Answered 2 years ago
আপনার প্রশ্নটা দেখে প্রায় ১৫ বছর আগে সেই প্রথম চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরের ট্রেনিংয়ের দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। সেখানে নির্দিষ্ট করে আমাদের শেখানো হয়েছিল যে বস হলেই কেউ অধস্তন ব্যক্তির গায়ে হাত দিতে পারেন না, বিদেশিনী সহকর্মী / গ্রাহক খোলামেলা পোশাক পরলেই তিনি সহজলভ্যা নন, কাউকে একবার ডেটে যেতে বলা অন্যায় নয় কিন্তু আপত্তি করলে দ্বিতীয় বার জোরাজুরি করা কোম্পানির আইনের চোখে অপরাধ ইত্যাদি। তখন মনে হয়েছিল এগুলো কি এরকম ভাবে বোঝানোর দরকার আছে, কথাগুলো তো সবার জানা! আপনার প্রশ্ন শুনে বুঝলাম পনেরো বছর বাদেও কথাগুলো জোর গলায় বলতে হচ্ছে নাহলে লোকে অস্বাভাবিক বিষয়গুলি স্বাভাবিক ভাবছে!
আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই, অন্যের অনুমতি ছাড়া তার শরীর স্পর্শ করা, বারণ করার পরেও ফোনে, মেসেজে বা সামনাসামনি তাকে ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করা, আদর করতে চাওয়া বা চড় থাপ্পড় মারতে চাওয়া- এগুলো কোন স্বাভাবিক ইচ্ছা নয়, এগুলো আইনত অপরাধ। এখানে অপর ব্যক্তিটি শিশু না বৃদ্ধ, পুরুষ না মহিলা, আপনার পরিচিত বা অপরিচিত, পাজামা পরেছিল না বিকিনি- এসব বিষয় অবান্তর।
কিন্তু পাড়ার পলিবৌদির সাজগোজ দেখে কিম্বা বুবাইদার স্মার্টলি বাইক চালানো দেখে- একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পলিবৌদি বা বুবাইদাকে আদর করতে ইচ্ছা হতে পারে—কিন্তু সেই ইচ্ছাটাকে পূরণ না করার নামই ভদ্রতা। অস্বাভাবিক ইচ্ছা নিজের মধ্যেই দমিয়ে ফেলতে হয়! না করতে পারলে সমাজের চোখে এবং কিছু ক্ষেত্রে আইনের চোখেও আপনি অপরাধী বলে গণ্য হবেন!
Rahul publisher