Answered 2 years ago
হারেমের একমাত্র প্রধান আকর্ষণ ছিলেন সম্রাট বা সুলতান। সুলতান একমাত্র পুরুষ যিনি হারেমে প্রবেশ করতে পারতেন। সুলতান ছাড়া অন্য কেউ হারেমে প্রবেশ করলে তার জন্য মৃত্যুদন্ড ছিলো অনিবার্য। সুলতান তার হারমের সুরক্ষিত করতে নিয়োগ করতেন খোজাদের কে।খোজা মূলত পুরুষ কিন্তু তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হতো। পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার কারন হচ্ছে যাতে তারা হারেমের সুন্দরীদের ভোগ করতে না পারে। খোঁজা তৈরি করার জন্য সে সময় ক্রীতদাস ব্যবসায়ীরা ছোট ছেলেদের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলতো। দেখা যেতো একজন খোজা বানাতে গিয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। যেই একজন বেঁচে যেতো সেই একজনকে তারা সুলতানের কাছে চড়া দামে বিক্রি করতো। এই খোজারা হতেন অনেকটা মেয়েলি স্বভাবের তারা গান, নৃত্য, কবিতা ভালোবাসতেন যেমনটা নারীরা ভালোবাসতেন। নারীদের প্রায় সব স্বভাবই তাদের মধ্যে থাকতো। একটি হারেমে খোজা থাকতো ১০০ থেকে ১৫০ এর অধিক। খোজাদের মধ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ দু রকমের খোজা ছিলো। শোনা যায় সুলতানরা নাকি এই শ্বেতাঙ্গ খোজাদের সাথে নিজের বিকৃত যৌনাচার ও চালাতেন।
(ছবিতে ১৯৩০ এর দশকের এক আফ্রিকান খোজা)
মাঝেমধ্যে এই খোজাদের মধ্যে নতুন করে পরুষত্ব জেগে উঠতো। তারা লুকিয়ে লুকিয়ে হারেমের রূপসীদের ভোগ করতো। হারেমের রূপসীরাও তা গোপন রাখতো। হারেমের কোনো খোজার নতুন করে পুরুষত্ব জেগে উঠেছে এমন খবর সুলতানের কাছে গেলে সুলতান তা হেকিম কে দিয়ে পরীক্ষা করতেন এবং আবার তার অস্ত্রপ্রাচার করতেন। ফলে দেখা যেতো বেশিরভাগ খোজারই মৃত্যু হতো।
dorududdin publisher