Answered 2 years ago
পাতাল রেলের কাজ তো ভালোই এগোচ্ছে।
এই তো বিমানবন্দরের নিচ দিয়ে পাতাল রেলের কাজ চলমান আছে।
পাতাল রেলের কাজ শেষ হলে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত কোনো যানজট থাকবে না যদি ভাড়া যাত্রীদের নাগালের মধ্যে থাকে।
এসব প্রকল্প করাই হয় যাতে অনেক বেশি যাত্রী এটা ইউজ করে। সেই হিসেবে যদি ভাড়া সর্বনিম্ন ৩০ টাকা হয় তবে যাত্রী বেশি পাবে তবে ভাড়া যদি ৫০ টাকা করে তবুও যাত্রী পাবে। কারন মানুষ তাড়াতাড়ি যেতে একটু বেশি দিয়ে হলেও রেলে উঠবে।
বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের খরচের তুলনা করে লাভ নেই। এখানে সব সেবা ও পন্যের দাম বেশি। সেটা মাথায় নিয়েই এসব প্রকল্পের সুবিধা নিতে হবে।
ভাড়া মোটামুটি সহনশীল হলেই পাতালরেলে অনেক যাত্রী উঠবে।
Answered 3 years ago
কয়েকটি অপশন বলে রাখি, যদিও এ ব্যাপারে লিখেছিলাম কিন্তু কোরা কতৃপক্ষ তথাকথিত স্পামিং এর রুলস টেনে এনে মুছে দিয়েছেন। তবে এবার লেখায় সতর্ক থাকার চেষ্টা করব।
▶প্রথমত, মেট্রোরেল নির্মান কিংবা যেকোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আওয়ামীলীগের নেতারা যেরকম চিল্লাচিল্লি করে করে যে তারা একেবারে উন্নয়ন করে ফেলেছে, ব্যাপারটা কিন্তু শুধু উন্নয়নের নয়। এখানে ব্যাপারটা তাদের পকেটে কোটি কোটি টাকা ভর্তি করারও আছে।
▶ দ্বিতীয়ত, কিছু কিছু পাবলিক আছে এরা বলে দুর্নীতিও হয়েছে আবার উন্নয়নও হয়েছে। এরা হচ্ছে বড় ধরনের ভন্ড। এই কথা বলার মাধ্যমে এরা প্রমাণ করতে চায় যে, দুর্নীতি করো সমস্যা নাই কিন্তু আমাদের তথাকথিত উন্নয়ন ঠিকই চাই।
এবার আসি আপনার বক্তব্যে, পাতাল মেট্রোরেল নির্মান কতটুকু যৌক্তিক?
উত্তর হচ্ছে, পাতাল রেল নির্মান করার যথেষ্ট যৌক্তিক আছে। এ ব্যাপারে আমার লেখা উপরের প্রথম অপশনটা ভালো করে পড়বেন। পাতাল মেট্রোরেল নির্মানে যথেষ্ট সুবিধা আছে। আপাতত সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কিছু বললাম না। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, মেট্রোরেল নির্মানে সবথেকে বেশি সুবিধা হচ্ছে বর্তমান সরকারের।
এত খরচ হওয়া সত্ত্বেও কেন পাতাল রেল যৌক্তিক?
➡ এতে নেতাদের পকেট ভর্তি করা যাবে।
➡ নিজস্ব সরকারি কর্মকর্তাদেরও পকেট ভর্তি হবে। যদিও কিছুদিন আগে সংসদীয় কমিটিতে মেট্রোরেল প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু এটা শুধু লোক দেখানো যাতে কখনও এই প্রশ্নের মুখোমুখি না হয় যে আমরা দুর্নীতি করেছি।
➡ জনগণের উপর অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপিয়ে দেওয়া যাবে। কারন তখন তো শখের বশে হলেও সবাই মেট্রোরেলে উঠতে চাইবে। ঢাকা শহরের যে জ্যাম, এতে কে না চাইবে তারাতারি তার গন্তব্যে পৌছাতে।
➡ অতিরিক্ত ব্যায়ের নামে অনেক অর্থ লুটপাট করা যাবে কারন উর্ধ্বতন পক্ষকে যদি লুটপাট করার সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে তারা যদি সরকারের বিরোধীতা করে সেজন্য সুযোগ দেওয়া হবে। সিপিডি'র বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ভারতের চেয়েও বেশি৷ এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুলনা করা চলে৷ বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ব্যয় তিন থেকে চারগুণ বেড়ে যায়৷
➡ সেই সাথে ক্ষমতা ছাড়ার পর যদি বিদেশে পালিয়ে যাই, বাকি দিনগুলো কিভাবে কাটবে ! সেই টাকা তো জোগাড় করা লাগবে।
আমাদের দেশের কিছু আলদা পিরিতওয়ালা পাবলিক আছেন, এনাদের কথা হচ্ছে দুর্নীতি হোক কিন্তু আমরা মেট্রোরেল চাই। দেখেন ভাই, মেট্রোরেলের বিরোধীতা আমি করিনা, কিন্তু সামর্থের যে একটা ব্যাপার আছে এটা কেন দেখিনা !! কোটি কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে এটা নিয়ে কেন বলিনা !! সবাই মনে করে টাকা তো আর আমার নয় !! আসলে কি তাই?
Shilpi publisher