কিভাবে ডিপ্রেশন এবং ইরেকটাইল ডিস ফাংশন মোকাবেলা করব?

1 Answers   7.5 K

Answered 2 years ago

ধন্যবাদ শাকিল আহমদ আমাকে উত্তরের অনুরোধ করার জন্য।

প্রথমত আমি কোনো Psychologist বা Sexologist নই, তবুও চেষ্টা করছি উত্তর দেওয়ার।

প্রথমে ডিপ্রেশন বা অবসাদ থেকে বেরোনোর উত্তর দিই।

ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তা বা অবসাদ হল অধিক নেতিবাচক মানসিক চিন্তার প্রভাব যা সম্পূর্ণভাবে মানুষের নিজের তৈরি যা এমন কী জেনেটিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে কারণ এই সমস্যা বাবা কিংবা মা এর থাকলে তাদের সন্তানের মধ্যেও 30% থেকে 40% চান্স বৃদ্ধি পায় অবসাদ গ্রস্থ হওয়ার।

সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার দুশ্চিন্তা এবং অবসাদ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগ কারণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যেসব মানুষ দুশ্চিন্তা শিকার তারা মধ্যে 50% – 60% ভাগ ক্ষেতে রোগীরা অবসাদের শিকার এবং একি রকম ভাবে দেখা গেছে যারা অবসাদের শিকার তাদের মধ্যে 50% – 55% মানুষ ভয়ানক দুশ্চিন্তার শিকার।

ডিপ্রেশন এর লক্ষণ আপনি নিজের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন বলেই এই প্রশ্ন করেছেন। তাই লক্ষণ সম্পর্কে বলে উত্তর দীর্ঘ করব না। তাই সরাসরি ডিপ্রেশন কমানোর উপায় তে চলে যাচ্ছি।

    Over thinking বা বেশি চিন্তা ডিপ্রেশন বাড়িয়ে তোলে। তাই একটা বড় শ্বাস নিয়ে মনে মনে বলুন, be relax, all is wright. কারণ আপনি বেশি চিন্তা করে কখনোই বেশি কাজ করতে পারবেন না। আর বেশি কাজ না করতে পারলে আপনি আরো ব্যর্থতার পথে চলে যাবেন ফলে আবারো সেই ডিপ্রেশন এই পৌঁছবেন। তাই বেশি চিন্তা করা বন্ধ করুন।
    Over expectations বা অধিক প্রত্যাশা কখনোই করবেন না কারোর কাছে। এর থেকে অধিক হতাশা গ্রাস করবে। মোট কথা, জীবন থেকে পুরোপুরি এই অধিক ব্যাপার টা কে খারাপ দিকগুলো থেকে সরিয়ে নিন। আমি বলতে চাইছি, অধিক চিন্তা, অধিক প্রত্যাশা থেকে অধিক হতাশায় নিজের জীবন কে না জড়িয়ে, অধিক পরিশ্রম, অধিক চেষ্টা, অধিক ধৈর্য্য থেকে অধিক সাফল্য অর্জন করুন। ইতিবাচক দিক দিয়ে অধিক শব্দটিকে ব্যবহার করুন, নেতিবাচক দিক দিয়ে করলেই হতাশা।
    জীবনে কি পাননি তা নিয়ে ভাববেন না। কার কাছে খারাপ ব্যবহার পেয়েছেন তা মনে রাখবেন না। মাথায় রাখবেন, আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন ভুলবশত অনেক বার পড়ে গিয়ে পা কেটে গেছে কিন্তু আজ সবটাই ঠিক হয়ে গেছে, আপনি চলতে পারছেন । অনেক কেটে যাওয়া তে দাগ থেকে যায় আবার কিছু কিছু দাগ উঠেও যায়। তাই খারাপ জিনিস, খারাপ ব্যবহার গুলো নয় পুরোপুরি ভুলে যান যেমন যেই পড়ে যাওয়া গুলোতে কাটা দাগ পুরোপুরি উঠে গেছে আর যদি ভুলতে না পারেন তাহলে ওগুলো কে সঙ্গে নিয়ে অর্থাৎ যেই দাগ গুলো পড়ে যাওয়ার ফলে রয়ে গেছে সেগুলো কে সঙ্গে নিয়ে আজ যেমন হাঁটছেন ঠিক তেমনই অল্প অল্প করে কিছু করার চেষ্টা করুন। জোর করে দুঃখ ধরে রাখার থেকে জোর করে ভালো কিছু করার মানসিকতা তৈরি করুন যাতে নিজে ভালো থাকতে পারেন।
    আর মনের মধ্যে কিছু চেপে রাখবেন না। যদি বলার মতো কাউকে না পান তো কোনো ডায়রির পাতায় লিখে রাখবেন।
    গান শুনুন, মজার বই পড়ুন, মজার ভিডিও দেখুন। ভালো থাকুন, জীবন টা খুব ছোট। কাল কিয়া হো গা কিসকো পাতা, আভি জিনদেগী কা লে লো মজা!

