Answered 2 years ago
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাতে আগামী কয়েক বছর পর কি হতে যাচ্ছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। এইতো কয়েক বৎসর আগেও আমরা কল্পনাও করতে পারিনি, প্রযুক্তির কল্যাণে দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা এত সহজলভ্য হয়ে যাবে। এখনকার সময়ে সকল কার্যক্রমই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে. এমন অবস্থা হয়েছে যে প্রযুক্তিহীন এক মুহূর্ত চিন্তা করাও কঠিন।
তারবিহীন টেকনোলজির কথা চিন্তা করুন. বাতাসে অদৃশ্য রেডিয়েশনের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার হয়। ভৌতিক কান্ড না! মুখের অবয়ব, আঙ্গুলের চাপ সিকিউরিটি হিসেবে কাজ করবে. এমনটাই বা কয়জনে ভাবতো। ধরতে না পারা কম্পিউটার প্রোগ্রামের কথা চিন্তা করুন. জটিল, কষ্টসাধ্য কাজও নিমিষেই করে ফেলা যাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এরই আপগ্রেড ভার্সন. এটা হয়তো ভবিষ্যৎ রাজত্ব করবে! যা সেট করা প্রোগ্রাম অনুসারে স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিজে থেকেই বিভিন্ন রকম কার্যক্র সম্পন্ন করতে পারে। (এটার ব্যবহার ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে)
ইন্টারনেটের সাথে আমি সংযুক্ত হয়েছি খুব বেশি দিন না. ২০১৩ কি ২০১৪ সাল থেকে. মানে প্রায় আট বছরের মতো। বর্তমানে আমি যে প্রযুক্তি গুলোর সাথে পরিচিত, ১৩-১৪ এর আগে এগুলো চিন্তা করলেও যেন স্বপ্নের মত লাগে। এত কম সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়ন সত্যিই বিস্ময়কর। আর এক যুগ পরে হয়তো দেখবেন মানুষ নিজে থেকে কোন কাজই করছে না. প্রত্যেকটা সেক্টরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বেড়ে যাবে। এখন কার ফোন গুলোতে যে প্রসেসিং পাওয়ার সম্পন্ন সিপিইউ ব্যবহার করা হয়. দশ বছর আগের কম্পিউটারেও সেরকম প্রসেসর ব্যবহার হতো না. কিছুদিন পর মানুষ পকেটে সুপার কম্পিউটার নিয়ে ঘুরবে। ইলন মাস্কের স্টারলিং প্রজেক্ট হয়তো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে। টেসলা ফোনে স্যাটেলাইট রিসিভার মডিউল ইনস্টল করা থাকবে. যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে ইন্টারনেট এক্সেস করা যাবে (নির্দিষ্ট ফি দিয়ে কানেকশন নিতে হবে) পাশাপাশি অন্যান্য নির্মাতারাও হয়তো বসে থাকবে না। ইলেকট্রনিক মানি/অনলাইন পেমেন্ট মেথডের ব্যবহার বেড়ে যাবে। অ্যাডভার্টাইজ সিস্টেমেরও পরিবর্তন আসতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে বলতে গেলে প্রযুক্তিময় জীবন। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাবার আশঙ্কাও আছে!
nabilahmed publisher