কিছু আরবদের মনে এখনও কি মধ্যযুগের দাস প্রথার ভূত চেপে আছে? না হলে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মীদের উপর এত নির্যাতনের খবর পাওয়া যায় কেন?
15
0
1 Answers
4.9 K
0
Answered
2 years ago
আরব জাতি বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে সংখ্যালঘু এক জাতি। বিশ্বের মুসলমানদের মাত্র ২০% মুসলমান হচ্ছে আরব জাতি।
আরব সংস্কৃতিতে দাস প্রথা সেই মধ্যযুগ থেকেই ছিলো। শুধু আরব কেনো, ইউরোপের খ্রিষ্টান দেশেও দাস প্রথা ছিলো। সেই যুগে 'দাসী' বলতে বুঝাতো যার সাথে বিনা বাধায় 'সেক্স' করা যায়। তীব্র সেক্স পাগল যারা তাদের এক স্ত্রীতে হতো না। তারা বিয়েও করতো না। তাদের জন্য 'দাসী সংগম' ছিলো খুব লোভনীয় একটা ব্যাপার। দাস-দাসী কেনা বেচা হতো। সেক্স করার জন্য পুরুষের জন্য দাসী এবং নারীর জন্য দাস কিনতে পাওয়া যেতো।
আরবের ঐ যুগকে ইসলামে বলে আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ। ইসলাম আসার পরে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয় নি বা দাসীদের সাথে সেক্স করাও হারাম করা হয় নি কিন্তু দাসীদের উপ-পত্নী হিসেবে মর্যাদা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। দাসী ভোগ করতে হলে তাকে স্ত্রীর মতো অধিকার , দাসীর ঘরে বাচ্চা হলে তাকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নেয়া এসব অধিকার দিয়েছিলো ইসলাম কিন্তু আরব সংস্কৃতিতে দাসী ভোগ এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে ইসলামের বিধিনিষেধও তারা মানতো না।
ফলে কাজের মেয়ে বা গৃহকর্মী মানেই সে যৌন দাসী এই ব্যাপারটা সৌদি আরবের লোকদের মধ্যে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে।
বাংলাদেশি নারী যখন সৌদি আরবে যায় জীবিকার তাগিদে তখন সে মনে করে 'ইসলামের পবিত্র ভূমিতে' পবিত্র মানুষদের মাঝে যাচ্ছে। সবার এই ভাগ্য হয় না। নবীর দেশে যাওয়ার ভাগ্য সবার হয় না। হজ্জ, ওমরাহ ছাড়া ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ার ভাগ্য সবার হয় না।
সেখানে টাকাই টাকা, মনে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশি অসহায় নারীটি ভিন্ন সংস্কৃতির সৌদি আরবে গিয়ে প্রথম দিকে বুঝতে বুঝতে তার কেটে যায় অনেকটা সময়। আরবী ভাষা তো কিছু বুঝেই না। বাংলাও সেখানে বলতে পারে না। আরবেরা বির বির করে আরবীতে কি জানি বলে, বাংলাদেশি মহিলা অসহায়ের মতো চেয়ে থাকে। সে ভাবে, নবীর দেশের মানুষ। অবশ্যই ভালো মানুষ হবে।
সরল বিশ্বাসে বাংলাদেশি নারী সেই আরব লোকটির কাছে যায়। আরব লোক তার গায়ে হাত দেয়। তার সাথে সহবাস করতে চায়। বাংলাদেশি নারী তো বুঝে না যে বির বির করে আরব লোক্টি সেক্স করার কথা বলছে। বাংলাদেশি নারীটি যখন বুঝতে পারে তখন দেরি হয়ে যায়। সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এ কোন গজব। নিজের ইজ্জত হারিয়ে বাংলাদেশি নারী মানসিকভাবে অত্যন্ত বিষাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তার উপরে প্রহার তো আছেই। শরীরে দাগ ফেলে দেয়।
কোনো রকম সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে বাংলাদেশি মহিলারা বাংলাদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে। সৌদি আরব শক্তিধর রাষ্ট্র বিধায় বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপারটি ধামাচাপা দিয়ে যায় কারন সৌদি আরব একবার ক্ষেপলে সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বিশাল সমস্যা হয়ে যাবে। তাই ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশ কিছু করতে পারে না।
Jannati Khatun publisher