রেললাইন ক্রস করার সময় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার কারণ!

1 Answers   2 K

Answered 3 years ago

ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। আমরা সেসব একটু পরেই লিখবো। তবে এই ব্যাপারে একটা মিথ অনলাইনে ভাইরাল আছে এবং আজকে আমাদের গ্রুপেও একজন প্রশ্ন করেছিলেন।

মিথটা হচ্ছে :

"রেল লাইনে যখন ট্রেন চলে তখন লাইনে কম্পন সৃষ্টি হয়। ট্রেন থেকে দূরত্ব যত বৃদ্ধি পায়, কম্পন তত কম হয় এবং কাছাকাছি দূরত্বে কম্পন বেশি থাকে। রেল লাইনের এই ভাইব্রেশনের কারণে রেললাইনে থাকা ইলেকট্রিক চার্জও ভাইব্রেট হয় এবং মুভ করে। চার্জ মুভ করা মানে সেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী হওয়া। যত দ্রুত মুভ করবে চৌম্বকক্ষেত্র তত তীব্র হবে।

রেল লাইন ক্রস করার সময় যখন ট্রেন গাড়ির কাছাকাছি চলে আসে তখন ভাইব্রেশন থেকে উৎপন্ন সেই চৌম্বকক্ষেত্র গাড়িকে মুভ করতে দেয় না।"

আজব কথাবার্তা এসব। কেননা গাড়ি অচল করে দিবে এরকম শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র ট্রেন থেকে আদৌ তৈরী হওয়া সম্ভব না, এজন্য দরকার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক বোম্ব ব্লাস্ট। ট্রেন থেকে যদি ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী হয়ও তা একটি কম্পাসকেও নাড়াতে পারবে না। আবার ম্যাগনেটিক ফিল্ডের বিস্তৃতিও বেশ কম। তাছাড়া গাড়ি এমনভাবে তৈরী করা হয় যাতে ম্যাগনেটিক ফিল্ড প্রতিরোধ করতে পারে।

তাহলে আসল রহস্য কী?

আসল রহস্য হচ্ছে :

১. রেললাইন ক্রস করার সময় গাড়ি আস্তে চালাতে হয় এবং ক্রসিংয়ের জায়গাটা অসমান ঘাকে। অনেক দুর্বল ইঞ্জিনই অসমান পথে ধীরে চললে বন্ধ হয়ে যায়।

২. ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রধানত পর্যাপ্ত জ্বালানি বা বাতাসের চাপের অভাব দায়ী। একটি ইঞ্জিনের কার্যকারিতা নির্ভর করে প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও বাতাসের চাপের সঠিক সরবরাহের উপর। জ্বালানির দহন ঠিকঠাক হওয়ার জন্য সময়ের সাথে সাথে যথেষ্ট বাতাসের চাপও বজায় থাকা দরকার। অন্যথায় ইঞ্জিনের গতিশীলতা কমে যাবে৷

যখন গাড়ির চাকার গতি কমানো হয়, ট্রান্সমিশনও স্লো হয়ে আসে। এই অবস্থায় ট্রান্সমিশন চেঞ্জ করা না হলে, অর্থাৎ গিয়ার শিফট না করলে দহন কমতে থাকে। গাড়ি পর্যাপ্ত টর্ক পায় না। এবং গতি দ্রুত কমে গিয়ে ইঞ্জিন থেমে যায়।

৩. হিতাহিতজ্ঞান হারিয়ে ফেলে নিজেই ড্রাইভার নিজেই বন্ধ করে ফেলতে পারে।


Rohan Ahmed
rohanahmed
524 Points

Popular Questions