Answered 2 years ago
কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজের চটজলদি নাটকীয় পরিবর্তন হওয়াকে বলা হয় ‘মুড সুইং’/ মুড সুইং হল মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন।
লিন্ডা সমদ্দার বলেন, “হরমোনের প্রভাব, পুষ্টিহীনতা, লৌহ, ভিটামিন ও খনিজের অভাব মেজাজের দ্রুত ওঠা-নামার জন্য দায়ী। “নারীদের পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে প্রচুর আয়রনের ক্ষয় হয়। পরে তা পূরণ না করায় ধীরে ধীরে 'মুড সুইং'য়ের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়।” 'মুড সুইং' নারী পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকে।
‘মুড সুইং’ ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য স্বাভাবিক হলেও নারীরা জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কারণে ‘মুড সুইং’ অনুভব করে থাকেন।
‘মুড সুইং’ অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে যা পিরিয়ড শেষ হওয়ার দুএকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তবে, কিছু সংখ্যক নারী গুরুতর ভাবে এই সমস্যার মুখোমুখি হয় যা অনেক ক্ষেত্রে তাদের মানসিক স্বস্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট করে। অনেকে এর ফলে মারাত্মক হতাশা, সব সময় মেজাজ খিটমিট করা, রাগারাগি করার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন।
(তখন মেয়েদের খিটখিটে মেজাজে রাগান্বিত না হয়ে যত্নশীল হওয়া, তাদের বকাঝকাগুলো মন দিয়ে শোনা,তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া, সাহস দেখানো-অভয় দেয়া।)
পিরিয়ডের আগে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ও ‘মুড সুইং’য়ের ওপর প্রভাব রাখে।
#মানসিক চাপ; মানসিক চাপ শরীর ও মনের ওপর প্রভাব ফেলে। ফলে পরিবর্তন আসে আচরণে। হতাশা, দ্বিধা, এমন কি নিয়মিত চাপও ‘মুড সুইং’য়ের জন্য দায়ী।
#খাদ্যাভ্যাস; অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি কর খাবারের অভাব, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তাই এই সময়ে পুষ্টিকর, আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জরুরি।
#বিশ্রাম; স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাইলে কাজের পাশাপাশি অবশ্যই বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। কঠোর পরিশ্রম ও বিশ্রামের অভাব মন মেজাজের ওপর স্থায়ীভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিষয়টাকে অস্বাভাবিক-ভাবে না দেখে বরং এই সময়ে পছন্দের কাজ করে, নিজের যত্ন নিয়ে, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, বিশ্রাম, ধ্যান, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে ‘মুড সুইং’ সমস্যার সমাধান করা অতীব-জরুরি।
‘মুড সুইং’ সম্পূর্ণই হরমোনের ওপর নির্ভর করে। হরমনের ওঠা নামার কারণেই মানুষের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়, যার প্রকাশ ঘটে আবেগে।
আসলে ভালোবাসার বিহনে মানুষ যখন একাকীত্ব ভোগে, যত্নের অভাববোধ অনুভব করে, মানুষ যখন চাপের মধ্য থাকে, মানসিক অবস্থা যখন অযত্নে রয়, হৃদয়ের ভাষা যখন নিরাশ্রয়। তখন স্বাভাবিকভাবে মন-মেজাজ এমনিতেই বিগড়ে যায়।
taskinahmed publisher