলে, প্রত্যেক শুক্রবার দুপুরে কানে ভেসে আসে কথাগুলা।
যদিও বাংলাদেশ নিয়ে আমার লেখা উচিত না, লিখতে ইচ্ছাও করে না কিন্তু কিছু কথা না বললেই নয়। কারণ সবাই যদি responsibility এড়িয়ে যায়, তাহলে এই অভিশপ্ত বঙ্গভূমি আরো জরাজীর্ণ হতে থাকবে।
কি বাজে অবস্থা হয়েছে দেশটার! এতটুকু দেশ, খালি লোক আর লোক কিলবিল করছে, বসার জায়গা নেই, ঘোরার জায়গা নেই, মারামারি কাড়াকাড়ি লেগেই আছে সবসময়! জঙ্গলে জায়গা কিনতে গেলেও কোটি টাকা খরচ হচ্ছে, প্রকৃতি-পরিবেশ বনাঞ্চল জীবজন্তু সবই উজার হয়ে গেছে বহু আগেই!
"মুখ দিসেন যিনি, আহার দেবেন তিনি"—এই নীতির অনুসারীরা পরিবার পরিকল্পনা (Family-Planning) ঘোরবিরোধী, তারা এটাকে "ইহুদি পশ্চিমাদের চক্রান্ত" মনে করে!
এমনই এক আজব দেশ, সভ্যতা শিখাতে গেলে নিজের জীবন ই চলে যাওয়ার ভয় আছে!
সম্প্রতি, "নুপুর সাহা" নামে এক হিন্দু পরিবার পরিকল্পনা মাঠ-কর্মী ধর্ষিত ও নিহত হয়েছে, এই মোল্লা শ্রেণীর দ্বারা।
এটা সহজ, তারা কিছু মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজ শিল্পপতিদের অর্থনীতিকে খাওয়ানোর জন্য আরও সস্তা দাস শ্রমিক চায়। এই তৃতীয় বিশ্বে জরাজীর্ণ দেশগুলির (ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান) অর্থনীতি চলে এই ওপেন সিক্রেটের ভিত্তিতে! থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশগুলোর একটা লেভেল আছে , যেখানে বাংলাদেশে আরো নিচে অবস্থান করছে। সেজন্য দেখেছেন? আপনাদের দেশে শ্রমিকের জীবনের কোন value নেই ,আগুনে পুড়ে কিংবা এসিডে ঝলসে গেলেও কারো কিছু যায় আসে না ।
sopnil.sopno publisher