Answered 3 years ago
বাকিরা অনেকেই সুন্দর সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। তার সাথে আমি একটি অন্য দিক তুলে ধরতে চাই।
ধরেন বাসে করে যাচ্ছেন। একটা সুশ্রী মহিলা উঠলেন। যেমন তার মুখশ্রী তেমনি গায়ের রং উচ্ছতাও বেশ মানানসই তার চেহারা সাথে। সে যদি অন্য কোথাও না বসে আপনার পাশে এসে বসেন আপনার দিল খুশ হয়ে যাবে। কেন? সে কি আপনাকে বিয়ে করবে? নাকি সে কোনো বিশেষ ব্যাক্তি? তাও আপনি খুশি হবেন।
এবার ধরুন তার ফোন এলো। আপনি শুনলেন যে সে অনবরত মিথ্যে কথা বলছে। কিংবা খুব বোকার মতন কথা বলছে বা সাধারণ বুদ্ধি নেই। কিংবা বাসের কন্ডাক্টর সাথে বা কোনো সহ-আরোহী সাথে অকারণে দুর্ব্যবহার করলেন। কিংবা কোনো ভাবে বুঝলেন যে সে কোনো দুষ্কর্মের সাথে যুক্ত। তখন কিন্তু তার রূপের ঝলক ভুলে আপনি তার থেকে দূরে দূরে থাকতেই পছন্দ করবেন।
কি দাঁড়ালো? যে কারুর রূপ দেখে বিচার করা সহজ, প্রথম দর্শনেই সেটা পাবেন। কিন্তু তার চরিত্র বিচার করতে গেলে অনেকটা তাকে চিনতে হবে, জানতে হবে, বুঝতে হবে।
রূপ নিয়েও যেমন মাতামাতি ঠিক না, তেমনি বুদ্ধি বা সাফল্য নিয়েও মাতামাতি ঠিক না। রূপ যেমন ভগবান প্রদত্ত তেমনি বুদ্ধিও ভগবান প্রদত্ত। বুদ্ধির অপচয় করলে বা সেটা মানুষের অনিষ্ঠা সাধনে ব্যবহার করলে তাকে নিয়ে মাতামাতি করার কারণ নেই। সাফল্যও সবার কাছে ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকে না। আর্থ সামাজিক বাঁধার কারণে অনেকের বুদ্ধি বা রূপ থাকলেও সেটিকে ব্যবহার করে সাফল্যে পৌঁছানোর উপায় থাকে না।
কর্মক্ষমতার দুটি দিক আছে - এক, যারা বুদ্ধির জোরে কম সময় অনেক কাজ করতে পারেন। দুই, যারা সাধারণ হয়েও অনেক খেটে সেই কাজ করেন। দুটোই প্রশংসাযোগ্য, এবং সেটা সেই কাজের ফলের উপর নির্ভর করে।
talhatolib publisher