Answered 2 years ago
সাংসারিক জীবনে অশান্তি ও সংসারে ফাটল ধরে অধিকাংশ সময় খুবই সামান্য কারণে।
বর্তমানে অধিকাংশ বিচ্ছেদ বন্ধ হবে যদি স্বামী বা স্ত্রীর যেকোনো একজন একটু ছাড় দেয়। তবে এই ছাড় দিতে সবাই নারাজ। সবার চোখে নিজে সঠিক এবং বিপরীত জন অপরাধী।
সংসার সুখের রাখতে হলে শুধুমাত্র আপনার সঙ্গীর প্রতি খেয়াল করাই যথেষ্ট। আর সঙ্গীর প্রতি খেয়াল করতে গেলে আনুষঙ্গিক অনেক নিয়ম নীতি অনুসরণ করার দরকার হয়। যেমন -
অবিশ্বাস বা সন্দেহ থেকে দূরে থাকা এবং বিশ্বস্ততা অর্জন - আরেকভাই মন্তব্য করেছেন ‘বিচ্ছেদের জন্য অবিশ্বাস দায়ী'। নিঃসন্দেহে এটা সঠিক। তবে আমরা আজকাল যেমন সঙ্গীকে অবিশ্বাস করছি তার বিপরীতে বিশ্বস্ততা অর্জনের প্রতিও কিন্তু অনীহা প্রকাশ করছি। বিশ্বস্ততা অর্জন প্রথমে জরুরী।
মতামতে গুরুত্ব দেয়া - আগেরকার দিনে পারিবারিক সিদ্ধান্তগ্রহণ শুধুমাত্র স্বামী করতো যা বর্তমানে প্রায় পরিবর্তন হয়েছে। এখন যেকোনো সিদ্ধান্তে দুজন দুজনের মতামত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে থাকেন। নিঃসন্দেহে এটা দরকার।
দুজন দুজনের প্রতি যথেষ্ট ভালোবাসা থাকা - পরকীয়া বর্তমান সমাজে খুবই মামুলি বিষয়। সমাজ নীতিনির্ধারকরা পরকীয়া বন্ধের প্রক্রিয়া গ্রহণের পরিবর্তে পরকীয়াকে আইন ও সামাজিক বৈধতা দেয়াকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করছেন। বাড়ছে বিচ্ছেদ, বাড়ছে সামাজিক সমস্যা। পরকীয়ার জন্য মূলত দায়ী দুজন দুজনের প্রতি ভালোবাসার অভাব। অনেককে লিখতে দেখেছি - নারী বা পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণে সঙ্গী ব্যর্থ হওয়ায় অধিকাংশে পরকীয়ায় জড়ায়। আমি তাদের এ যুক্তি মানতে নারাজ। যে নারী বা পুরুষের যৌবনে সঙ্গী মারা যায় এবং সারাটাজীবন বাচ্চাকাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ের আসরে বসেন না তাদেরও যৌন চাহিদা আছে। যৌন চাহিদা এমন একটা বিষয় যাকে আপনি যতো পূরণ করবেন ততো চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। একমাত্র ভালোবাসা পারে চাহিদাকে লাগাম দিতে।
chamok publisher