ভারতের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের এতো ক্ষোভ কেন? ভারতের মত বৃহৎ শক্তিধর দেশের সাথে শত্রুতা করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ফলাফল কী হতে পারে?
0
0
1 Answers
3 K
0
Answered
2 years ago
বাংলাদেশের মানুষের ভারতের উপর যতই ক্ষোভ থাক না কেন বাংলাদেশের মানুষ কি ভারতীয় চিকিৎসা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বয়কট করবে? সেটা ত করবে না।তাহলে এই ক্ষোভ দিয়ে কি হবে।আপনার ক্ষোভ যদি একশনে পরিনত না হয় তাহলে সেই ক্ষোভ দিয়ে কি লাভ! আপনি দিনরাত ভারতকে গালি দিয়ে লেজ নাড়াতে নাড়াতে ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য হাজির হচ্ছেন, তাহলে প্রমানিত হল আপনি বেহায়া।
ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভকে কিভাবে কাজ লাগাতে পরি আমরা সেটা নিয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে!
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ভারতের প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত হতে চায় কিন্তু তারা বোঝে না ঠিক কি করতে হবে।প্রথমেই বাংলাদেশকে সাম্যতা ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করেছে হবে।যেখানে প্রতিটি নাগরিকের সমান সুযোগ থাকবে।আইনের উপরে যেন কেউ না থাকে।সংবিধানের আসন হবে সবার উপরে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের যুক্তি হল সংবিধান ত কোরানের আয়াত না এটা পরিবর্তন করলে সমস্যা কি! এখানেই আমাদের বড় সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে।এক সরকার যদি নিজের স্বার্থে সংবিধান পরবর্তন করে পরের সরকার একই কাজ করবে।
বাংলাদেশের সকল শ্রেণির মানুষ স্পেশাল ট্রিটমেন্ট চায়।যেমন আলেমরা চায় তারা যেন সকল আইন কানুনের উপরে থাকে, আমলারা কোরাম গঠন করে থাকে, রাজনৈতিকরা বেগমপাড়ায় সবকিছুর ব্যাকআপ রাখে।এসব পরিবর্তন করতে হবে।
আমরা সাপ্লাই লাইনের উপর ভারত ও চিনের উপর নির্ভরশীল।সেটা হ্রাস করতে হবে।ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যদি যুদ্ধাবস্থা কখনো হয় ভারত বাংলাদেশকে সরকারি হামলা করবে না।ভারতের একটাই উপায় আছে বঙ্গোপসাগর ব্লক করে দেওয়া।তখন ভারতের দেওয়া নেভাল ব্লকেডের ফলে বাংলাদেশের সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে যাবে।তখন সাপ্লাই লাইন পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশের সময়ের প্রয়োজন হবে।তাই বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।
ভারতের এই উপমহাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব থাকার বড় কারন খাদ্য নিরাপত্তায় তাদের অবদান।তারা খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখছে বলেই ভারত একটি আঞ্চলিক শক্তি।অন্যদিকে আমেরিকা অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করায় সুপারপাওয়ার।
বাংলাদেশে কৃষি জমি ধ্বংস করে ও বন ধ্বংস করে কলকারখানা তৈরি করা হচ্ছে।এতে মানুষের কর্ম সংস্থান হয় অর্থনীতির উন্নয়ন হয় ঠিক কিন্তু ফসল উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা পূজিবাদের উন্মাদনায় সরলরৈখিক খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়া কিছুই ভাবে না।কিন্তু বাংলাদেশের মধ্যসত্বভোগী মানে দালালদের উৎপাত কমালে কৃষকরা পর্যাপ্ত পরিমাণ ফসল নিজেরাই উৎপাদন করতে পারবে।
বাংলাদেশের যারা কৌশলগত চিন্তাবিদ তারা এখনো মনে করে বিজেপি আরএসএস অখণ্ড ভারতের জন্য বাংলাদেশ হামলা করতে পারে আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চিকেন নেক দখল করে ভারতীয় আর্মিকে নেগশিয়েশন টেবিলে বসাবে।বিজেপি আরএসএস গো-মূ-ত্র-খোর মূ-র্খ হতে পারে কিন্তু ভারতীয় আমলাতন্ত্রের মানুষরা মূর্খ না ২০ কোটির মুসলমান দেশকে দখল করতে চাইবে।তারা চাইবে যেন বাংলাদেশকে দিল্লিতে বসে নিয়ন্ত্রন করা যায়।আর এই সুযোগ আমরা নিজেরাই তৈরি করে দিচ্ছি।
প্রথমত, আমাদের জনগণ সুশিক্ষিত নয়।ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও হিন্দুদের প্রতি অহেতুক ঘৃণা বাংলাদেশের মুসলমানদের মজ্জাগত স্বভাব।এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একটি জাতির সম্ভাবনাকে হ্রাস করে দেয়।আমাদের দেশে ছোট বাচ্চাদের অন্য ধর্ম মতপথের মানুষকে সম্মান করতে শেখানো হয় না।তারা মনে করে ইহুদি বা খ্রীস্টানরা ভয়াবহ দানব।এই ধরনের অবুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা আমাদের জাতীয় সম্ভাবনাকে হ্রাস করছে।আমাদের মাওলানা তারেক মনোয়ার বলেছেন তিনি তিনবারের অক্সফোর্ড সেরা শিক্ষক হয়েছেন।তিনি ইংলিশ প্রমিয়ার লিগে খেলেছেন।এত বড় মিথ্যে বলার পরেও মানুষ তার ওয়াজ শুনতে যখন যায় তখন বুঝতে হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সঠিক নয়।নইলে একজন ইসলামি আলেম কেন মিথ্যে বলবে।আর আমরা তার ওয়াজ শুনতে যাব।
আমাদের শুরু করতে হবে একটি সাম্য সমাজ দিয়ে এবং লক্ষ্য থাকবে হবে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্র তৈরির।তখন ভারত কেন ভারতের জামাই মানে মাদার অব ডেমক্রেসির ভাতার ফাদার অব ডেমক্রেসি আমেরিকা আমাদের কিছু করতে পারবে না।কিন্তু যদি অনলাইনে ভারতের বিরোধিতা করে দিনশেষে লেজ নাড়তে নাড়তে ভারতীয় দূতাবাসে ভিসার জন্য যান তাহলে কিছু বলার নাই।
ritukhatun publisher