পারমানবিক ও আনবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরী করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর অতি ব্যয়বহুল বিজ্ঞানকে ন্যানো টেকনোলজি বলে।
ন্যানো শব্দটি গ্রিক nanos শব্দ থেকে এসেছে যার আভিধানিক অর্থ dwarft বা বামন অথবা জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষুদ্রাকৃতির মানুষ।
ন্যানো হলো একটি পরিমাপের একক। এটি কতটা ছোট তা কল্পনা করা কঠিন। ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগকে বলা হয় ১ ন্যানো মিটার। উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন একটি মার্বেল যদি ন্যানোমিটার হয়, তবে পৃথিবীর আকার হবে এক মিটার…।
অন্যভাবে বলা যায়- ন্যানো টেকনোলজি হলো এমন একটি বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি যা সাধারণত ১ থেকে ১০০ ন্যানোমিটার স্কেলে পরিচালিত হয়ে থাকে।
আর এই ন্যানোমিটার (1 থেকে 100 ন্যানোমিটার) স্কেলে যে সমস্ত টেকনোলজি সম্পর্কিত সেগুলোকেই ন্যানো টেকনোলজি বলে।
এর ব্যবহার সাধারণত,
❤️🔥 মহাকাশের নানান যন্ত্রপাতি।
❤️🔥জ্বালানি তৈরীতে
❤️🔥ঔষধ ও কসমেটিকস তৈরীতে
❤️🔥কম্পিউটার হার্ডওয়ার তৈরীতে
❤️🔥ন্যানো রোবট তৈরীতে
❤️🔥বস্ত্র শিল্পে
❤️🔥ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রে
এর সুবিধাঃ-
ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগে উৎপাদিত ঔষধ “স্মার্ট ড্রাগ” ব্যবহার করে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
খাদ্যজাত দ্রব্য প্যাকেজিং এর সিলভার তৈরীর কাজে
টেকসই, স্থায়ী ও আকারে ছোট পণ্য তৈরীতে
ন্যানো ট্রান্সজিস্টর, ন্যানো ডায়োড, প্লাজমা ডিসপ্লে ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে ইলেকট্রনিক শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন
ন্যানো প্রযুক্তি দ্বারা তৈরী ব্যাটারী, ফুয়েল সেল, সোলার সেল ইত্যাদির মাধ্যেমে সৌরশক্তিকে অধিকতর কাজে লাগানো।
আশাকরি বুঝতে পেরেছেন, ধন্যবাদ...।
ahmedsopno publisher