Answered 2 years ago
আপনি যদি বুঝতে পারেন যে ,আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে তাহলে জানবেন খেলতে নামার আগেই আপনি অর্ধেক ম্যাচ জিতে গেছেন।
একজন খেলোয়ার যখন তার কোথায় খামতি , কোথায় ত্রুটি , কোথায় আরও উন্নত করার অবকাশ আছে নিজে উপলব্ধি করতে পারেন তার পক্ষে সেই বাধা গুলো অতিক্রম করে খেলাই জয়ী হওয়ার জন্য বা আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন কোন প্রশিক্ষকের প্রয়োজন হয় না । কারণ আত্ম মূল্যায়ন সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ।
আমি দু-একটি বিষয় আপনার বিবেচনার জন্য উল্লেখ করতে পারি।
প্রথমত ,আপনি যে কাজটি শুরু করেছেন সেই কাজটি শেষ হলে আপনি কি কি ইতিবাচক সাফল্য পেতে পারেন এবং আপনার জীবনে তার প্রভাব কত সুদূর প্রসারী হতে পারে সেটা কি একবার ভেবে দেখেছেন?
যদি ভেবে থাকেন তাহলে বলব শুধুমাত্র সাফল্যের সেই লক্ষ্যকেই সামনে রাখুন ।দেখবেন কাজ সেটা যত কঠিনই হোক না কেন সেটা এখন আর পীড়াদায়ক বলে মনে হচ্ছে না। বরঞ্চ বড় কিছু পাওয়ার আশায় আপনি এমন মগ্ন হয়ে আছেন যে আপনার মনে হচ্ছে অর্জিত সাফল্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয়তঃ আপনি যে কাজটি গ্রহণ করেছেন সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার জন্য যে পরিকল্পনা করার প্রয়োজন সেই পরিকল্পনা সঠিক যুক্তিনিষ্ঠ হয়েছে তো?
তৃতীয়তঃ আপনার এই কাজটি সমাধা করার জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে তো যদি নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা না হয় তাহলে আপনার মনে একটা হতাশার বাতাবরণ সৃষ্টি হতে পারে। একটা দুশ্চিন্তা শুরু হতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন আমি ঠিকঠাক পথে এগোচ্ছিত? এইসব নেতিবাচক চিন্তাগুলি যত সংখ্যায় বাড়বে তত কিন্তু আপনার ধৈর্য চ্যুতি ঘটতে থাকবে।
সবশেষে বলি আপনি প্রথমেই ধরে নিন এটা কোন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়, ৫০ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচও নয়, এটা পাঁচদিনের ক্রিকেট ম্যাচ । ধৈর্য - কর্মদক্ষতা- সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক সিদ্ধান্তের সীমিত সময়ের পাঁচমিশালী এক খেলা যা সাফল্যকে নিশ্চিত করে।
piyasahmed publisher