Answered 2 years ago
ইউক্রেনের অবস্থা গণতন্ত্র মূর্খদের শাসন ব্যবস্থা প্রমান করার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় ও প্রমান করে। যেমন:
১. মূর্খতা কোনো absolute term নয় তথা মূর্খ থেকেও মুর্খতর স্তর কিছু হতে পারে যেই স্তরে থাকা সজীব বস্তু বিশ্বাস করে যে সে নিজের ভালো নিজে বুঝতে, নিজের খাবার নিজে খেতে, নিজে স্বাধীন ভাবে থাকতে সমর্থ নয় তথা তার ওপরে কেউ রাজত্ব করছে সেটা অত্যন্ত সুখকর।
২. বিপদ দেখলে কিছু অনেক সময় লড়াই করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে নেয় এবং তাদের আমরা "লড়াই করার" মানসিকতার দরুন হওয়া ক্ষতির জন্য মূর্খ বলি। আমাদের সৌভাগ্য একটু বেগড় বাই হলেই বর্বরদের শরণাপন্ন হয়ে মানসিক দৈন্যতায় সব কিছু খোয়ানোর পরও সেই মূর্খ লোকজন আমাদের "কাপুরুষ" বলে গন্য করেন না!
৩. দাসত্বের মধ্যেও মৌতাৎ রয়েছে, সেটা রসিয়ে বইয়ে বলা যায়। ব্যাপারটা এমন যে বলি হতে চলা পাঁঠা মালা ঝুলানো গলা আগিয়ে দিয়ে বলছে " সেই সব পাঁঠা আসলেই পাঁঠা (মূর্খ) যারা সুন্দর করে গলাটা এগিয়ে দেয় নি, বলি কি সমস্যা গলাটা যূপকাষ্ঠে আগিয়ে দিলে? যূপকাষ্ঠ কি আমাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ও সম্মান দেয় নি?"
গণতন্ত্রে থাকা লোকজন সত্যিসত্যি বোকা। নাহলে ভাবুন পাড়ার মোড়ের প্যাংচারের দোকান হোক, বা কাপড়ের দোকান হোক বা মাছ মাংসের দোকান- সব জায়গাতেই ব্যবস্থাগুলো প্রজন্মগত ভাবে চলে আসছে; বাপের পর ব্যাটা দোকানে বসছে। মুরগি কারবারির ছেলে মুরগি কারবারিই হচ্ছে। সেখানে ভাবুন রাজার ছেলে রাজা না হয়ে কোথাকার চা ওয়ালা, কমেডিয়ান, পাতি কৃষকের ছেলে এরা দেশ চালাচ্ছে! দেশ হচ্ছে সবথেকে বড় দোকান, আরো বিশেষ ভাবে বললে শুঁটকি মাছের দোকান; এটা চালানোর দায়িত্ব বংশানুক্রমে না দিয়ে যে কোন লোককে দিয়ে দেওয়া অবশ্যই মুর্খামির পরিচয়।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার বাবা উচিত আমিও কোন দুঃখে মোবাইল টিপছি, নিয়ম অনুসারে আমারও পোস্ত বাটা দেওয়া সোনার জলে চোবানো রুটি খাওয়া রাজাবাবুর কথা শুনে(আমি চিয়াং সিয়াও) মোষের ল্যাজে এক হ্যাচকা টান দিয়ে ধানের জমিতে লাঙ্গল চালানোর জন্য মনযোগ দেওয়া উচিত!
Biplob publisher