মেয়েরা এত অহংকার করে কেন

1 Answers   9.5 K

Answered 2 years ago

মেয়েরা জানে ছেলেরা ধৈর্য্যহীন, কামতাড়িত। তাই ছেলেরা কামাসক্ত হয়ে যাতে কষ্ট না পায় সেহেতু মেয়েরা ছেলেদের এড়িয়ে চলে।

মেয়েদের অহংকার না করে উপায় নেই । কামুক ছেলেরা যেভাবে সহজলভ্য মেয়েরা যদি একটি মিষ্টি স্বরে কথা বলে তবে তাহারা মেয়েদের উপর শুয়ে পড়বে। তাছাড়া অধিকাংশ ছেলেরা মানসিকভাবে এতটাই দুর্বল যে একটু পাত্তা পেলেই গভীর প্রেমে পড়ে যায়। এবং পরবর্তীতে প্রত্যখ্যান হলে ঐ ছেলেরা এতোই মানসিক ভঙ্গুর যে এসিড ছুড়ে মারা ব্যতীত বিকল্প কিছু বের করতে পারে না।

ছেলেদের এরকম ভঙ্গুর মানসিকতার চিত্র ফুটে উঠেছে পবিত্র কুরআনে:

    তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, তাহলে যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে সে প্রলুব্ধ হয় ( কুরআন: ৩৩:৩২)

মেয়েরা ছেলেদের সাথে অনিচ্ছুক ও লাজুক আচরন করে। মেয়েরা জানে ছেলেরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

সেক্স পিতৃত্বকে অন্ধ করলেও মাতৃত্বকে অন্ধ করতে পারে না। জলহস্তী পুরুষ কেবল সেক্স বুঝে। কিন্তু পিতৃত্ব বলে কিছু নেই। তাই পূত্র সন্তান হওয়া মাত্রই হত্যা করে। ফলে ছেলেরা কখনো মেয়েদের মতো মানবিক হতে পারে না।

মেয়েরা যৌন বঞ্চিত হলে সন্তানের ভালোর জন্যে যৌনতা বিসর্জন দিতে জানে। আর ছেলেরা জীবন বিসর্জন দিবে তবু যৌন বঞ্চিত হতে চাইবে না। যেমন ইসলামি মুজাহিদ ISS যুদ্ধবন্দিনী নারীর লোভে নিজেদের জীবন বিপর্যস্ত করে। সেক্স মেয়েদের অন্ধ করতে পারে না।তাই তো মেয়েরা মা হতে পারে। ছেলেরা যেকোন মূল্যে যৌনতা পূরনে উদগ্রীব।

হয় ছেলেদের পতিতালয় লাগবে নয়তো বহুবিবাহ (বহু স্থায়ী বৈধ পতিতা) লাগবে। কারন প্রাণীজগতে ছেলেদের পিতৃত্ব বিকশিত নয়। সে কেবল জানে কিভাবে সেক্স করে মজা নিবে। এবং তার জিনের বিস্তার ঘটাবে। বহুবিবাহ সন্তানের ভবিষ্যতের জন্যে ভালো নয়। কিন্তু ছেলেরা এটা বুঝবে না। আসলে সবই বায়োলজিকাল। যারা পশু পালন করে তারা জানেন বেশিরভাগ প্রাণীর ক্ষেত্রে পিতৃত্ব মাতৃত্বের মতো বিকশিত নয়। খরগোশের বাচ্চা প্রসব হলে বাবা খরগোশকে উক্ত খাঁচা থেকে সরিয়ে ফেলতে হয়। কুকুর থেকে শুরু করে বহু প্রানীর ক্ষেত্রেই এভাবে সরিয়ে ফেলতে হয়। আর জলহস্তির বাবা তো পূত্র সন্তান প্রসব মাত্রই হত্যা করে। সুতরাং জলহস্তী পুরুষ কেবল সেক্স বুঝে কিন্তু পিতৃত্ব বলে কিছু নেই।

আবার নিজেদের স্ত্রীদের সতীত্ব রক্ষায় ছেলেরা তৎপর। কেননা ছেলেদের জিনগত জেলাসি আছে। ছেলেরা চায় না মৃত্যুর পরও তার স্ত্রীকে কেহ স্পর্শ করুক।পুরুষের এ ধরনের সেক্সুয়াল জেলাসি/যৌন ঈর্ষা বহু প্রাচীন বহু ধর্মগ্রন্থেই অহরহ পাওয়া যায়। আরবিতে এ ধরনের যৌন ঈর্ষাকে গাইরাত বলে। গাইরাত মানে আত্মসম্মানবোধ। যা ধর্মে প্রশংসিত হয়েছে। গাইরাতের অনুপস্থিতি হলো দাইয়্যুস। দাইয়্যূত ব্যক্তি জাহান্নামী।

ধন্যবাদ

Dr. Runa Rahaman
dr.runarahaman
175 Points

Popular Questions