Answered 2 years ago
প্রশ্নের ওই ঝামেলা কথাটির জন্য আমি এই উত্তরটি লিখতে আগ্রহী হয়েছি। অন্য একটি দেশে যেতে গেলে কম বেশি ঝামেলা হবেই। আমাদের জনগন একেবারেই ঝামেলা নিতে চায় না। জ্যামে পড়ে, দশ মিনিটের পথ দুই ঘন্টায় যাবে। দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুত বিল দিবে। সরকারি তহবিল থেকে নিজের টাকা পেতে ছয় মাস বিভিন্ন টেবিলে ঘুরবে। চাকরীর ইন্টারভিউতে পাশ করলেও চাচা-মামা দিয়ে ফোন করাতে হবে। পথে ছিনতাইকারী থাকতে পারে, এমন আশঙ্কা করে অনেক দূর পথে যেতে হবে। আমাদের দেশের জনগন এগুলো সবই করতে পারে। কিন্তু - বিদেশে যাবার জন্য একেবারেই ঝামেলা করতে চায় না। তারা চায়, টাকা দিবে, আর সুরসুর করে বিদেশে চলে যাবে।
ঝামেলা ছাড়া, নাগরিকত্ব পাবারসবচেয়ে সহজ উপায় হলো সেই দেশের কোন নাগরিককে বিয়ে করা। আরেকটা উপায় আছে, সেটা হলো - বিনিয়োগ। মনে রাখবেন, সকল ক্ষেত্রই, প্রথমে স্থায়ী ভিসা পাওয়া যায়, কয়েক বছর পরে নাগরিকত্ব হয়।
আপনার কাছে যদি বিনিয়োগ করার মতন যথেষ্ট টাকা থাকে, তাহলে আপনি বিশ্বের প্রায় সকল উন্নত দেশেই স্থায়ী বাসিন্দা, ও পরে নাগরিক হতে পারেন। সেজন্য আপনার ৫ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ ডলার প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন দেশে বিনিয়গের পরিমান ভিন্ন হয়। ভয় নেই, টাকাটা কাউকে দিতে হবে না। সেই দেশে নিজের ব্যাংক একাউন্টে টাকা রাখলেই, সেটা বিনিয়োগ হিসাবে গন্য হবে।
এমন ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থায়ী ভিসা ও পরে নাগরিকত্ব খুবই সহজ। সহজ হলেও, এর জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাছাড়া, প্রথমে স্থায়ী ভিসা এবং পরে নাগরিকত্ব, এভাবে কয়েক বছর সময় লাগে। এভাবে, বিভিন্ন নিয়ম কানুনের জন্য, সামান্য ঝামেলা করা লাগে।
যারা এটুকু ঝামেলাও করতে চান না, যারা টাকা দিয়েই নাগরিকত্ব কিনতে চান, তাদের জন্যও ব্যাবস্থা আছে।
ডোমিনিকা নামক দেশটিতে টাকা খরচ করেই, ঝামেলা ছাড়া নাগরিকত্ব নেওয়া যায়। সরাসরি নাগরিকত্ব হবে। এমনকি সেই দেশে যাবার আগেই নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। এটাও এক ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব। ডোমিনিকাতে আবাসন প্রকল্পে ২ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে অথবা সরকারি তহবিলে মাত্র ১ লক্ষ ডলার অনুদান দিতে হবে। তাহলে ডোমিনিকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। একেবারে সাথে সাথে পাসপোর্ট।
ডোমিনিকা দেশটি আমেরিকা মহাদেশের একটি দ্বীপ রাস্ট্র। মনে রাখবেন, ওটা, শ্রমিকের কাজ করে লক্ষ টাকা আয় করার দেশ নয়। ধনীরা ওই দেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবসা করে। মধ্যবিত্তরা ওই দেশের পাসপোর্ট নিয়ে, অন্য কোন উন্নত দেশে যায়। ডোমিনিকার পাসপোর্ট খুব শক্তিশালী। ইউরোপের সকল দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়।
tonmoyshek publisher