Answered 2 years ago
আমরা যখন স্কুল কলেজে পড়েছি তখন টেস্ট পেপার, সাপ্লিমেন্ট পাওয়া যেতো। সেখানে বহু বিখ্যাত স্কুল-কলেজ এবং সকল বোর্ডের প্রশ্ন থাকতো। আমরা সেখান থেকে প্রশ্নের ব্যাপারে একটা ধারানা নিতে পারতাম এবং বাসাতেই চর্চা করার একটা সুযোগও পেতাম।
ঠিক একই কাহিনী এই ক্যামব্রিজ বই গুলোতেও। প্রতিদিন দুনিয়া জুড়ে শত শহরের, হাজার হাজার কেন্দ্রে IELTS পরীক্ষা হচ্ছে। সেই পরীক্ষারগুলোর প্রশ্নপত্র থেকে ৪ টা মডিউলে ৪ টা করে মোট ১৬ টা প্রশ্ন বাছাই করে নেয়া হয় এবং পূর্ণাঙ্গ ৪ টা টেস্ট হিসেবে সাজানোর পর একটি বই হিসেবে তা বাজারে ছাড়া হয়।
আপনি যখন মূল পরীক্ষায় বসবেন তখন এমন প্রশ্নই আপনার সামনে আসবে যেমনটা আপনি বাসায় ক্যামব্রিজ বইগুলো থেকে চর্চা করে গেছেন। সেখানে আপনি একই ছাচের একই মানের ভিন্ন প্রশ্ন পাবেন।
প্রশ্নের ধরণ একই থাকলেও কেন্দ্রে সকল পরীক্ষার্থী-ই একটু মানুষিক চাপে থাকে। সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়, ভুল করে ফেলার একটা বড় ভয় থাকে, একটা প্রশ্নের উত্তর খোজে না পেলে অধৈর্য হয়ে যাওয়া চিন্তায় পরে বাকি উত্তরে গোলমাল করে ফেলা সহ বেশ কিছু অসুবিধা থাকে কিন্তু যখন আপনি বাসায় চর্চা করেন তখন দেখা গেলো লিসেনিং এর সময় আপনি বাক্য বুঝতে পারেন নি তাই ১০ সেকেন্ড রিপিট করলেন, রিডিং -রাইটিং এ ডিকশনারির সহায়তা নিলেন, ৬০ মিনিটের জায়গাতে আপনি ৭০-৭৫ মিনিট সময় নিয়ে আপনি উত্তর সম্পন্ন করলেন! এটা কিন্তু সেখানে হবে না। তাই তুলনামূলক কঠিন বলা চলে তবে প্রেক্টিস বুকের সাথে মূল পরীক্ষার প্রশ্নের মানে খুব বেশি তফাৎ হয় না, তফাৎ হয় পরিবেশে।
[কিছু তথ্য: প্রতিটি ক্যামব্রিজ বইয়ে সম্পূর্ণ [৪ টা মডিউল] ৪ টা টেস্ট থাকে। বাজারে ১-১৬ পর্যন্ত বই পাওয়া যায়, কিছুদিন আগে ১৭ বের হয়েছে।]
✘ উত্তরটি পছন্দ হলে আপভোট দিয়ে অনুসরণ করুন, দেওয়া তথ্যে কোনো ভুল থাকলে সঠিক তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন [উৎস সহ]।
agroni publisher