ভারত কীভাবে বাংলাদেশে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে? কে তাদের এজেন্ট?

1 Answers   3.1 K

Answered 2 years ago

ভারত বাংলাদেশ থেকে তার বানিজ্যিক স্বার্থ চায় এবং সেভেন সিস্টারের নিরাপত্তা চায়।ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সেভেন সিস্টারের নিরাপত্তা।এই দুইটি বিষয় বাংলাদেশে ভারতের প্রথম এজেন্ডা। কিন্তু তাদের এজেন্ডা আমাদের সরকার বাস্তবায়ন করে কথাটা ভুল।এগুলো তাদের কূটনৈতিক দাবী।বাংলাদেশের সরকার সেগুলো অনেক সময় মেনে নেয় অনেক সময় নেয় না।যেমন ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বাহিনীর সঙ্গে শান্তি চুক্তির সময় প্রথমে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র সাহায্য করে নি।সেজন্য তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে অনুরোধ করলে জ্যোতি বসু চাপ প্রয়োগ করেন যার ফলে র সন্তু লারমাদের নেগশিয়েশনে টেবিলে নিয়ে আসে এবং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়। এখন কি বলা উচিত জ্যোতি বসু বাংলাদেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছেন! এগুলো কূটনীতিতে স্বাভাবিক বিষয়।আমরা অনেক ক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীল।আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর হল কিন্তু আজও আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাল না।ধনীরা সিঙ্গাপুর যায়, মধ্যবিত্তরা ভারত এবং গরিবরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের মেঝেতে।আমরা যখন সাপ্লাইলাইন সহ বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল হবে তখন স্বাভাবিকভাবে ভারত আমাদের উপর ছড়ি ঘুরাবে।বাংলাদেশে যেকোন সরকার আসলে সে দিল্লির অনুগ্রহ আশা করবে। সোজাকথা আমরা প্রথমে আত্মসমালোচনা করি না।নিজেদের নেংটি ঠিক নেই সেটা মানতে রাজি না।না আমাদের ভাল আমলাতন্ত্র আছে তা স্বাস্থ্যব্যবস্থা।বিএসটিআই, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কোন একটি সংস্থা ঠিকঠাক কাজ করে না।আমাদের দেশে ধানের দাম ও চালের দামের মধ্যে ফারাক বিস্তার।কারন মধ্যসত্বভোগীরা দালালী করে।এজন্য তৃণমূলে চাষীরা চাষাবাদ ত্যাগ করছে।আমাদের কৃষকরা যদি উৎপাদন না করে তাহলে আমরা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আরও ভারতের উপর নির্ভরশীল হবে। ভারত আমাদের পেঁয়াজ দেয় না এটা নিয়ে আমরা মিছিল মিটিং করে শেষ।এর মত হাস্যকর কিছু হতে পারে না।একটি দেশ সে তার পন্য বিক্রি বন্ধ করতেই পারে।কেউ যদি তার মাল না বিক্রি করে তাকে কি আমরা জোর করতে পারি! উপায় একটাই আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন করা।এর জন্য ৫-১০ বছরের পরিকল্পনা করা। আমাদের মূল সমস্যা অভ্যন্তরীন।আমরা যতটা সময় ভারতের সমালোচনা করে কাটাই তারা সিকিভাগ নিজেদের আত্মসমালোচনা করতাম তাহলে এই দেশ সোনার বাংলা হত। আর শুনুন কারা ভারতীয় এজেন্ট।তারাই ভারতীয় এজেন্ট যারা দিনে ২৪ ঘন্টা নিজের ব্রেইনের ১০০% ভারতের সমালোচনা করে কাটায় কিন্তু নিজের দেশের সমালোচনা করে না, নিজের কাজের সমালোচনা করে না।আমরা ভারতীয় মুসলমানদের অধিকার নিয়ে সচেতন।আবার আমরাই ভারতের ধ্বংস চাই।আরে ভাই ভারত যদি তাদের মুসলমানদের যত্নে রাখে তাহলে আরও এপিজে কালামকে দেখতে পাবেন, আর ভারত যদি তাদের মুসলমানদের নির্যাতন করে তারা পাকিস্তানের জঙ্গিদের সহায়তা করা শুরু করবে।আপনি যদি ভারতের ধ্বংস কামনা করেন তাহলে দোয়া করেন মোদি যেন আরও দশ বছর থাকে।মনিপুরে কুকি ও মেইতেই এর সংঘর্ষে আমাদের লাভ।এতে ভারত সরকার থেকে আমাদের এখানের কুকি চিন জঙ্গিরা কোন সাহায্য পাবে না।কারন সেই অস্ত্র কুকিরা মেইতেই ও ভারতীয় ফোর্সদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের সমস্যা হল আমাদের মানুষ কনফিউশানে ভোগা জাতি।চায় দিল্লির শোষন থেকে মুক্ত হতে কিন্তু এমন কাজ করে যা আমাদের আরও দিল্লির শৃঙ্খল এর জড়াতে সাহায্য করে।বাংলাদেশের হিন্দুরা ও মুরগী কবিররা র এর এজেন্ট নয়।র ভোদাই না এদের পেছনে টাকা খরচ করবে।র এর এজেন্টরা জামাত, হেফাজত, বিএনপির ভিতর বসে আছে।র এর কাজ হল ভারতের শত্রু শিবির থেকে গোপন তথ্য আনা বন্ধু শিবির নয়।আওয়ামী লীগের ভেতরের খুঁজ খবর ত ভারতীয় কূটনীতিকরা এমনেতেই পাবে।তাহলে গোয়েন্দারা কি মুড়ি খাবে! তাদের কাজ হলে মোসাদ নূরাদের নিজেদের দলে ভিড়ানো।আমাদের দেশের যেসকল রাজনৈতিকরা প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরই র টার্গেট করে।কারন আমাদের দেশের যেকোন লোককে টাকা দিয়ে কিনা সম্ভব।যে বেশ্যা পাকিস্তানের ভাড়া খাটতে পারে, আমেরিকার ভাড়া খাটতে পারে, সে বেশ্যার ভারতের ভাড়া খাটতে সমস্যা কোথায়!সোজা হিসাব! বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক দেশের ভাল চায় যে এধরণের কথাবার্তা বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়নের কথা বলবে।আমরা যখন স্বনির্ভর হব তখন অন্য দেশ আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
Rani
rani
369 Points

Popular Questions