Answered 3 years ago
অল্প সময়ে ব্লগ লেখার জন্য, ৩ টা জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্নঃ
নির্দিষ্ট টপিকে যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকা।
গুছিয়ে লিখতে পারার মতো সক্ষমতা।
দ্রুত টাইপিং করতে পারা।
আপনার যদি উপরের ৩ টি গুণই থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই অল্প সময়ে ব্লগ লিখতে পারবেন।
ধরুন, আমি নিজে ফ্রিল্যান্সিং করি দীর্ঘদিন ধরে, এই সেক্টরের খুঁটি নাটি অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করেছি, কাছ থেকে দেখেছি বলে এই সেক্টর নিয়ে আমার একটা পরিষ্কার ধারণা আছে।
মাঝে মাঝে কোরাতে লেখার কারণে, লেখার চর্চাও রয়েছে হালকা।
আর আমার টাইপিং স্পিড আহা মরি খারাপ নয়।
সব মিলিয়ে, ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড যেকোন টপিক নিয়ে আমি খুব অল্প সময়েই ব্লগ লিখতে পারব।
কিন্তু, ব্যাপারটা যদি এখন প্লেনের ককপিট রিলেটেড হয়, তাহলে আমি কি করব…?
আমার তো ককপিট রিলেটেড, আহা মরি ধারণা নাই।
তাহলে আমাকে প্রথমে ককপিট সম্পর্কে খুব ভালো করে জানতে হবে।
গুগল থেকে ১৫-২০ টা আর্টিকেল পড়ে নিলে, তখন একটা ধারণা জন্মাবে, আর তখনই হয়তো কিছুটা গুছিয়ে লিখতে পারব।
সবার ক্ষেত্রেই একই ব্যাপার প্রযোজ্য।
সুতরাং, যেকোন অজানা বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে অবশ্যই আগে স্টাডি করে নিতে হবে খুব ভালো করে, তারপর একটা জ্ঞান তৈরি হলে, লেখা লেখি শুরু করতে হবে।
আর নিজের লেখার উন্নতির জন্য যা করতে পারেন, তা হচ্ছেঃ
কোরা বা ফেসবুকে নিয়মিত বিভিন্ন টপিক নিয়ে লিখতে পারেন।
লেখার আগে অবশ্যই কিছুটা স্টাডি করে নিবেন।
যাদের লেখা ভালো লাগে, এমন কিছু মানুষকে ফলো করতে পারেন। কোরা, বা ফেসবুকে। তাদের লেখা কেন ভালো লাগে, কিভাবে লিখেন তারা, সেগুলো ফলো করার চেষ্টা করবেন।
বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্ট পড়ার সময়ও তাদের লেখার ধরনটা খেয়াল রাখবেন।
লেখার সময় খেয়াল রাখবেন, পাঠকের মনের সকল প্রশ্নের উত্তর যেন আপনার লেখায় অন্তর্ভুক্ত থাকে।
নিয়মিত লিখতে থাকুন, ২-৩ মাসের মধ্যেই নিজের লেখার মধ্যে বিশাল পরিবর্তন দেখতে পাবেন, তারপর প্রোফেশনালি লেখালেখি চালিয়ে যেতে পারেন।
এই ভাবে লিখতে থাকুন। কয়েক মাস পর নিজের লেখায় কি পরিবর্তন পেয়েছেন, অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে আমার YouTube channel এ একটা ভিডিও আছে, চাইলে দেখতে পারেনঃ
fiazfuad publisher