এবার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিই ইরেকটাইল ডিস ফাংশন বা নপুংশতা এর মোকাবিলা করার উপায় বলা যাক।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন

শারীরিক ও মানসিক দু’ধরনের কারণই প্রভাব ফেলতে পারে।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন কী?

ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা উত্থান ত্রুটি; সহজ ভাষায় যাকে বলে যৌন অক্ষমতা বা দুর্বলতা। এটি পুরুষদের জন্য খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। যৌন মিলনের পূর্বশর্ত হলো, পুরুষের লিঙ্গের উত্থান ঘটবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, মিলনের পূর্বে পুরুষের লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান ঘটছে না। কিংবা কারও কারও আবার উত্থান ঘটলেও তা বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এর ফলে পরিপূর্ণ যৌন মিলনও সম্ভব হচ্ছে না। একজন পুরুষের লিঙ্গের এরূপ উত্থানজনিত সমস্যাকেই বলা হয়ে থাকে ইরেকটাইল ডিসফাংশন।

ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মনস্তাত্ত্বিক কারণ:

লিঙ্গের উত্থানের পেছনে মস্তিষ্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের থেকে পাওয়া সঙ্কেতের মাধ্যমেই একজন পুরুষ তার দেহে যৌন উদ্দীপনা অনুভব করতে থাকেন, তার মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে তার লিঙ্গের উত্থান ঘটে। কিন্তু মস্তিষ্ক যদি স্বাভাবিক না থাকে, তার প্রভাব পড়ে লিঙ্গের উত্থানে। ফলে, সৃষ্টি হয় ইরেকটাইল ডিসফাংশন। সরাসরি এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ে চলে যাচ্ছি।

ইরেকটাইল ডিসফাংশন থেকে বাঁচার উপায়:

একবার যদি কোন ব্যক্তি ইরেকটাইল ডিসফাংশনের শিকার হয়েই যান, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ওষুধ সেবন করতে হবে, ইনজেকশন নিতে হবে, সার্জারি করাতে হবে কিংবা নিছকই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। আর যারা এখনও ইরেকটাইল ডিসফাংশনের সম্মুখীন হননি, তাদের উচিত হবে সুস্থতা ধরে রাখার জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করা:

ক) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা;

খ) শারীরিক সমস্যার অতীত ইতিহাস থাকলে, কিংবা না থাকলেও প্রতিবছর অন্তত একবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেক-আপ ও মেডিক্যাল স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে আসা;

গ) ধূমপান পুুুরোপুরি বর্জন করা, এ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা সীমিত করা কিংবা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পুরোপুরি এড়িয়ে চলা, অবৈধ নেশাদ্রব্য ব্যবহার না করা;

ঘ) নিয়মিত শরীরচর্চা করা;

ঙ) অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণের বদলে সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করা;

চ) রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নেয়া;

ছ) মানসিক চাপ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা বা অন্যান্য সমস্যাকে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

তাছাড়া অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই ইরেকটাইল ডিসফাংশন কোন দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা নয়, বরং সাময়িক একটি জটিলতা মাত্র। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমেই এই জটিলতা থেকে দূরে থাকা যায়।

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন

Anwoer Islam
Anwoer
353 Points

Popular Questions