অবশেষে বিশ্বব্যাংক ঋণ হিসেবে বাংলাদেশকে ২৬৭৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে। এই বিষয়ে কী বলেন?

1 Answers   1.8 K

Answered 2 years ago

আইএমএফ ঋণের সাত কিস্তির প্রথম কিস্তির আধা বিলিয়ন ডলার আসবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। আরও ৩ মাস। এর মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক সংকট গভীরতর হবে। ২ মাস ধরে এলসি বন্ধ প্রায়, এর অর্থ ব্যবসা বন্ধ এবং কর্মী ছাটাই। ব্যাংক বিদেশেগামী উচ্চ শিক্ষার্থীদের ফাইল খুলছে না। অর্থাৎ এইসব খাতে এখন দরকারি পাচার শুরু হবে।


সংকট যত ঘোলাটে হবে রাতের ভোটের কুশিলবরা, আমলারা তত বেশি অর্থ পাচারে নেমে পড়বে।


এতদিন অবৈধ আয়, লুটের অর্থ পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। এখন পলিসির কারণে ব্যবসায়ীরা, মানুষ পাচারে বাধ্য হবেন। ইতিমধ্যেই ধনিক শ্রেণী পাচারে নেমেছে। যে যেভাবে পারছে অর্থ সরাচ্ছে। বনিকবার্তা বলেছে ২০টির বেশি ব্যাংক ডলার শূন্য, মাস গড়ালে সংখ্যাটা বাড়বে।


এলসি বন্ধে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় শুরু হয়েছে, দুই মাস পরে আরও জটিল হবে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা খুশিতে ঠেলায় এলসি খোলে না।


আমদানি কমলে রুপ্তানি কমতে বাধ্য। সরকার আমদানির আড়ালে পাচার তদন্তে ৬ বছর সময় পেয়েও করেনি। বরং ২০১৫-১৬তে গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স পাচারের তথ্য দিলে, সরকার পরের বছর থেকে জিএফাইকে এলসি তথ্য প্রদান বন্ধ করে দেয়।


এভাবে দুর্বিনীত দূর্নীতিকে স্টেট স্পন্সরে জারি রেখেছে আওয়ামী লীগ।


আইএমএফ এর শর্ত মেনে ২য় এবং পরের কিস্তি আনতে হবে। মিডিয়া সরকারের পক্ষে ডুগডুগি বাজালেও বাস্তব পরিস্থিতি জটিল।


সরকারের কাছে প্রকৃত রিজার্ভ কত আছে সেটা আইএমএফ ও তার পার্টনাররা জেনে গেছে। ফলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কিংবা এডিবির ঋনের কিস্তিও কমে যাবে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ঠিক কত বিলিয়ন ডলার ক্যাশ রিজার্ভ আছে? স্বর্ণ বিক্রির দরকার হল কেন? প্রশ্ন গুলো যৌক্তিক। কত বিলিয়ন ডলার ফেডারেল রিজার্ভ, গোল্ড, বন্ড, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এ বিনিয়োগ করা এসব তথ্য পাব্লিকলি এভেইলেবল নয় সঠিক সংখ্যায়। সরকারি সংখ্যায় ঘাপলার অভিযোগ প্রমাণিত।


রিজার্ভের যে অংশ মার্কিন ফেডে আছে, ধরুন আনুমানিক ৮ বিলিয়ন ডলার, এর পুরাটা যখন তখন ক্যাশ করতে পারবে না। এখানে কিছু সিকিউরিটি জমা থাকা সমীচীন।


আইএমএফ যদি সত্য সত্য নেট ক্যাশ রিজার্ভ ৫.৬ থেকে ১৩.৬ বিলিয়ন ডলার পেয়ে থাকে, যেমনটি অনেক গুলা সোর্সে কানাঘুষা হচ্ছে, তাইলে বুঝতে হবে সরকারের হাতে খরচযোগ্য ডলার নেই। সরকারকে রুপ্তানি রেমিট্যান্স ও ঋনের জন্য চাতক পাখির মত চেয়ে থাকতে হবে। স্বর্ণ ও বন্ড বেচতে হবে।


গণ এলসি বন্ধ করে রুপ্তানি বৃদ্ধি আশা করা যায় না।


খোলা বাজারের ডলার ৫-৭ টাকা বেশি হলে হুন্ডি চলবে।


ঋণের ক্ষেত্রে বলা হয়, দেয়ার ইজ নো ফ্রি লাঞ্চ!


Surovi Islam
Suroviislam
408 Points

Popular Questions