আমার বোনের এলার্জির সমস্যা। এর জন্য তার মাথায় ফুসকুড়ি মতো হয়ে চুলকায় আর মাথার চুল উঠে যায়। এখন তার মাথায় চুল নাই বললেই চলে। রাজশাহী ৪ বার ডক্তর দেখানো হয়েছে কিন্তু কিছু হয়নি। কোনো উপায় বলবেন?
0
0
1 Answers
12.2 K
0
Answered
1 year ago
বোরিক ফলিকুলাইটিস বা মাথায় চুলকানি গোটা অনেকেরই হয়। এটি মাথা, ভ্রু, পিঠ প্রভৃতি জায়গায় হতে পারে। এতে জায়গায় ছোট ছোট গোটা ওঠে। এটি সব সময় চুলকায়, কিন্তু পাকে না। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে কেরিয়াল। চুলের গোড়া কালো হয়ে যাওয়া, প্রচুর চুল পড়া, চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটা বা ফোসকার মতো হওয়া এবং অল্প ফুলে ওঠা সংক্রমণের লক্ষণ। অনেক সময় দানা বা গোটাগুলো পুঁজভর্তি হতে পারে। চুলকালে রক্তও বের হতে পারে। এ ছাড়া মাথার ত্বকে চুলকালে দানা বা সাদা খোসার মতো ময়লা পড়ে।
কী করবেন
পলিটার লিকুইড দিয়ে সপ্তাহে দুবার পাঁচ মিনিট ফেনা করে আক্রান্ত জায়গাটি ধোবেন এবং ‘ফাঙ্গিডাল এইচ সি’ ক্রিম দৈনিক এক থেকে দুবার লাগাবেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। যদি উপকার পান, তাহলে চিকিৎসা ব্যবস্থাটি কয়েক মাস চালিয়ে আস্তে আস্তে কমিয়ে নেবেন।
কী করবেন না
আক্রান্ত জায়গাটি খুটবেন না।
উপরোক্ত নিয়মে চিকিৎসা করলে হঠাৎ করে চিকিৎসা বন্ধ করে দেবেন না। তার চেয়ে বরং ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবেন।
শুরুতেই এর চিকিৎসা করা দরকার। সংক্রমণের ধরনের ওপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।সংক্রমণ প্রতিরোধে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালু ও ধোঁয়ার কারণে ত্বক ময়লা হয়। এতে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য সংক্রমণের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকে মনে করেন, রোজ বা ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে। কিন্তু উষ্ণ দেশে, বিশেষ করে বাইরে বের হলে এবং ধুলাবালুর সংস্পর্শে এলে প্রয়োজনে প্রতিদিনই শ্যাম্পু ব্যবহারের প্রয়োজন পড়তে পারে। যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাদের বেশি ময়লা জমে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির বালিশ, তোয়ালে, চিরুনি ইত্যাদি ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তু ব্যবহার করলেও সংক্রমণ হতে পারে। কাজেই অন্যের ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিস ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের জিনিসপত্রও অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়া চলবে না।
Bijoy publisher