Answered 2 years ago
বাচ্চা যদি না হয় তবে এর জন্য নারী দায়ী ৪৫% ও পুরুষ দায়ী ৪৫%। বাকি ১০% দায়ী হচ্ছে অন্যান্য বিভিন্ন কারন যেমন সহবাস ঠিকভাবে সঠিক সময়ে না করা। মাসিক শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী মাসিক শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়ের মাঝের ২য় সপ্তাহে একদিন পর পর এক সপ্তাহ কনডম ছাড়া সহবাস করলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯০%।
পুরুষের সাদা বীর্য থেকে যে লক্ষ কোটি শুক্রানু নারীর যোনীর ভিতরে প্রবেশ করে সেগুলো তিনদিন নারীর শরীরে জীবিত থাকে। তাই বলা হয় যদি কখনো সহবাসের সময় পুরুষাংগে কনডম না পড়া হয় তবে বাচ্চা যাতে না আসে সেজন্য স্ত্রী যদি সেক্স পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ইমার্জেন্সী পিল খায় তবে প্রেগনেন্ট হবে না। আর যদি হয়ে যায় কোনো কারনবশত তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট খেলে সেই প্রেগনেন্সী আর থাকে না। মাসিকের মতো সামান্য রক্ত বেরিয়ে গর্ভপাত হয়ে যায়। বেশি দেরিতে গর্ভপাত করলে অনেক সমস্যা। তখন কষ্ট হয় বেশি।
এটা তো হলো বাচ্চা হবে কি হবে না সেটা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
কিন্তু বাচ্চা ছেলে কি মেয়ে হবে সেটা ১০০% নির্ভর করে পুরুষের উপরে। নারীর এখানে কোনো ভূমিকা নেই। ১% ভূমিকাও নেই ছেলে না মেয়ে হবে এই ব্যাপারে।
ছেলের বীর্যে X ও Y দুটি ক্রমোজোম থাকে। মেয়ের ডিম্বানুতে দুইটিই X ক্রোমোজোম থাকে। Y ক্রোমোজোম থাকে না। মেয়ে বাচ্চা হতে দুটি X X ক্রোমোজোম লাগে। ছেলে বাচ্চা হতে হলে পুরুষের Y ক্রোমোজোম লাগবেই। নারীর X ও পুরুষের Y মিলে ছেলে বাচ্চা হবে।
কিছু গবেষনায় দেখা গেছে পুরুষের Y ক্রোমোজোম যাতে নারীর X ক্রোমোজোমের সাথে মিলিত হতে পারে সেক্ষেত্রে পুরুষ যদি সহবাসের সময় নিজের পুরুষাংগ নারীর যোনীর বেশি গভীরে প্রবেশ করিয়ে বীর্যপাত করে তবে ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যোনীর মুখে বীর্যপাত করলে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শুক্রানু যোনীর গভীরে যেতে পারলে Y ক্রোমোজোমের ডিম্বানু নিষিক্ত করার ক্ষমতা বাড়ে। যার ফলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
এছাড়া পুরুষ সহবাস করার দুই ঘন্টা আগে কফি খেলে Y ক্রোমোজোম বেশি সচল হয় বলে একটা মিথ চালু আছে। খেয়ে দেখতে পারেন।
shariaranu publisher