Answered 2 years ago
অনেকগুলি শারীরিক ক্রিয়া আমাদের ইচ্ছাধীন অর্থাৎ ঐচ্ছিক। আবার অনেকগুলি শারীরিক ক্রিয়া আমাদের ইচ্ছাধীন নয় অর্থাৎ এ গুল অনৈচ্ছিক। অনৈচ্ছিক শারীরিক ক্রিয়ার উদাহরণ হিসাবে, যে সব শারীরিক ক্রিয়ার কথা উল্লেখ্য ওরা যায় সেগুলি হল, হৃদক্রিয়া, শ্বাসক্রিয়া, পরিপাক ক্রিয়া এগুলি ছাড়াও আরো অনেকগুলি ক্রিয়া আছে, অপ্রোজনিয় হওয়ায় এখানে তার উল্লেখ করা হল না। এখন আপনার প্রশ্নের উত্তর ভালোভাবে বুঝতে হলে, আমাদের পাকিস্থলিতে খাদ্য কিভাবে পরিপাক হয়, সেটা কিছুটা জানতে হবে। মুখের মধ্যে জিহবা ও দাঁতের সাহায্যে, খাদুদ্রব্য আংশিক জীর্ণ হয়ে, খাদ্যনলি দিয়ে পাকিস্থলীতে পৌঁছায়। এরপর, পাকিস্থলির গাত্র হতে বিভিন্ন এনজাইম বার হয়ে ওই খাদ্যের সঙ্গে মিশে আন্দোলিত হতে থাকে, এইভাবে ভুক্ত খাদ্য জীর্ণ হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে প্রবেশ করে ও সেখানে খাদ্যরস শোষিত হয়ে রক্তে মিশে যায়, এবং শরীরের মধ্যে শিরা ও ধমনীর দ্বারা পরিবাহিত হয়। এখন খিদে পাওয়া মানে আপনার শরীরের দরকারি গ্লুকোজের অভাব ঘটেছে। এবং পকিস্থলিতে খাদ্য পরিপাকের জন্য বিভিন্ন এনজাইম স্বতস্ফূর্ত ভাবে ক্ষরিত হচ্ছে, এবং জানান দিচ্ছে যে,আপনাকে পকিস্থলীতে খাবার সরবরাহ করতে হবে। ওই সময় যদি না খান, তবে কি হবে? পাকিস্থলীতে ক্ষরিত বিভিন্ন এনজাইম ও অম্ল (acid) খাদ্যদ্রব্য না পেয়ে, আপনার পাকিস্থলীর দেয়ালে ক্ষয় ঘটাবে। এবং এরকম অবস্থা, ঘন ঘন দীর্ঘদিন যাবত চললে, পাকিস্থলিতে ঘা ( alcer) এর সৃষ্টি করে আপনাকে গুরুতরভাবে অসুস্থ করবে।
Chahal publisher