Mbps ও MBps-এর মধ্যে তফাৎ কী?

1 Answers   3.9 K

Answered 2 years ago

আমরা এমবিপিএস শব্দটির সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। এটা সাধারণত ইন্টারনেট কানেকশন স্পিড মাপার কাজে ব্যবহার করে থাকি। এটা প্রকৃতপক্ষে ডাটা রেট মাপার ইউনিট। ডাটা ট্রান্সফার রেট হল কোন একটি ডাটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে প্রতি একক সময়ে যত পরিমাণ ডাটা বাহিত হয় তার মান।

আমরা যখন ইংরেজিতে এমবিপিএস দেখি তখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। কারণ এটা দুরকম ভাবে লেখা থাকে ক্ষেত্র বিশেষে। MBps ও Mbps । ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ এই দুটি মানেই আলাদা।

এখানে দুটো শব্দে দুটি পার্থক্য রয়েছে কেবলমাত্র লেখাতে। ওগুলোর আলাদা অর্থ রয়েছে।

MBps = মেগাবাইট পার সেকেন্ড

Mbps = মেগাবিট পার সেকেন্ড

অতএব আমরা এটা বলতে পারি বড় হাতের বি (B) বাইট আর ছোট বি (b) বিট।

বিট = 0 অথবা 1 যেকোনো একটি সিগন্যাল (কম্পিউটারের ভাষা) কে বোঝায়।

বাইট = আটটি বিটের একত্রিত গোষ্ঠী।

বাইট= [ 0, 1, 1, 0, 1, 0, 1, 1]

এখানে প্রতিটি 0 বা 1 হলো বিট কিন্তু বন্ধনীর মধ্যে থাকা আটটি বিট নিয়ে একটা বাইট তৈরি হয়েছে।

অতএব বাইট (B) = 8 বিট (b)।

অতএব 1 MBps = 8 Mbps

বিট এর ডেসিমেল মাল্টিপেল

কিলোবিট, মেগাবিট, গিগাবিট, টেরাবিট

এক কিলোবিট = 1000 বিট = (1000/8)= 125 বাইট

একইভাবে এক টেরাবিট = 10¹² বিট = 125*10^9 বাইট।

বিট এর বাইনারি মাল্টিপেল

কিবিবিট, মেবিবিট, গিবিবিট, টেবিবিট

1 কিবিবিট = 1024 বিট =128 বাইট

1 টেবিবিট = 1024⁴ বিট

বাইট এর ডেসিমেল মাল্টিপেল

কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট, টেরাবাইট

1 কিলোবাইট = 1000 বাইট = 8000 বিট = 8 কিলোবিট

বাইট এর বাইনারি মাল্টিপেল

কিবিবাইট, মেবিবাইট, গিবিবাইট, টেবিবাইট

1 কিবিবাইট = 1024 বাইট = 1024* 8 = 8192 বিট = 8 কিবিবিট

বাইট এবং বিট

বিটস পার সেকেন্ড এবং বাইট পার সেকেন্ড ডাটা রেট ইউনিটের খুবই সাধারণ দুটি একক।

সাধারণত মেগাবিট পার সেকেন্ড আর মেগাবাইট পার সেকেন্ড দুটি ডাটা ট্রান্সফার রেট মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।

নেটওয়ার্ক সাধারণত ডাটার প্রতিটি বিট মাপতে পারে কিন্তু হার্ডডিস্ক বা মেমোরি কার্ড বা কোন ডিভাইস বিট মারতে পারেনা, তাদের দরকার আটটি বিটের একসাথে তৈরি সেট অর্থাৎ বাইট।

নেটওয়ার্ক একটি দুটি বিটকে আলাদা করে চিনতে সক্ষম হলেও ডিভাইস বা মেমোরি কার্ড বাইট থেকে বিটকে আলাদা আলাদা করতে পারে না।

তাই বলা যায় কোন ডিভাইস বা মেমরি স্টোরেজ এক বাইটের থেকে ছোট হতে পারে না বা সেগুলি এক বাইট এর থেকে ছোট কোন ডাটা পড়তে পারেনা। তাই বলা যায় এদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ইউনিট হলো বাইট। কিন্তু নেটওয়ার্কে ক্ষেত্রে এই সর্বনিম্ন ইউনিট হলো বিট।

ব্যবহার

যেহেতু নেটওয়ার্ক বিট পড়তে পারে তাই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ডাটা রেট অর্থাৎ ডাউনলোড স্পিড আপলোড স্পিড মাপা হয় মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড দিয়ে।

আর বাইট দ্বারা কোন ফাইলের সাইজ বা কোন ফাইল এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে কত পরিমাণ ডাটা স্থানান্তর হচ্ছে তা মাপতে ব্যবহার করা হয়।

অর্থাৎ বলা যায় যে আমরা যখন কোন ফাইল ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করি বা এক ফোন থেকে অন্য ফোনে ট্রান্সফার করি তার স্থানান্তর স্পিড মাপা হয় মেগাবিট পার সেকেন্ড আর আমরা ডাউনলোড করছি বা যে ফাইল ট্রান্সফার করছি তার সাইজ মেগাবাইট দ্বারা মাপা হয়।

ধরা যাক আপনি একটি 2 মেগাবাইট সাইজের ফাইল ডাউনলোড করছেন। যদি ট্রানস্ফার অথবা ডাউনলোডের স্পিড হয় 2 মেগাবিট পার সেকেন্ড তাহলে 8 সেকেন্ড লাগবে এটি ডাউনলোড অথবা ট্রান্সফার হতে , 1 সেকেন্ড নয়। কারণ এক্ষেত্রে 2 মেগাবিট ডাউনলোড হবে 1 সেকেন্ডে আর আমার রয়েছে 2 মেগাবাইট অর্থাৎ 8*2 সমান 16 মেগাবিট তাই 8 সেকেন্ড লাগছে।

একইভাবে এক মেগাবিট পার সেকেন্ড ইন্টারনেট স্পিড দ্বারা কখনোই এক সেকেন্ডে 1 মেগাবাইট ফাইল ডাউনলোড সম্ভব নয়, 8 সেকেন্ড লাগবে।

অর্থাৎ ইন্টারনেটের 16 মেগাবিট প্রতি সেকেন্ড স্পিড থাকলে, ম্যাক্সিমাম 16/8 = 2 মেগাবাইট ফাইল ডাউনলোড করতে দেয় প্রতি সেকেন্ডে।

অনেকেই ভাবতে পারেন যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার আমাদেরকে মিথ্যা বলে থাকে বা শঠতা করে যেহেতু শুনতে দুই একক‌ই‌ ছোট করে বললে শুনতে একইরকম কিন্তু আসল ব্যাপার 8 ভাগ বা 8 গুন আলাদা।

কিন্তু এই ইউনিট 1970 সাল থেকে ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যবহার হয়ে আসছে । যেহেতু তখন অর্থাৎ ইন্টারনেটের শুরুর সময় বেশিরভাগ ফাইল খুবই ছোট ছোট ছিল তাই সর্বনিম্ন একক অর্থাৎ বিট পরিমাপের প্রচলন শুরু হয়।

ধন্যবাদ

Rocky Khan
Rocky Khan
547 Points

Popular Questions