Answered 2 years ago
ইসলামে বিনোদন বলতে আসলে স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা, হাসি, ঠাট্রা করা ও নিজের ডান হাতের অধিকারী দাসীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা ছাড়া তেমন কোনো আনন্দ বিনোদন নেই।
গানের ব্যাপারে হাদীসে নিষেধ আছে। চিত্রাংকনের ব্যাপারেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। দাবা খেলা, ঘোড়া রেস খেলা এসবও হারাম বলা আছে হাদীসগুলোতে। আর পুতুল শুধু ছোট বাচ্চাদের জন্য। বড়রা যদি "পুতুল" বানিয়ে ঘর সাজায় সেটাও হারাম। আসলে বিনোদন বলতে ইসলামে স্ত্রী ও নিজের দাসীদের সাথে সেক্স করা ছাড়া উল্লেখ করার মতো কোনো বিনোদন নেই।
কারন এসব অহেতুক কাজ। যা শয়তান মানুষকে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী থেকে সরিয়ে নিতে করিয়ে থাকে।
হালাল সিনেমা, হালাল সংগীত, হালাল নৃত্য এসব বলতে কিছু নেই। এসব মানুষকে জেনা বা পর নারী, পর পুরুষের সাথে সেক্স করার ইচ্ছা জাগ্রত করে। সেক্স করার অনুমতি শুধু নিজ স্ত্রী ও স্বামীর সাথে এবং ক্ষেত্র বিশেষে নিজের কেনা দাসীদের সাথে। অন্য কারো সাথে সেক্স করা মানে জেনা করা বুঝায়।
আরব জাহান কবিদের জন্য বিখ্যাত ছিলো এক সময়। কবিতা আবৃত্তি ইসলামে হালাল তবে সেটা শুধু কোরআন তেলাওয়াত। এই ধর্মগ্রন্থ কবিতার ছন্দে পড়া ছাড়া অন্য সকল কবিতা আবৃত্তি অহেতুক সময় নষ্ট করার কাজ যা থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ইসলামে বিনোদন সীমিত। যতটুকু আছে সেটা স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
rajibul publisher