Answered 2 years ago
একদম সহজ ভাষায় বলতে, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কিং এর অস্তিত্ব সেখানেই রয়েছে, যেখানে একাধিক কম্পিউটার একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয়ে ডাটা এবং হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ার করে।
আপনার সিঙ্গেল কম্পিউটার মেশিনটি এমনিতেই অনেক পাওয়ারফুল ডিভাইজ কিন্তু এর সাথে আরো কম্পিউটার বা যন্ত্রানুষঙ্গ (যেমন- মোডেম, প্রিন্টার, স্ক্যানার, রাউটার ইত্যাদি) যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার মেশিনটি থেকে আরো বেশি কিছু করানো সম্ভব।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে কম্পিউটার গুলো তার, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, অথবা ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে কানেক্টেড থাকে যাতে বিভিন্ন আলাদা ডিভাইজ (নোড) গুলো একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে।
মানুষের চাহিদা অনুসারে আমরা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে লাগিয়ে থাকি।
তাছাড়া আপনি যে এখন এই লেখাটি পড়ছেন এটাও কম্পিটার নেটওয়ার্কের অবদানে।
আসুন নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নেওয়া যাক।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি?
নেটওয়ার্ক শদ্বের অর্থ হল জালের মত বিস্তার করা। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে একাধিক কম্পিটার কম্পিটারের মধ্য সংযোগ ব্যবস্থাকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ইত্যাদি রিসোর্সমূহ শেয়ার করার লক্ষ্য পরস্পর সংযুক্ত একাধিক কম্পিটারকে নিয়ে গড়ে উঠা সিস্টেমকেই বলা হয় কম্পিটার নেটওয়ার্ক।
কম্পিটার নেটওয়ার্ক এর ধারনা?
যে-কোন দূরত্বে অবস্থিত আন্তঃসংযোগবিশিষ্ট একাধিক কম্পিটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান এবং প্রক্রিয়াকরনের জন্য ব্যবহিত সিস্টেমকে কম্পিটার নেটওয়ার্ক বলে।
নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে একাধিক কম্পিটার পরস্পর পরস্পরের সাথে তথ্য শেয়ার করতে পারে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার রিসোর্স সমূহ শেয়ার করতে পারে। ফলে কোনো কম্পিটার ব্যবহারকারীর যদি নিজস্ব কোনো প্রিন্টার নাও থাকে তথাপি সে তার প্রয়োজনীয় ফাইল টি নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সংযুক্ত অন্য কোন কম্পিটার ব্যাবহারকারীর প্রিন্টার ব্যাবহার করে প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করে নিতে পারে।
নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ?
কম্পিটার নেটওয়ার্ককে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রেনীবিভাগ করা যায়। যেমনঃ-নেটওয়ার্কের মালিকানা, নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ ও সেবা প্রদানের ধরন,নেটওয়ার্কের অন্তগত বিভিন্ন উপাদানগুলোর ভৌগলিক বিস্তৃতি ইত্যাদি।
আজকে আমরা ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে নেটওয়ার্কের শ্রেনীবিভাগ আলোচনা করবো।
ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে কম্পিটারের শ্রেণীবিভাগঃ
ভৌগলিক বিস্তৃতি অনুসারে কম্পিটার নেটওয়ার্ককে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ
১.পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা প্যান (Personal Area Network -PAN)
২।লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান (Local Area Network -LAN)
৩.মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ম্যান(Metropoliton Area Network -MAN)
৪. ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক ( Wide Area Network - WAN)
★পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক(PAN)
কোন ব্যাক্তির নিকটবর্তী বিভিন্ন ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিভাইসের মধ্য তথ্য আদান-প্রদানের নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে PAN বলে। এর পরিসিমা সাধারনত ১০মিটার এর মধ্য সিমাবদ্ধ। Labtop,PDA,Mobile Phone ইত্যাদি প্যান নেটওয়ার্কের অন্তভুক্ত।
★লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক(LAN)
★ মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)
★ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN)
অনুমতি এবং নিরাপত্তা
নেটওয়ার্কিং এ অনুমতি এবং নিরাপত্তা একটি অত্যাবশ্যক জিনিস। কোন কম্পিউটার আপনার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত রয়েছে বলেই এটি আপনার যেকোনো আদেশ পালন করবে না। আপনার অপর কম্পিউটার থেকে কোন তথ্য পেতে চাইলে বা কোন রিসোর্স ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই আপনার কাছে তার অনুমতি থাকতে হবে।
যেমন ধরুন ইন্টারনেটের কথা, যেখানে কোটিকোটি ওয়েবসাইট সার্ভারে রয়েছে এবং আপনি যখন ইচ্ছা সেগুলোর পেজকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। কিন্তু এর মানে এটা নয় আপনি ওয়েব সার্ভার থেকে প্রত্যেকটি সিঙ্গেল ফাইল অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আমি যেমন আপনার পার্সোনাল ফাইল গুলো অ্যাক্সেস করতে পারবো না ঠিক আপনিও আমার গুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি কাওকে অনুমতি দিয়ে থাকেন, সে অ্যাক্সেস করতে পারবে।
আপনি জানলেন নেটওয়ার্কিং কি এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কীভাবে একে অপরের সাথে কম্পিউটার গুলোকে কানেক্টেড রাখে। আরো অনেক বিষয় ছিল আলোচনা করার মতো কিন্তু সেগুলো অনেক জটিল ব্যাপার, কোন আলাদা পোস্টে সেগুলোকে সহজে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
popykhatun publisher