Answered 2 years ago
আল্লাহকে চিনতে পারিস নি, সেটা জানি। কিন্তু, তুই তো বিজ্ঞানও চিনিস না !! আজকে তোকে এমনভাবে বিজ্ঞান চিনিয়ে দিব, যে আগের সকল শিক্ষা ভুলে যাবি।
বিজ্ঞান শেখার আগে, প্রথমে ভাষা শেখ। তিনটি কথা - আবিষ্কার (discover), উদ্ভাবন (invent), সৃষ্টি (create)। এই তিনটি কথার পার্থক্য বুঝিস তো?
আবিষ্কার : এমন কোন জিনিস খুঁজে বের করা, যেটা সব সময়েই ছিলো, কিন্তু মানুষ জানতো না। সবসময়ই গাছের প্রাণ ছিল। বিজ্ঞান সেটা আবিস্কার করেছে।
উদ্ভাবন : প্রকৃতিতে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি জিনিস বানানো। যেমন - লাইট, ফ্যান, টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি।
সৃষ্টি: কোন উপাদান ছাড়াই কোন জিনিস উৎপাদন হওয়াকে সৃষ্টি বলে। যেমন - জীবন।
শুধুমাত্র আবিষ্কার ও উদ্ভাবন আছে। বিজ্ঞানের কোন সৃষ্টি নেই। কবি-সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী এরা সামান্য এক ধরণের সৃষ্টি করে, বলা যায়। কিন্তু বিজ্ঞান সৃষ্টি করতে পারে না।
আবিষ্কার ও উদ্ভাবন ছাড়াও বিজ্ঞানের আরেকটি অবদান আছে। সেটা হলো - জ্ঞান। আসলে ওই বিশেষ-জ্ঞান কে বিজ্ঞান বলে। এবার বিজ্ঞানের জ্ঞানের গভীরতা দেখি।
প্রশ্ন: কোন জিনিস পানিতে ভাসে কিভাবে?
উত্তর: বস্তুটি পানিতে রাখলে কিছুটা পানি অপসরণ করে। সেই অপসারণ করা পানির ওজন যদি ওই বস্তুর ওজনের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে বস্তুটি পানিতে ভাসে।
এমন নিয়ম কেন? বিজ্ঞানে এর উত্তর নেই।
প্রশ্ন : বরফ কিভাবে পানিতে ভাসে?
উত্তর : পানি বরফ হলে আয়তনে বেড়ে ফাঁপা হয়ে যায়। বরফ জিনিসটা সমান আয়তনের পানির চেয়ে হালকা।
বরফ আয়তন বাড়ে কেন? বিজ্ঞানে এর উত্তর নেই।
বিজ্ঞানের জ্ঞানটা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক নিয়মের জ্ঞান ছাড়া আর কিছুই না। অমুক পদার্থ এই নিয়ম মেনে চলে, তমুক পদার্থ সেই নিয়ম মেনে চলে। এটাই বিজ্ঞানের জ্ঞান।
কোন বস্তু কিভাবে প্রাকৃতিক নিয়ম মানে, সেটা বিজ্ঞান জানে। কিন্তু, কেন ওই নিয়ম মানে, সেটা জানে না। বিজ্ঞানে ওই কেন প্রশ্নের উত্তর নেই। এমন সুপরিকল্পিত প্রাকৃতিক নিয়ম কে বানিয়েছে, কে বলপূর্বক এই নিয়ম বহাল রেখেছে, সেটা বিজ্ঞান জানে না।
সকল জীবের "জীবন" আছে। জীবন একটি "সৃষ্টি"। এই জীবন জিনিসটা কি, কেমন দেখতে, ইত্যাদি কোন কিছুই বিজ্ঞান জানে না। সৃষ্টি করা তো অনেক পরের কথা, বিজ্ঞান ওই জিনিসটার সংজ্ঞাও দিতে পারে না। সারা বিশ্বে প্রতি বছর কয়েক হাজার নতুন প্রজাতির পোকা-মাকড় আবিষ্কার হয়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, পৃথিবীর ৯০% পোকা-মাকড় এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। সমুদ্রের মাত্র ৫% এর ম্যাপ আছে। অর্থাৎ, ৯৫% অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। গত ৪০+ বছর চলার পরে, রকেট সৌর-জগতের শেষ প্রান্তে পৌছেছে। এই গতিতে চলে, সবচেয়ে কাছের তারা পর্যন্ত পৌছাতে সাড়ে তিন লক্ষ বছর লাগবে।
হতভাগা, তুই আধুনিক বিজ্ঞানে আল্লাহর অবদান খুঁজিস? আধুনিক বিজ্ঞান, আল্লাহর অবদান দেখেই শেষ করতে পারছে না।
Harun Khan publisher