Answered 3 years ago
গোরা (রবীন্দ্রনাথ)— হঠাৎ করে যেসব তরুণ ধর্মের দিকে ঝুঁকে এবং ধর্মের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব খুঁজে তাদের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। বর্তমান সময়ের তারুণ্যের জন্য বিশেষভাবে সাজেসটেড।
চতুরঙ্গ (রবীন্দ্রনাথ) — আস্তিকতা নাস্তিকতার দ্বন্দ্বে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধিকে পাশ কাটিয়ে যারা নিজেদের চিন্তা ও দর্শনের গন্ডি সীমাবদ্ধ করে ফেলেন ও একই সাথে জীবনসংক্রান্ত নানান সূক্ষ্ম উপলব্ধিকে (মানব মানবীর শাশ্বত প্রেম, প্রাণ প্রকৃতি শিল্পের প্রতি অবজ্ঞা প্রভৃতি) অবমূল্যায়ন করে অবশেষে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন তাদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।
শেষের কবিতা (রবীন্দ্রনাথ) — প্রেম ! একটি শব্দ কিন্তু অনেক কিছুর প্রকাশ। ব্যক্ত অব্যক্ত শত অনুভূতির অভিক্ষেপ। রবীন্দ্রনাথ সম্ভবতঃ নায়িকা লাবণ্য'র মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রেমিকা তথা মানবী'র ছবি এঁকেছেন।
সমগ্র প্রবন্ধ- (জীবনানন্দ) —আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ সংগ্রহ। কবির দৃষ্টিতে তৎকালীন বাংলা ও উপমহাদেশের নানান ঘটনাবলি, কবির ব্যক্তিগত দর্শন, জীবনসংগ্রাম প্রভৃতি উঠে এসেছে।
রূপসী বাংলা (জীবনানন্দ) — প্রকৃতি ও নির্জনতার সৌন্দর্য উপজীব্য করে লেখা আমার পড়া সেরা কবিতাসমূহ। জীবনানন্দকে কেনো প্রকৃতির কবি বা নির্জনতার কবি বলা হয় সেটাও বুঝা যায় কবিতাগুলো পড়লে।
পূর্ব পশ্চিম (সুনীল)— দেশভাগ নিয়ে লেখা সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনা।
জোছনা ও জননীর গল্প (হুমায়ুন আহমেদ)— মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস৷ মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা ও চরিত্র বর্ণনায় সবচেয়ে সফল উপন্যাসও।
ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ ( হুমায়ুন আজাদ) — আধুনিক সময়ের নারী পুরুষের ব্যাক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, বোঝাপড়ার অভাব, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, একে অন্যের প্রতি প্রত্যাশা ও অপ্রাপ্তি প্রভৃতি বিষয়গুলো ফুটে উঠেছে। সম্ভবত বাংলাদেশি কোনো লেখকের লেখা শ্রেষ্ঠ আধুনিক উপন্যাস।
আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম (হুমায়ুন আজাদ)—স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনা দুর্ঘটনাবলির নিরপেক্ষ ও নির্মোহ চিত্রায়ণ। সম্ভবত বাংলাদেশি কোনো লেখকের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ হিসেবে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের (নিরপেক্ষতা, ফ্যাক্ট বেইজড) লেখা।
স্বর্গের কাছাকাছি (মৈত্রেয়ী দেবী) — রবীন্দ্রনাথের সরাসরি সান্নিধ্য পাওয়া মৈত্রেয়ী তাঁর নিজস্ব (মানবী)'র দৃষ্টিকোণ থেকে রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন করেছেন।
riponmollah publisher