আইয়্যামে জাহেলিয়া যুগে যদি কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো তাহলে নবী (স) জন্মালেন কিভাবে? সাহাবীরা জন্মালেন কিভাবে?

1 Answers   11.1 K

Answered 2 years ago

আইয়্যামে জাহেলিয়াত বলতে অন্ধকার যুগ বলে। যেমন বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগের আমল হচ্ছে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের আমল। কিন্তু আসলেই কি তাই?

এসব আসলে অতিরঞ্জিত করে বলা হয় অন্যকে ঘায়েল করতে।

আরবের সেই যুগ অত খারাপ ছিলো না। আচ্ছা বলেন তো ইসলাম আরবে আসার পরে কি কি উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে গিয়েছিলো? কতগুলো রাস্তা ঘাট, "ফ্লাইওভার", " মেট্রোরেল" হয়েছে? জাস্ট বলার জন্য বলছি। আরবে উল্টো ইহুদী, খ্রিষ্টান, মুসলিমদের মধ্যে মারামারি ও খিলাফতের আমলে একে অন্যকে কি করে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়া যায় সেটাই ছিলো আরবের অবস্থা। এরপরে আরব জাতি ও ইহুদি জাতির মধ্যে যুদ্ধ, যা আজও শেষ হয় নি। এদের মাঝখানে পড়ে বলির পাঠা বা কোরবানীর গরু হয়েছে বাংলাদেশি তথাকথিত মুসলিম যোদ্ধারা।

আসলে প্রাক ইসলামিক যুগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীর অধিকার অনেক বেশি ছিলো। আপনি বলেন তো, নারীরা যদি সেই যুগে এতটা কষ্ট সহ্য করতো তবে নবীর ধনী স্ত্রী খাদিজা এত বড় ব্যবসায়ী ছিলেন কিভাবে?

বর্তমান যুগে ১০ জন মহিলা মুসলিম ব্যবসায়ীর নাম বলুন তো? পারবেন কি বলতে?

হ্যা, নারীর অবস্থা সবক্ষেত্রে ভালো ছিলো না। পুরুষের দুর্গন্ধযুক্ত পুরুষাংগের জ্বালা মেটাতে সেই যুগে আরবে দাসী কেনা বেচা হতো। এত নারীর অধিকার থাকলে লাগালাগির জন্য নারী কেনাবেচা করতো না সেই সময়ে। তবে ইসলাম আসার পরে কি সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছিলো কি?

না, মোটেই না।

উল্টো দাসীর সাথে সেক্স করাটাকে আয়াতের মাধ্যমে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনকি নবীও দাসী কিনতেন সেক্স করতে। নিজের মেয়ের জামাই ও আপন চাচাতো ভাই আলী রাঃ যুদ্ধ থেকে ফিরে সেক্স করতে ইচ্ছে করায় দাসীর সাথে সেক্স করতে অনুমতি দেয় নবী।

তাহলে নারী সেই যুগে শুধুমাত্র পুরুষের দূর্গন্ধময় নুনুর জ্বালা মেটানোর কাজে ব্যবহার হতো বেশি। সেটা ইসলামিক যুগে আরো বেড়ে গিয়েছিলো। কমে নি।

বাদশা, সুলতান, সম্রাটদের হারেমে অনেক নারী থাকতো লাগানোর কাজে। তাহলে কোথায় নারীর অধিকার দিয়ে একেবারে জাহেলিয়াত থেকে নতুন আলোর যুগে নিয়ে এসেছিলো ইসলামিক যুগের শাসকেরা?

মেয়েদের জীবন্ত মাটিতে পুতে ফেলা দারিদ্রের কারনে কেউ কেউ করতো। বাংলাদেশের কথা চিন্তা করুন। এখনো মেয়ে বাচ্চা হবে শুনলে অনেকে বেজার হয়ে যায়। ডাক্তার বলতে চায় না ছেলে না মেয়ে হবে।

ধর্ম বিশেষ করে নারীকে টার্গেট করে বেশি। এই নারীর কারনে ইতিহাসে বহু শাসকেরা রাজ্য দখল করতো। নারীকে পেতে আলাউদ্দিন খিলজিরাও যুদ্ধ করতো।

নারীর যোনীর স্বাদ পেতে পুরুষের নুনুটা সবসময় খাড়া হয়ে থাকে। এই জন্য নারীকে বন্দী ঘরে রেখে পুরুষ নিজের লালসা মিটিয়ে যাচ্ছে এখনো।

আজ নারী দিবস পালন করতে হয়। কারন এখনো নারীদের দ্বিতীয় শ্রেনীর মানুষ মনে করা হয়। মানুষ মানে পুরুষ ও মেয়ে মানুষ মানে নারী।

নারীর অধিকার সব সময়েই পুরুষের চাইতে কম ছিলো কিন্তু প্রাক ইসলামিক যুগে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা ইসলামিক যুগের চাইতে বেশি ছিলো এটা অবশ্যই মানতেই হবে।

নারী নিজের মা, নিজের বোন, নিজের স্ত্রী, নিজের মেয়ে সন্তান হয়। নারীকে সব সময় সেক্সের সামগ্রী হিসেবে দেখা বন্ধ করতে পারলেই নারী দিবসের প্রয়োজন হবে না।

Oditi
oditikhan
344 Points

Popular Questions