Answered 3 years ago
প্রতিবছর ব্রয়লার মুরগির প্যারেন্ট/গ্রান্ডপ্যারেন্ট আমদানি করতে ব্যয় হয় প্রায় ৯০ কোটি টাকা। আমদানিকৃত ব্রয়লার দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খায় না বলে রোগবালাই বেশি হয় এবং উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায়।
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নিরলসভাবে গবেষণা করে বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচলিত ব্রয়লার (মাংস উৎপাদনকারী) মুরগীর মাংসের চেয়ে অধিক স্বাদের জাত উদ্ভাবনে গবেষণায় সফলতা লাভ করেছেন বাকৃবির গবেষকরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আশরাফ আলী এবং প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন গবেষণা করে সফল হয়েছেন।
উদ্ভাবিত জাত দুটির নাম রাখা হয়েছে বাউ-ব্রো হোয়াইট ও বাউ-ব্রো কালার। উদ্ভাবিত ব্রয়লার মুরগির জাত দুটির উদ্ভাবক অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী ও সহযোগী অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্লা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অর্থায়নে চার বছর মেয়াদি দেশে প্রাপ্ত মুরগির জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে ব্রয়লারের প্যারেন্ট স্টক উদ্ভাবন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ জাত দুটি উদ্ভাবন করা হয়।\
এছাড়া বাজারে প্রচলিত ব্রয়লারের মাংস নরম ও দেশীয় মুরগির মতো সুস্বাদু না হওয়ায় অনেকে পছন্দ করেন না। ব্রয়লার মুরগির আমদানি নির্ভরতা কমাতে ও সুস্বাদু মাংসের দ্রুত বর্ধনশীল উন্নত জাতের ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে প্রাপ্ত মুরগির জার্মপ্লাজম ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো উন্নতমানের সুস্বাদু ব্রয়লার মুরগির দুটি (সাদা ও রঙিন) জাত (স্ট্রেইন) উদ্ভাবনে সাফলতা পেয়েছেন উনারা।
Rocky Ahmed publisher