Answered 2 years ago
এটা আপাদমস্তক একটা ঠাট্টা।ভীতশ্রদ্ধ মূর্খ ,নির্বোধ আর জীবন্মৃতদের জন্যে যদিও কথাটা সত্যিই প্রযোজ্য।কারণ তারা লড়াই করতে অভ্যস্ত নয়।তারা বরাবর ই নিজের অক্ষমতার দরুণ অলৌকিকতার শরণাপন্ন হোন।মৃর্ত্যুর মতো সাধারণ একটা নিরেট লৌকিক সত্য কে তারা গ্রহণ করতে পারেন না।এই বাক্যটি উত্তাল সমুদ্রে বিপদের মুখে ভরসার অভিপ্রায়ে কল্পিত ঈশ্বরের শরণাপন্ন হবার বিষয়টা নির্দেশ করে।যদিও ভয় চিরকাল ই মানুষের মনস্তত্ত্বের বিরাট একটা অংশ দখল করে আছে।প্রান্তিককাল থেকে মানুষের এই ভয় ই তাদের মনে ঈশ্বরের ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।মানুষ সূর্য্য কে আরাধনা করেছে ভালোবেসে নয়,বরং আলোর অভিপ্রায়ে।কারন অন্ধকার ভয়ের মূর্ত প্রতীক।উত্তাল সমুদ্রে মানুষ নাস্তিক হয়না এই কথাটা যিনি প্রসব করেছেন তিনি বোধহয় নিজে কখনো উত্তাল সমুদ্রে যাননি।অন্যথায় তিনি ভীতু কূপমন্ডুক।আমি একজন নাস্তিক,আমি উত্তাল সমুদ্র দেখেছি,প্রলয় দেখেছি,ধরিত্রীর বুকে আগ্নেয়গিরির অগ্নি উদগীরণ দেখেছি।মনুষ্যসৃষ্ট যুদ্ধ দেখেছি,বীভৎসতার সাক্ষী হয়েছি,মানুষের আর্তচিৎকার শুনেছি,মৃর্ত্যুর সাথে সমঝোতা দেখেছি।ব্যক্তিগত জীবনে আমি অসংখ্যবার নানাবিধ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি।কিন্তু আমি কখনো ঈশ্বর কে ডাকিনি।মৃর্ত্যু আমার কাছে বরাবর ই নিরেট সত্য এবং তা মেনে নিতে কখনো হৃদয়ের সাথে সংঘর্ষে উপনীত হইনি।আমি জানি জীবনকে কিভাবে মহিমান্বিত করে তুলতে হয়,মৃর্ত্যুকে কিভাবে অর্থবহ করে তুলতে হয়।আমার মৃর্ত্যুতে ভয় নেই বরং আকাঙ্ক্ষা আছে!মৃর্ত্যুটা অর্থবহ হোক।যাপিত জীবনের গৌরব মৃর্ত্যুর ভয় ম্লান করে দিক!রবীন্দ্রনাথের মৃর্ত্যুঞ্জয়ের মতো…..
আমি মৃর্ত্যুর চেয়ে বড়,এই শেষ কথা বলে
যাবো আমি চলে…….হা হা হা হা হা
runalaila publisher