আন-অফিসিয়াল ফোনগুলো বাংলাদেশে এতো পরিমাণে আসে কিভাবে? প্রচুর পরিমাণে ফোন তো ব্যক্তিগতভাবে ট্রাভেল করে আনা যায় না, তাহলে কিভাবে আসে এতো পরিমাণ ফোন? আর এরা করই বা কিভাবে ফাঁকি দেয়?

1 Answers   11.1 K

Answered 2 years ago

আনঅফিশিয়াল ডিভাইসের পরিচিতি বাংলাদেশে মূলত শাওমি আসার পর থেকে। তারপর থেকেই এসব ডিভাইসের সাথে তরুণদের পরিচয় এবং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। অনেকে আনঅফিশিয়াল ফোনের সাথে ক্লোন ডিভাইসগুলো মিলিয়ে ফেলেন। কিন্ত তা নয়। কেনার সময় অবশ্যই এ ব্যাপারে সাবধান থাকবেন।

আনঅফিশিয়াল ডিভাইসগুলো ৩ ধরনের হয়ে থাকে।

১. চোরাই ফোনঃ আপনি হয়তো এগুলোর কথাই বলছেন। এসব মোবাইল সাধারণত চীন থেকে ট্যাক্স ফাকি দিয়ে আনা হয়। আনার সময় বক্স খুলে আনা হয়। বড় কোন লাগেজে ফোনগুলো একসাথে এবং বক্স গুলো আলাদা ভাবে আনা হয়। সাধারণত ট্রাভেলার হিসেবে আসার সময় তারা এগুলো নিয়ে আসে। অন্যান্য চোরাই জিনিসও হয়তো এভাবেই আনা হয়। আবার ফোন কেনার সময়ও আপনি সিলড বক্স পাবেন না। এভাবেই এসবের ট্যাক্স ফাকি দেয়া হয়। বর্তমানে ইমপোর্ট করা ফোনে ৫৭% ভ্যাট বসানো হয়েছে। তাই অফিশিয়াল ডিভাইসের সাথে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা কম হয়ে থাকে প্রতি ২০ হাজারে। তবে অবশ্যই ফোনগুলো একদম অরিজিনাল হয়ে থাকে। এগুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি থাকে না এবং আফটার সেল সার্ভিসের কোন ভরসা নাই ।

২. রিফারব্রিশড ফোনঃ এগুলো পুরনো ফোন কিন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সেল করা হয়। এগুলোও অরিজিনাল এবং তেমন কোন সমস্যা থাকে না। ব্যাটারি ব্যাকআপ কম থাকে এগুলোতে। আইফোনের ক্ষেত্রে এগুলো জনপ্রিয়। এগুলোর ওয়ারেন্টি কার্ড পেতে পারেন তবে ডেট এক্সপায়ার্ড থাকে।

৩. অফিশিয়ালি আনঅফিশিয়ালঃ এগুলো একদম অফিশিয়াল ফোন কিন্ত সেল করা হয় আনঅফিশিয়াল স্টোরগুলোতে। অফিশিয়াল শোরুমের চেয়ে এগুলোতে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে পাওয়া যায়। সাথে অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিও থাকে।

Rion Ahmed
rionahmed
222 Points

Popular Questions