ভাই হরমোনের উপর একটা ডিটেইলস ভিডিও বা আর্টিকেল লিখেন সবার অনেক উপকার হবে। আপনার এই বিষয় বাস্তবিক জ্ঞান আছে মনে হচ্ছে?

1 Answers   3.8 K

Answered 2 years ago

উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আসলে আমি নিজে ডক্টর না। আর ছোটবেলা খুবই রোগা পাতলা ছিলাম তাই অনেক ইন্সিকিউরিটি কাজ করত আর সুন্দর ভাবে বেচে থাকার জন্য সুসাস্থের অধিকারী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সাস্থ মুলত মেটাবলিজম বা বিপাকীয় প্রক্রিয়া দ্বারা পরিচালিত।

এইটা দুইভাবে হতে পারে। ১. এনাবলিজম।২. কেটাবলিজম।

এনাবলিজম এর কারনে মাংসপেশি গঠন হয় আর কেটাবলিজম দ্বারা সেটা আবার খরচ হয়ে শরীরে ব্যবহার হয়ে যেতে পারে।

অনেকে জিম করে বডি বানানোর চেষ্টা করেন। ভারউত্তলন এর ফলে myostatin এর পরিমান এবং কার্যকারিতা কমে। প্রোটিন সিন্থেসিস বা মাংস গঠন প্রক্রিয়া কে থামিয়ে রাখার মেকানিজম হলো myostatin.

Belgian blue নাম লিখে গুগল এ সার্চ দিন। দেখুন মায়োস্টাটিন না থাকার কারনে এইধরনের গরুর শরীর কি রকম পেশিবহুল।

জিম করে বা ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট এর মাধ্যমে এই মায়োস্টাটিন অনেকাংশে কমানো যায়। lucine নামক ব্রাঞ্চ চেইন্ড আমিনো এসিড এর মাধ্যমেও প্রোটিন সিন্থেসিস ত্বরান্বিত করা যায়, যার কারনে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করে অনেকে।

এখন এই প্রোটিন সিন্থেসিস, শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধির খুবই কার্যকরী উপায় হলো এনাবলিক এন্ড্রোজেনিক স্টেরয়েডস।

আপনারা দেখে থাকবেন হলিউড, বলিউড এর নায়করা বুড়া বয়েসে রাতারাতি অনেক সুন্দর বডি বানিয়ে ফেলে। এইসব আসলে সবই স্টেরয়েডের কারসাজি।

এই দেখে আপনারা অনেকে হয়ত জান দিতেসেন জিম এ কিন্তু কিছু হচ্ছেনা রেজাল্ট।

কারন একজন সুস্থ পুরুষ গড়ে ৪০-৭০ মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন তৈরি করতে পারে সপ্তাহে। আর স্টেরয়েড নিলে সেটা হবে সপ্তাহে ২৫০-৭৫০ মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন। বুঝতেই পারছেন এটা নেচারালি কোনো ভাবেই সম্ভব না।

এতে করে আপনার শরীর প্রোটিন সিন্থেসিস অভারড্রাইভ এ থাকবে সব সময়।

জিম করে, ঠিক মত ডায়েট করে কয়েক বছরে যে বডি বানাবেন আপনি, কয়েক মাস শুয়ে বসে এর চেয়ে সুন্দর বডি হয়ে যাবে হরমোন ব্যবহার করলে।

যা হোক, টেস্টোস্টেরন হচ্ছে নেচারালি তৈরি হওয়া হরমোন এইটার আরো সিন্থেটিক ভার্সন হয় যেমন ১৯ নর (নান্ড্রোলন,ট্রেনবলন) কিংবা dht derivatives.

বাংলাদেশ এ পাওয়া যায় testanon 250 ( 250 gram injection), deca durabolin যা বানায় নুভিস্টা ফার্মা। ফার্মাসিতে ই পাবেন।

তবে পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে সব স্টেরয়েডের ই। তারপরও এমেচার লেভেল এ যে ডোজ ব্যবহার করা হয় তা প্রোফেশনাল দের তুলনায় কিছুই না।

জিম এ মাস/ বছর নষ্ট করেও যাদের কিছু হচ্ছে না বা অনেকে ডেস্পারেট হয়ে ভেটেরিনারি অষুধ খেয়ে মোটা হতে চায় তাদের উচিত বুঝে শোনে ফার্মাসি গ্রেড হরমোন ব্যবহার করা।

আর যাদের বয়েসের কারনে হরমোন কমে গেছে বা এমনিতেই হরমোন যথেষ্ট তৈরি হয় না। ডিপ্রেশন হয়ে যাচ্ছে কনফিডেন্স পাচ্ছেন না কিচ্ছু করতে মন চায়না তাদের টেস্টোস্টেরন লেভেল চেক করে দেখা দরকার।

স্টেরয়েডেস মুলত প্রোফেশনাল, কম্পিটিটিভ বডিবিল্ডার দের জন্য। একান্তই দরকার না হলে না ব্যবহার করাই উত্তম।

স্টেরয়েডস এর বাইরে অনেকে গ্রোথ হরমোন, ইন্সুলিন,পেপ্টাইডস অনেক কিছু ব্যবহার করে। যা অনেক ব্যয়বহুল আর বিপদজনক।

স্পেসিফিক প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

# নরমাল টেস্টোস্টেরন লেভেল ১২০০-৩৫০ নেনোগ্রাম/ডেসিলিটার।

# টেস্টোস্টেরন ডাইহাইড্রো টেস্টোস্টেরনে রুপান্তর হয় ৫ আল্ফা রিডাকশন এর মাধ্যমে যা দাড়ি গজানো, টাক পড়া, পুরুষাঙ্গের আকার বৃদ্ধি ইত্যাদি নির্ধারণ করে।

# মানুষের প্রোটিন দরকার হয় ২০ ধরনের এমিনো এসিডের সমন্বয়ে। ১১ টা নন এসেন্সিয়াল, ৯ টা এসেন্সিয়াল যার মধ্যে তিনটা ব্রাঞ্চ চেইন্ড।

# স্টেরয়েডস এর চেয়ে ধুমপান অনেক বেশি ক্ষতিকর।

Ahona Sardar
ahonasardar
463 Points

Popular Questions