Answered 2 years ago
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রায় সব দেশেই একটা সামাজিক নিয়ম আছে গুরুজনদের সম্মান করা এবং তাদের মুখের উপর কথা না বলা। এটা আমার বেশ অপছন্দ।
এটা শুনে আপনি আমাকে এক বেয়াদব ছেলে ভাবতে পারেন। তবে আমার কাউকে সম্মান করতে কোন অসুবিধা নেই। আমি মনে করি সম্মানটা অর্জন করতে হয়। আমার কাজ যদি সম্মানজনক না হয় কিন্তু বয়েসের অজুহাত দেখিয়ে সম্মান চেয়ে বেড়াই তবে কেউ কী আমাকে মন থেকে সম্মান করবে? আর যে সম্মান মন থেকে আসে না সেই সম্মানের কোন মানে আছে কী?
এবার ভাবুন যদি আপনি বয়েসের অজুহাত দেখিয়ে সম্মান আদায় না করতে পারেন কিন্তু সম্মানের আকাঙ্ক্ষা করেন তবে আপনাকে এমন কাজ করতে হবে যেটাতে আপনার সম্মান করে লোকে। এটা কী বেশি ভালো নয়?
তবে কেউ অযোগ্যভাবে সম্মান পেলেও আমার অসুবিধা নেই কিন্তু সমস্যা হয় এই সম্মানের অপব্যবহার করায়। দেখেছি যারা এই সম্মানের সবচেয়ে অযোগ্য তারাই এটার সবচেয়ে বেশি অপব্যবহার করে। শুধুমাত্র, "আমি তোমার গুরুজন হই", "গুরুজনদের মুখেমুখে তর্ক করতে নেই এটাও জানো না" বলে অন্য জনের মুখ বন্ধ করিয়েছেন এমন মানুষের উদাহরণ ভুরি ভুরি। যুক্ত তর্ক সব হার মেনে যায় বয়েসের কাছে।
এই মনোভাব ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যবসা ও চাকরিক্ষেত্রেও কাজ করে। যেখানে ধরে নেওয়া হয় প্রবীণ বস সব সময় ঠিক এবং নবীণ ম্যানেজার বা কর্মচারীটি তার বয়েসের কারণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে একেবারে অক্ষম। তাই এখানে যুগান্তকারী কিছু খুঁজে পাবেন না। সব কিছু চলে বাঁধাধরা গথে এবং tradition বা seniority কে প্রশ্ন করলেই আপনি বেয়াদব ও অভদ্র।
তাই বলে এটা মনে করবেন না আমি বলছি বড়দের অসম্মান করবেন। সবাই সম্মানের পাত্র কিন্তু তার মানে এই নয় ঠিক ভুল আপনার সব কথা আমাকে মেনে নিতে হবে।
Azhar Ali publisher