আমেরিকা আসলে তার স্বার্থের পক্ষে।
সেই ৫০/৬০ এর দশক থেকেই আমেরিকা চাচ্ছে আমাদের সেন্ট মার্টিনে একটা সামরিক ঘাঁটি করতে। এর মূল উদ্দেশ্য চীনকে চাপে রাখা আর ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এখনো তারা সে আশা ছাড়েনি।
সাম্প্রতিককালে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে। তারা চাইছে বাংলাদেশকে নিজেদের ব্লকে নিতে। ২০২১ এ আমেরিকা বাংলাদেশকে কোয়াডে যোগ দেওয়ার আহবান জানায়। কিন্তু এতে করে চীনের সাথে সম্পর্ক খারাপ হবে, আর চীন খোলাখুলিভাবে তা প্রকাশও করে। আর বাংলাদেশও কোন পক্ষে না যাওয়ার নীতি অনুসরণ করে থাকে (কারণ কোন পক্ষে গেলে আমাদের কোন লাভ হবে না, বরং ক্ষতি হবে)।
এতে করে আমেরিকা তার স্বার্থে আঘাত লাগায় ক্ষিপ্ত হয় আরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের ওপর স্যাংশন দেয় (অথচ তারা ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, ইরাকে কি মানবাধিকার রক্ষা করেছে তা সবাই জানে)। এতে অবশ্য বিএনপি আর আমেরিকার এদেশীয় এজেন্ট বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী, এনজিও, মানবাধিকার সংগঠনগুলো খুশ হয়েছিল।
এতেও কাজ না হওয়ায় তারা ভিসানীতি সহ বিভিন্নভাবে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। আর এই সুযোগেই বিএনপি আমেরিকার এম্বাসেডরের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে এই আশায়, যেন আমেরিকা আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাবে। এজন্যই এমনটা মনে হচ্ছে।
আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে তার স্বার্থ হাসিল করা। এজন্য যদি তাদের সরকার পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তারা সে চেষ্টাও করবে।
আমেরিকার উদ্দেশ্য যদি হত বাংলাদেশে গনতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা, তাহলে ২০১৪ এর নির্বাচনের পরেই তারা স্যাংশন দিত। ২০২১ থেকে এত দৌড়ঝাপ করত না।
rayhanrafi publisher