আমি একজন বিবাহিত মহিলা আমি যিনা করে ফেলেছি এটার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড কিন্তু বাংলাদেশ আইনে এটা নেই। এখন আমার কী করা উচিত?

1 Answers   3.8 K

Answered 2 years ago

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য, এবং লাখো কোটি দরূদ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবার-পরিজন এবং সাহাবায়ে কেরামের উপর। আপনার প্রশ্নটা আমি পড়লাম, তো সেখানে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি অনুতপ্ত, হয়েছেন। باب رَجْمِ الثَّيِّبِ فِي الزِّنَا আগে আপনি জিনার শাস্তির অধ্যায়টা পড়ে নিন, তারপর পরামর্শ।‏‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ جَالِسٌ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ قَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ مَا نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ وَإِنَّ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوْ،اعتراف.. । ৪৩১০-(১৫/১৬৯১ আবূ তাহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়াহ্ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, "উমর ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের উপর বসা অবস্থায় বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন এবং তার উপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়ের মধ্যে آيَةُ الرَّجْمِ (ব্যভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপের আয়াত) রয়েছে। তা আমরা পাঠ করেছি, স্মরণ রেখেছি এবং হৃদয়ঙ্গম করেছি। সুতরাং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যভিচারের জন্য রজম করার হুকুম বাস্তবায়ন করেছেন। তার পরবর্তী সময়ে আমরাও (ব্যভিচারের জন্য) রজমের হুকুম বাস্তবায়িত করেছি। আমি ভয় করছি যে, দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর কেউ এ কথা হয়তো বলবে যে, আমরা আল্লাহর কিতাবে (ব্যভিচারের শাস্তি) রজমের নির্দেশ পাই না। তখন আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত এ ফরয কাজটি পরিত্যাগ করে তারা মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে ফেলবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে বিবাহিত নর-নারীর ব্যভিচারের শাস্তি رجم (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) এর হুকুম সাব্যস্ত। যখন সাক্ষ্য দ্বারা তা প্রমাণিত হয়, কিংবা গর্ভবতী হয়, অথবা সে নিজে স্বীকার করে।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২৭১, ইসলামিক সেন্টার ৪২৭১)।।।।.।,,,,,,,,, قال رسول الله صلى الله عليه و سلم،التاءب من الذنب كمن لا ذنب له ,শরীফ,সূত্র,মিশকাত 204…০, ।।। যখন কোন বান্দা-বান্দী গুনাহ করে তখন আল্লাহ তায়ালা অপেক্ষায় থাকে যে কখন বান্দা-বান্দী আমার কাছে গুনা হ থেকে মাফ চাইবে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হাদীসের মধ্যে এরশাদ ফরমান যে যখন কোন বান্দা গুনাহ করে, তারপর আবার তওবা করে গুনাহ থেকে ফিরে আসে, আল্লাহ তাআলার বান্দার উপর এমন খুশি হন যে রকমের মরুভূমির মধ্যে যে ব্যক্তির উঠ হারিয়ে গেছে সেই উট পাওয়ার পর যেমন খুশি হন তার চেয়েও বেশি,, উপরোক্ত মিশকাত শরীফের ২০৪ নাম্বার পৃষ্ঠায় যে হাদিসটা বললাম সেটার অর্থ, যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করলো তার যেন কোন গুনাহ নাই একেবারে। একটা কথাই বলবো শেষে আল্লাহতালা সকলকে ক্ষমা করবেন শুধু সেই গুনার কাজ আর দ্বিতীয়বার করা যাবে না। খাঁটি দিল আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করেন আল্লাহ মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ,

Bijoy ahmed
Bijoy
311 Points

Popular Questions