Answered 2 years ago
হ্যাঁ এমন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট আছে যা ব্যবহার করে অন্যের ফোনের বা কম্পিউটারের তথ্য দেখা সম্ভব। তবে সেকাজ করা উচিৎ কিনা সেটাও বিবেচনাসাপেক্ষ। কারোর অজান্তে তার ব্যক্তিগত তথ্য দেখা শুধু নীতিগত ভাবেই নয়, আইনতও অপরাধ।
ব্যাবহারিক ভাবে এই অ্যাপগুলির একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে পেরেন্টাল কন্ট্রোল। এখন অনেক ছোটবেলা থেকেই ছেলে-মেয়েদের হাতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার/ল্যাপটপ চলে আসছে এবং তাতে থাকছে ইন্টারনেট সংযোগ। মা-বাবা সবসময় কাজ ফেলে সন্তানের পাশে বসে দেখার সময় নেই ফোন নিয়ে সে কি করছে, তাই কিছু অ্যাপ বাজারে এসেছে যেগুলি তাদের ফোনে থাকা প্রতিটি তথ্য অভিভাবকের ফোন থেকে দেখার এবং মনিটরিং করার সুযোগ করে দেয়, তারা দেখতে পান সন্তান কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করছে, কোন ওয়েবসাইট খুলছে এবং কোনটা কতটা সময় ধরে ব্যবহার করছে। অবাঞ্ছিত তথ্য, অ্যাপ বা ওয়েবসাইট দেখলে তা ডিলিট বা ব্লক করারও সুবিধা রয়েছে। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন তাদের জন্য অনুপযুক্ত কিছু দেখে না ফেলে সেটি নিশ্চিত করাই এইসব অ্যাপের কাজ।
তবে অনেকেই নিজের উর্বর মস্তিষ্ককে কাজে লাগিয়ে এই অ্যাপ গুলি খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকেন। নজর রাখতে চান তাদের বন্ধু বা জীবনসঙ্গীর ব্যক্তিগত তথ্যের উপর। সেক্ষেত্রে বলবো এইসব প্রবৃত্তিকে প্রশ্রয় না দিয়ে দমন করাই শ্রেয়। প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ব্যক্তিগত জীবন থাকে, তাতে নাক গলানোর বা উঁকি দেওয়ার অধিকার কারোর নেই।
rayahan publisher