Answered 2 years ago
কি ভাই অনুব্রত মানে কেষ্টর মহা অনুরাগী মনে হচ্ছে ? তা প্রশ্ন করার ধরন দেখে মনে হলো । সাক্ষাৎ কেষ্ট আবার পাপী হয় ? একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে লালু যাদব চারা কান্ডে গ্রেফতার হবার পর বিহারের জনতার উদ্দেশে বলেন যাদব কুলপতি শ্রী কৃষ্ণ জেলে জন্মেছিলেন এবং আমার অনেক পুন্য আমি ও ওই জায়গায় যেতে পারছি আর অনুব্রত তো সয়ং কেষ্ট সাথে বিষ্টুর ও অভাব নেই । যাই হোক অষ্টম শ্রেণীর স্কুল ছুট ছাত্র বাবার মুদি দোকান
থেকে মাছ ব্যাবসায় উত্তরন সাথে কংগ্রেসের লোকাল ছুটকো নেতা । ভাগ্য ফিরে তৃনমূল গঠিত হবার পর । মমতার সুনজরে পড়ে গিয়ে এক দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম বিরোধী নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ । এরপর ২০১১ সালে তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর বীরভূমের অঘোষিত বাঘ এবং একছত্র জনতার ভাগ্য বিধাতা সয়ং কেষ্ট নিজ রুপে আসীন । যার বর্তমান আয় দিনে ৩০ লক্ষ্য টাকার কাছাকাছি । এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাইস মিল, বেশ কয়েকটি বালি খাদান নিজ নামের সম্পত্তি । বাইরে ফিসফাস বীরভূম এবং বর্ধমানের অধিকাংশ মিল মালিক কেষ্টর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাদের কিছু শেয়ার ভেট দিয়ে । অগুনতি অবৈধ বালি খাদান সত্বের চিরস্থায়ী দাবি কেষ্ট দার । এরপর মনে শান্তি নেই টাকা ছাড়া ঘুম হয় না ।
অবৈধ ভাবে গরু পাচার চক্রের একটা মোটা সেলামি ঘুরপথে পৌঁছে যেত । মূলতঃ পাঞ্জাব , রাজস্থান, বিহার ঝাড়খন্ডের গরু বীরভূম হয়ে পাচার হত । ব্যাক্তিগত আয় ছাড়াও রাজনৈতিক প্রতিপত্তি তে দলীয় থেকে বিপক্ষ তটস্থ থাকত পুলিশ ও এর বাইরে নয় । প্রথম ভাইরাল মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশকে শাসানি , " আজ রাত্রির মধ্যেই ঘরবাড়ি আগুন ধরিয়ে দেব , বোম মেরে উড়িয়ে দেব আটকাতে পারলে আটকাবেন " । নির্বাচন প্রসঙ্গে সভা থেকে নকুল দানা, গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক বাজাব , চাবকে লাল করে দেব ইত্যাদি কোড ল্যাঙ্গুয়েজে প্রকট অথবা প্রচ্ছন্ন হুমকি । বিরোধী দলের কর্মীদের হাত কেটে নেব ইত্যাদি ভাষনের জন্য প্রচারের আলোয় আলোকিত । পাড়ুই ঘোষ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত । এত গুনকির্তী থাকা সত্ত্বেও সাদা শাড়ীর ক্লিনচিটে আরো মনি মুক্তো মন্ডলের ভান্ডার থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে । ১) আমিনুল ( নাম পরিবর্তিত ) কে না পেয়ে তার দুই মেয়েকে নগ্ন হয়ে একদল লোকের সামনে হাঁটতে বাধ্য করা হয় । নিজেদের সম্ভ্রম বাঁচাতে বিবস্ত্র তরুনীরা একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয় । ২) এক দরিদ্র পিতা সুবল (নাম পরিবর্তিত) তার মেয়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করায় সামনের উচ্চ শিক্ষার জন্য দিশেহারা পিতা দুয়ার থেকে দুয়ারে ঘুরতে থাকে , এক বিশেষ জনৈকের সৌজন্যে কেষ্ট দার সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ , ব্যাস্ত কেষ্ট দা শুনে ছিলেন
পাক্কা সাড়ে তিন থেকে চার মিনিট । রফা সূত্র বেরিয়ে এসেছিল তিন রাত অঙ্ক শায়িনি হবার বিনিময়ে । হতদরিদ্র দিশেহারা পিতা মানতে পারেননি । কেষ্টও মানতে পারেনি । উপকারী কেষ্ট দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল উপকার করবেই । পিতা পুত্রীর বীরভূম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা সফল হয়েছিল অথবা হয়নি তা আজ ও জানা যায় নি ।
এমন হাজারো উপাখ্যান বীরভূমের বাতাসে ভেসে বেড়ায় বিচারের ……… নিস্ফল অনুচ্চ নাদে , ইংরেজি পোয়েম ধার করে বলাই যায় _ Is there anybody there …… listen is there anybody ? Who can open the door of justice for us ! Is there anybody ?? But in the poem there was nobody ! Here just a hope like a lightning bug in the sky
জয় কলির কেষ্ট __
sojibsahriar publisher