Answered 3 years ago
পরিবারের প্রাথমিক উপাদান বা নির্ধারক হিসাবে অ্যারিস্টটল বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছেন প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ককে। ক্রীতদাস ব্যবস্থা সম্পর্কে আরিস্টটলের মতামত এই প্রসঙ্গেই বিচার করা যায়। গ্রীসদেশে ক্রীতদাস ব্যবস্থা একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হিসাবেই প্রচলিত ছিল। সময়ের পরিবর্তনে গ্রীক সমাজের আকার ও আদর্শের পরিবর্তন হলেও ক্রীতদাস ব্যবস্থার বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে একথা বলা চলে না। প্রাচীন গ্রীসে দাস ব্যবস্থার বহুল প্রচলন ছিল। সপ্তদশ শতকে আমেরিকার হকিন্সরা নিগ্রোদের যেভাবে কেনা-বেচা করেছে, প্রাচীন গ্রীসে অনেকটা সেইরকমই।
এশিয়া মাইনর ও গ্রীস বহির্ভূত অন্যান্য অঞ্চল থেকে বন্দীদের দাস হিসাবে আমদানি করার রীতি ছিল। সাধারণ দ্রব্যের মতই ক্রীতদাস কেনা ও বিনিময় করার প্রথা গ্রীসে ব্যাপকভাবে চালু ছিল। ডোরিয়ান জাতির আগমন ও অভিযানের (খ্রীষ্টপূর্বে ১১০০ অব্দে) সঙ্গে সঙ্গেই গ্রীসে ক্রীতদাস প্রথার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় বলে অনেকে মনে করেন। স্পার্টার 'হেলট’ বা ‘পেরিইসি' বিজয়ী ডোরিয়ানরা প্রজা হিসাবে পরিচিত হলেও কার্যত তারা ছিল ক্রীতদাস। ডোরিয়ানদের খামারে কাজ করা ও তাদের গৃহভৃত্য হিসাবে কাজ করাই ছিল তাদের পেশা। এথেন্সে নাগরিক ও ক্রীতদাসের আনুপাতিক হার ছিল ১:২। বর্বর বা অর্ধ-বর্বর উপজাতিদের সম্পর্কে গ্রীকদের কখনই উঁচু ধারণা ছিল না। গ্রিকের জাতিসমূহের অপকর্ষ সম্পর্কে তারা নিশ্চিত ছিল। সম্ভবত এই কারণেই ক্রীতদাস প্রথাকে স্বীকার করে নিতে তাদের কোন দ্বিধা ছিল না। ঐতিহাসিকেরা ক্রীতদাস প্রথাকে গ্রীক সমাজ ও সভ্যতার কলঙ্ক বলে চিহ্নিত করলেও, প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের মত মনীষীর কাছে এই প্রথা অকুণ্ঠ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
bivorshaim publisher