Answered 2 years ago
আপনার প্রশ্নটি শুনে আমার এক বসের মেয়ের কথা মনে পড়ল। ২০২১ সালে আমি যে কোম্পানিতে সার্ভিস করতাম সেই কোম্পানির কিছু প্রোডাক্ট ছিল মেয়েদের ।যেমন বিদেশি সাবান ব্রা পেন্টি এবং সেনেটারি ন্যাপকিন। তো আমার আন্ডারে পাঁচটি ছেলে ও দুটি মেয়ে কাজ করতো। যেহেতু বর্তমান যুগটা হচ্ছে ডিজিটাল সেহেতু সবার কাছেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছে তাদের ও ছিল এবং ওই দুটো মেয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সবচেয়ে বেশি ফ্রেন্ড ছিল । কারণটা তো বুঝতেই পারছেন একজন মেয়ে তার ফ্রেন্ড অনেক অনেক। ওদের টার্গেট দিতাম মাসে তাদের এক লক্ষ টাকা বিক্রি করতে হবে অফলাইনে। যখন তারা প্রথম মাসের টার্গেট অ্যচিভ করতে পারলো না তখন তাদের সাজেস্ট করি অনলাইনে সেলস করার জন্য। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে পন্য বিক্রয়। যেমন কথা তেমন কাজ তারাও শুরু করে দিল এবং তাদের নাম্বার দিয়ে দিল। একটি সেনেটারি ন্যাপকিন কেনা ৯০ টাকা বডি রেট ছিল ১২০ টাকা। এই প্রোডাক্টটি মেয়েরা দোকানে গিয়ে কিনতে সংকোচবোধ করে । ফার্মেসি তে ছেলে মানুষ বসা থাকে। অনেক সময় বলতে লজ্জা লাগে তাই তারা যখন অনলাইনে ব্যাপারটা দেখলো যে হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়, তখন কাস্টমার অর্ডার দেওয়া শুরু করল। প্যাকেটে লাভ হচ্ছে ৩০ টাকা পাশাপাশি হোম ডেলিভারি চার্জ ১০ টাকা মোট 40 টাকা প্রতিদিন তারা এভারেজে ২০ ন্যাপকিনের প্যাকেট বিক্রয় করল ! তাতে এক্সট্রা ইনকাম আসলো তাদের প্রতিদিন ৮০০ টাকা শুধু এক্সট্রা । স্যালারি ছাড়া । এই নেপকিন বিক্রি করতে গিয়ে তারা প্রায় এক লক্ষ টাকার দুই মেয়ে মিলে ব্রা আর পেন্টি বিক্রয় করেছে। আমার স্পষ্ট খেয়াল আছে একটা মেয়ে স্যালারি উঠাইছিল 27 হাজার টাকা আরেকজন ২৯ হাজার ৫০০ টাকা । এক্সট্রা টাকা ছাড়া শুধু স্যালারি । আমি মনে করি আপনি ইচ্ছা করলেই ব্যবসাটি করতে পারেন । যদি ইচ্ছা থাকে ঘরে বসে অনলাইনে যারা পরিচিত তাদের এস এম এস করতে পারেন। দাম এবং নাম্বারটা দিয়ে দিবেন। ইনশাল্লাহ দেখবেন মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন । আশা করি বোঝাতে পেরেছি । যদি ভালো লাগে আপভোট দিবেন, পারলে লাইক শেয়ার কমেন্ট করবেন ।ভালো থাকবেন , আল্লাহ হাফেজ।
renurekhena publisher