Answered 3 years ago
সিনেমা হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম যেখানে বিভিন্য কৌশলের প্রচুর প্রয়োগ ঘটে। সিনেমাতে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো মূলত প্রপ্স ওয়েপন। এগুলাকে খেলনা অস্ত্র বলাটা যেমন ভূল একইভাবে অরিজিনাল বলাও ভূল। এগুলো এয়ারসফট এর মত ফায়ার করতে পারে ঠিকই তবে সবগুলো ডামি বুলেট।
একটা সময় ছিল সিনেমাতে প্রচুর পরিমাণ সত্যিকারে অস্ত্র ব্যবহার করা হত। সত্যিকারে অস্ত্র হলেও এদের রেঞ্জ খুবই কম। এজন্য আবার কলাকুশলীদের লাইসেন্স ও থাকতে হবে। দক্ষিণ ভারতের একজন ব্যক্তি আছেন যার কাছে আছে পৃথিবীর সব থেকে বেশী ডামি (যেটা ডামি ফায়ার করতে পারে) অস্ত্রের ভান্ডার। তার কাছে থ্রী নট থ্রী (৩০৩), রেমিংটন, হেকলার এ্যান্ড কখ, এম১৬এ১ সহ বিভিন্য ধরণের অস্ত্র আছে। এগুলোর ফায়ারিং রেঞ্জ বাদ দিলে রিকয়েল, মাজল ভেলোসিটি সবই প্রায় সত্যিকারে অস্ত্রের মতই।
এখন প্রশ্ন হতে পারে এয়ারসফট ব্যবহার করেই তো এগুলো করা যায়। হ্যাঁ তা যায়, তবে এখনো অনেক নির্মাতা আছেন যারা সিনেমাতে বাস্তবতা রাখতে চান অনেক, মিশন ইম্পসিবল সিরিজ চাইলে গ্রীন বা ব্লু স্ক্রীনে শ্যুট করা যেত, তা না করে সব রিয়েল শটই দেয়া হয়েছে।
আবার অনেকেই এখন প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে। প্লাস্টিকের এয়ারসফট এ পেইন্টিং করে প্রপ্স গানকে রিয়েলিস্টিক করা হয়। এরপর ভিজুয়্যাল ইফেক্ট দিয়ে মাজল ফ্লেয়ার, খোসা ছিটকে যাওয়ার মত এফেক্ট গুলো দেখানো হয়। এক্ষেত্রে এ্যাডোবি আফটার ইফেক্ট এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
ব্লাস্ট এর ক্ষেত্রে ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরক বাদ দিয়ে কম মাত্রার বিস্ফোরন ঘটাতে সক্ষম এধরণের বিস্ফোরক তৈরী করা হয়। যার জন্য একজন নির্মাতা লাইসেন্স করা একজন সাবজেক্ট-ম্যাটার এক্সপার্ট বা তার দলকে ভাড়া করেন।
একই কাজ আজকাল ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়েই করা যায়।
রক্ত ছিটকে বের হওয়া বা ফিনকি দিয়ে বের হয়ে আসাকে "ব্লাড স্কুইব"। মূলত হাইড্রোলিক প্রেশার অথবা ইলেক্ট্রিক সুইচিং এর মাধ্যমে ব্লাড স্কুইব এর দৃশ্য ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে অনেক সময় প্রস্থেটিক মেকআপের প্রয়োজন হতে পারে। অনেকেই আধুনিক প্রযুক্তির ভিজুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করেন।
dilipkumar publisher