Answered 2 years ago
জীবনসঙ্গীকে ভালোভাবে ক'জন জানে। বেশিরভাগই জীবনসঙ্গীর অনেকটুকুই জানেন না। অনেকক্ষেত্রেই জানা সম্ভবও হয় না। জীবনসঙ্গী হিসেবে যারা যতবেশি নিজেদের সম্পর্কে একে অপরকে জানাতে পারে ও জানেন তারাই সুখী ও সুস্থ্য দাম্পত্য সম্পর্কের অধিকারী হয়ে থাকে।
বিভিন্ন কারণে মানুষের মাঝে বিভিন্ন অভ্যাস তৈরী হয়। মানুষের সকল অভ্যাসের পিছনেই প্রয়োজন ও আসক্তি কাজ করে। মানুষ যদি কোন অভ্যাসে আসক্তির কারণে অভ্যস্ত হয় তবে তা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন। তাই একটি অভ্যাস থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তার অভ্যাসটির (আসক্তি না-কি প্রয়োজন) মূল কারণটি স্পষ্ট হওয়া চাই।
যেমন, ফ্যান্টাসী যদি তার পর্ণ আসক্তির মূল কারণ হয়, তবে তা থেকে মুক্ত হওয়া কঠিন। ফ্যান্টাসী'র অনুরূপ কিছু বাস্তব জীবনে সাধারণত দুর্লভ হয়। তবে প্রয়োজন (এ বিষয়টি জানার কৌতুহল মেটানো অথবা দক্ষতা বাড়ানো কিংবা পদ্ধতি দেখার জন্য যদি শুরু করে থাকে; যা পরবর্তীতে আসক্তিতে রূপ নিতে পারে) শেষে অনেকেই নিজেকে সরিয়ে নেন।
জীবনসঙ্গী হিসেবে অভিবাবক এর ভুমিকায় গিয়ে সরাসরি পর্ণ এর বিরোধিতা করে ফলপ্রসু কোন অবস্থায় পৌঁছানো কঠিন (যেহেতু দু'জনই প্রাপ্ত বয়স্ক)। যা সাধারণত হয়, পর্ণে আসক্ত ব্যক্তি তখন গোপনে কিংবা জেদের বশে তার মানসিক ইচ্ছা পুরণে সচেষ্ট হয়; উপুর্যপুরি, দাম্পত্য সম্পর্কে দুরত্বও সৃষ্টি হয়।
পর্ণে আসক্তির ক্ষেত্রে সঙ্গীর মানসিক চাহিদাকে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খোলামেলাভাবে (পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি যেহেতু প্রশ্নে পরিস্কার করা আছে) একে অপরের সাথে আলোচনায় বসুন। একে অপরের ইগোতে আঘাত না করে আন্তরিক ও সরল আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টিতে মানসিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
অবশ্যই সকল অবস্থা চিরস্থায়ী নয়। এটিও সত্য যে, আসক্তির কারণে তৈরী হওয়া একটি অভ্যাসে রাতারাতি নিয়ন্ত্রণ আসে না। অভ্যাসটি পরিবর্তনের জন্য সময় প্রয়োজন। এছাড়াও, পর্ণে আসক্তি সকল সময়েই তাৎক্ষণিক ক্ষতির কারণ হয় না। ধৈর্য ও পর্যাপ্ত সময় দিয়ে পারস্পরিক আলোচনায় ও একে অপরের চাহিদার বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখুন। মানসিক সুস্থ্যতা বজায় রাখার জন্য পর্ণ কে ঘৃণা করুন; পর্ণে আসক্ত সঙ্গীকে নয়।
niloyrana publisher