Answered 2 years ago
ভাষা এবং নৃতত্ত্বে সেমিটিক (ইংরেজি: Semitic) (বাইবেলের "Shem", হিব্রু ভাষায়: שם, অনুবাদ: "name", আরবি: ساميّ) শব্দটি ব্যবহৃত হয় যা সর্বপ্রথম মধ্য প্রাচ্যের ভাষা শ্রেণীকে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়েছিলো। এই শ্রেণীর ভাষাগুলোর মধ্যে রয়েছে আক্কাডিয়ান, এরামাইক, হিব্রু, আরবী, গি'জ, মাল্টিসি, কানানাইট/ফোনেসিয়ান, এমোরাইট, এবলাইট, উগারিটিক, সুতিয়ান, চেলডিয়ান, মান্ডাইক, আহলামু, আমহারিক, টিগরি এবং টিগরিনয়া প্রভৃতি ও তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রাচীন ও আধুনিক ভাষাগুলো।
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চলসমূহ
আরব৩০০ মিলিয়ন[১]
হাবেশা৩৮,২৫০,০০০[২]
মিজরাহি ইহুদি৪,৫০০,০০০ - ৫,০০০,০০০ (প্রাক্কলিত)
আসিরীয়৪.২ মিলিয়ন[৩]
মাল্টীয়১ মিলিয়ন
মাহাললামি১৫০,০০০
ম্যান্ডায়ীন৭০,০০০[৪]
সামারিটান৭৪৫[৫]
ইহুদি,খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্ম মূলত সেমিটিক ধর্ম হিসেবে পরিচিত ।সেমিটিক ধর্মগুলো এমন ধর্ম যেগুলোর উদ্ভব ঘটেছে মূলত:সেমিটিয় তথা হিব্রু,আরব,আসিরীয় ও ফিনিশীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে ।বাইবেলের ও আল কুরআন এর বর্ণনানুসারে নূহ (আ:)-এর এক পুত্রের নাম ছিল 'শাম'।শাম -এর বংশধরগণ 'সেমিটিয়'নামে পরিচিত । সুতরাং সেমিটিক ধর্মগুলোর উত্পত্তি হয়েছে ইহুদি,আরব,আসিরীয় ও ফিনিশীয়দের মধ্যে ।প্রধান প্রধান সেমিটিক ধর্মগুলো হলো -ইহুদি মতবাদ,খ্রিস্টীয় মতবাদ এবং ইসলাম ।এ ধর্মগুলো পয়গাম্বরীয় ধর্ম যা আল্লাহর নবীগণ কর্তৃক আনীত স্বর্গীয় নির্দেশনায় বিশ্বাসী।
ভাষা বিষয়ক শিক্ষা সাংস্কৃতিক শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতভবে জড়িত তাই এই শব্দটি সংস্কৃতি ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য বুঝাতেও ব্যবহৃৎ হয়ে থাকে; বিশেষতঃ যাদের মূল জাতিগত বা সাংস্কৃতিক শিকড় একই তাদের নির্দেশ করার ক্ষেত্রে।
এই তথ্যঅনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে মিশরীয়রা সেমিটিক জাতি।
rofiqahmed publisher